বান্দরবানের এই মেঘ বাড়ি পেয়েছে আর্কেশিয়ার স্বীকৃতি

কোনোটা আবাসিক ভবন, কোনোটা শিল্পকারখানা, কোনোটা আবার পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা অভিজাত রিসোর্ট। পরিবেশ ও প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে গড়ে ওঠা ইট–কাঠের এসব ভবনই পেয়েছে স্থাপত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘আর্কেশিয়া ২০২৩’। বাংলাদেশের স্থপতিদের গড়া পুরস্কার বিজয়ী চার প্রকল্পের মধ্যে এখানে একটি প্রকল্প নিয়ে লিখেছেন হাসান ইমাম

সাইরু হিল রিসোর্ট

পাহাড়ের ওপরে একটি খামারবাড়ির নকশা করতে বসেছিলেন ডোমাস আর্কিটেক্টসের স্থপতি মুস্তাফা আমিন। তবে পাহাড়ের এতটা ওপরে পানির সরবরাহ নিয়ে ভাবনা ছিল। এরপর সেই নকশা বদলাতে বদলাতে একসময় রিসোর্টের রূপলাভ করে। বলছি বান্দরবানের ১২ মাইল এলাকায় গড়ে ওঠা সাইরু হিল রিসোর্টের কথা। পাহাড়ের গায়ে প্রশস্ত ঘর, বাঁশ–কাঠের নানা রকম উপাদান আর শৈল্পিক ভাবনা যে রিসোর্টকে আর্কেশিয়া থেকে এনে দিয়েছে সম্মানজনক স্বীকৃতি।

অভ্যর্থনাস্থল, অফিস, রেস্তোরাঁ আর নিসর্গ উপভোগের জন্য তৃষ্ণার্ত অতিথিদের অলস সময় কাটানোর জায়গাটুকু মিলিয়ে সাইরুর মূল স্থাপনা

পুরস্কার পাওয়ার পর স্থপতি মুস্তাফা আমিন বলেন, ‘আগে কোথাও কখনো আমার কোনো প্রজেক্ট জমা দিইনি। এবারই প্রথম দিলাম। যেহেতু কোথাও জমা দিই না, তাই প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার পর ছবি বা ভিডিও ডকুমেন্টেশন সেভাবে গুছিয়ে রাখা হয়নি। তবে এবার জমা দিতে গিয়ে দেখলাম, নতুন করে ছবি তুলতে হবে। একবার চালু হয়ে যাওয়ার পর সেই স্থাপনার ছবি তোলা বেশ ঝক্কির কাজ। তারপরও কোনোরকমে সবকিছু জোগাড় করে জমা দিই। বিচারকদের কাছ থেকে সেটির স্বীকৃতি পেয়ে বেশ ভালোই লাগছে।’

স্থপতি মুস্তাফা আমিন

সাইরু এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে স্থাপনার সঙ্গেই বেড়ে ওঠে গাছপালা ও প্রকৃতি। রিসোর্টের খাওয়ার ঘরে বাঁশ, কাঠ ও কাচ দিয়ে এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে দিনের বেলা কৃত্রিম আলোর খুব একটা দরকার পড়ে না। সময়ে সময়ে রিসোর্টের ঘর-বারান্দায় হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে মেঘ।

সাইরু রিসোর্টের সুইমিং পুল