২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টধারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে সিঙ্গাপুর। এ দেশের নাগরিকেরা বিনা ভিসায় বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন। ২৩ জুলাই প্রকাশিত পাসপোর্ট ইনডেক্সে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাগরিকত্ব–সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স।
বিশ্বে ভিসামুক্ত চলাচল স্বাধীনতার ওপর গবেষণা করে এ সূচক প্রকাশ করে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। মোট ১০৩টি অবস্থানের এই তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চল। এ তালিকায় দুর্বলতম দেশ আফগানিস্তান। সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানও তলানির দিক থেকে ৭ নম্বরে, অর্থাৎ ৯৭তম। এই তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে অবস্থান করছে ফিলিস্তিন। এই দেশ দুটির পাসপোর্টধারী নাগরিকেরা ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিল ইউরোপ ও এশিয়ার ছয়টি দেশ—ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও স্পেন। বর্তমান সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে সিঙ্গাপুর। পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতায় সিঙ্গাপুরের পর শীর্ষ দেশগুলো হলো ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও স্পেন। এই দেশগুলোর পাসপোর্টধারী নাগরিকেরা ১৯২টি দেশ ও অঞ্চল ভ্রমণ করতে পারেন।
সূচকে তৃতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রিয়া, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেন। এসব দেশের নাগরিকেরা ১৯১টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ১৯০ দেশ ও অঞ্চল আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
সূচকের পঞ্চম অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। এই দুটি দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিকেরা ৯টি দেশে আগাম ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পান।
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪২টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারতেন। নতুন র্যাঙ্কিংয়ে বাদ পড়েছে আফ্রিকার টোগো ও লেসোথো। আগাম ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিদের ভ্রমণের বর্তমান তালিকায় আছে এশিয়ার ৬টি, দক্ষিণ আমেরিকার ১টি, আফ্রিকার ১৪টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৮টি দেশ ও অঞ্চল।