নদীর ওপর শুয়ে বৃষ্টি উপভোগ করার জন্য রাজধানীবাসীকে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না। বছিলা থেকে ঘণ্টাখানেক পথ পেরোলেই ধলেশ্বরীর বুকেই গড়ে উঠেছে চোখ ও মনের বিশ্রামের জায়গা ‘জল কাচারি-ধলেশ্বরী’। তাদের রয়েছে দুই ধরনের প্যাকেজ। সারা দিনের জন্য ঘুরতে চাইলে জনপ্রতি পড়বে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সকাল আটটা থেকে সূর্যাস্ত সময়ে সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের হালকা নাশতা থাকবে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত থাকতে চাইলে গুনতে হবে ১ হাজার ৮০০ টাকা। সেখানে রয়েছে সন্ধ্যার নাশতা, রাতের খাবার ও পরদিন সকালের নাশতা। জল কাচারিতে যেতে হলে আগে থেকে ফোন করে যেতে হবে।
নদীর ওপরে এমন এক মাচায় শুয়ে-বসে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনে একটা দিন অনায়াসেই কাটিয়ে দেওয়া যায়বৃষ্টি দেখতে দেখতে কাঠের পাটাতনে খালি পায়ে হাঁটতে মন্দ লাগবে নাচাইলেই মিলবে দুধ চা বা লাল চা। চা হাতে নদীর ঢেউ বা ভেসে কচুরিপানায় চোখের শান্তি মিলবে। দিনের কয়েকবারই থাকবে চা পানের সুযোগ।সকালের নাশতায় থাকবে খিচুড়ির সঙ্গে ডিমের ঝোল, ভর্তা, আচার ও ঝাল-ঝাল পেঁয়াজমাখা। নলকূপের পানির যে স্বাদও মিলবে এই কাচারিতেমাচায় চলছে আড্ডা আর খাওয়াদাওয়া। কয়েক পদের ভর্তা-ভাজি, দেশি মুরগি ও ডাল দিয়ে দুপুরের খাবার। মাটির চুলায় রান্না করা এসব খাবারের স্বাদও আলাদাদুপুরের খাবাররাতে কেউ থাকতে চাইলে এই ঘরটিতে থাকতে পারবেওই দেখা যায় জল কাচারি। লাল-সাদা টিনকাঠের বাড়ির নাম ‘প্রাণেশ্বরী কটেজ’নদীর পাড় ঘেষে ২টি দৃষ্টিনন্দন সানরুম আর নদীর ওপরে ভাসমান প্ল্যাটফর্ম ‘গাঙচিল’জানালা দিয়ে নদী ও বৃষ্টি উপভোগ করতে চাইলে, সেটাও সম্ভবএকটু বিশ্রাম নিয়ে নদীর বুকে ভেসে বেড়াতে চাইলে নৌকাও পাওয়া যাবেপাটাতনে পা দুলিয়ে গ্রামের বাজার থেকে আনা মিষ্টি ও বাখরখানি খেতে খেতে সূর্যাস্ত দেখা যাবেসূর্যের বিদায়বেলায় সে এভাবেই ধরা দেবে নদীর বুকেসম্প্রতি ভাসমান এমন একটি কাঠের পাটাতনও তৈরি করেছে জল কাচারি। সেখান থেকে বড়শি দিয়ে মাছও ধরতে পারবেনঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে