ঈদের ছুটিটা এবার বেশ লম্বা। সঙ্গে আছে নববর্ষের ছুটি। এমন ছুটিতে দেশে কিংবা দেশের বাইরে ঘুরতে যাবেন অনেকেই। আর ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারতে খেয়াল রাখুন এই পাঁচটি বিষয়।
দামি খাবারকে না
কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানকার বিখ্যাত খাবার নিশ্চয়ই চেখে দেখবেন। তবে সেই খাবার যে সব সময় অভিজাত রেস্তোরাঁতেই খেতে হবে, তা কিন্তু না। সাধারণ মানের রেস্তোরাঁয় খেলে খাবার খরচ কমে আসবে। আর যে রেস্তোরাঁতেই খান না কেন, অ্যাপেটাইজার (ক্ষুধা-উদ্রেককারী খাদ্য বা পানীয়) বর্জন করার চেষ্টা করুন। আর এমন খাবার বেছে নিন, যা খেলে লম্বা সময় ক্ষুধা লাগে না। দর্শনীয় স্থানের সন্নিকটে খাবারদাবারের দাম একটু বেশি থাকে। এসব স্থান থেকে একটু দূরে খেতে যেতে পারেন।
সঙ্গে কিছু খাবার রাখুন
লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো, বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেয়ে গেলে মেটানোও যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।
বুঝেশুনে ‘প্যাকেজ’ নিন
রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। কীভাবে? ধরুন, খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে।
যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন
কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ‘ব্যস্ত’ বিমানবন্দর বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ‘ব্যস্ত’ বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।
উপহারে অপচয় নয়
ঘুরতে গিয়ে অনেকেই আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য বাহারি উপহার কেনেন। এতেও কিন্তু অনেকটা খরচ হয়। না, না, উপহার কিনতে না করছি না। বরং কম খরচে উপহার কেনার উপায় বাতলে দিচ্ছি। দামি দোকান থেকে স্যুভেনির কেনার চাইতে স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা করতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ। খরচও পড়ে কম। তা ছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাঁদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন।
সূত্র: রিডারস ডাইজেস্ট