পর্যটকদের কাছে একেক ঋতুতে একেক রূপে ধরা দেয় এসব উদ্যান। এসব উদ্যান হাজার হাজার পর্যটককে কাছে টানছে প্রতিবছর। ছবিতে দেখে নিন এশিয়ার মনোমুগ্ধকর ১৫ জাতীয় উদ্যান। লিখেছেন তাশমিন নাহার
জিউঝাই ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক
চীনের সবচেয়ে সুন্দর পার্কের অন্যতম। শীতের সময় তুষার আবৃত পাহাড় যেমন চোখে পড়ে, বসন্ত বা শরতে মিলবে সবুজ, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের বৃক্ষরাজি। গানাং মুলু জাতীয় উদ্যান
মালয়েশিয়ার গানাং মুলু জাতীয় উদ্যানটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এটি সারাওয়াক অঞ্চলে অবস্থিত। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট গুহা এবং গুহায় প্রবাহিত স্বচ্ছ পানি।রন্থমবোর উদ্যান
ভারতের এই জাতীয় উদ্যানটি বিশেষ প্রজাতির বাঘের অভয়ারণ্য। অন্যান্য বন্য প্রাণীরও দেখা মেলে। প্রাচীন দুর্গ আর মন্দিরের জন্যও বিখ্যাত রন্থমবোর জাতীয় উদ্যান। চিতবন জাতীয় উদ্যান
নেপাল ভ্রমণে গেলে অনেকেই এই উদ্যান ঘুরতে যান বিশেষ কিছু প্রাণীর দেখা পেতে। এখানে রয়েছে বিরল প্রজাতির এক শিংওয়ালা গন্ডার, ঘড়িয়াল এবং মিঠাপানির ডলফিন। ফোং না—কে বাং জাতীয় উদ্যান
মধ্য ভিয়েতনামের এই উদ্যানটিও ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। বিশাল সব গুহা, বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের জন্য পর্যটকদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয় স্থান। এখানে শতাধিক পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপের দেখা মেলে।মু কো অ্যাং থং ন্যাশনাল মেরিন পার্ক
থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তর দ্বীপ কোহ সামুই থেকে ২০ মাইল উত্তর-পূর্বে এই জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই অপূর্ব জলজ উদ্যান।ফুজি-হাকন-ইজু জাতীয় উদ্যান
এই উদ্যানে এলে চোখে পড়বে ফুজি পর্বতের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য। পাহাড়-হ্রদঘেরা জাপানের এই জাতীয় উদ্যানটি হাজার হাজার পর্যটককে কাছে টানছে প্রতিবছর।ঝাংগি দাক্সিয়া জাতীয় উদ্যান
চীনের এই উদ্যানটি মূলত এর ভূতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যের জন্য প্রসিদ্ধ। লাল, হলুদ, কমলারঙা পাহাড়বেষ্টিত এই উদ্যানে গেলে যে কারও মনে হতে পারে, অন্য কোনো গ্রহে চলে এসেছেন।সুন্দরবন
সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে এই বন। এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিচরণভূমি। এ ছাড়া শত শত প্রজাতির প্রাণীর অভয়ারণ্য এই সুন্দরবন। কোমোডো ন্যাশনাল পার্ক
ইন্দোনেশিয়ার এই উদ্যানটি মূলত বিশাল আকৃতির কোমোডো ড্রাগনের জন্য পরিচিত। এখানে প্রায় ৫৭০০টি কোমোডো ড্রাগন রয়েছে।খাও সোক জাতীয় উদ্যান
এটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন উদ্যান। বিশ্বের প্রাচীন ‘রেইন ফরেস্ট’গুলোর মধ্যে অন্যতম এই খাও সোক জাতীয় উদ্যান। এখানে র্যাফলেশিয়া নামের একধরনের বিরল প্রজাতির ফুলের দেখা মেলে।গোর্খি-তেরেলজ জাতীয় উদ্যান
মঙ্গোলিয়ার এই জাতীয় উদ্যানটি মূলত পর্বতারোহীদের কাছে জনপ্রিয়। দৃষ্টিনন্দন এই স্থানটিতে ক্যাম্পিং, রাফটিং, ঘোড়দৌড়ের জন্য আসেন বহু পর্যটক।ইয়ালা জাতীয় উদ্যান
শ্রীলঙ্কার এই উদ্যানটি প্রকৃতি ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য প্রসিদ্ধ। এই উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্বে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির লেপার্ড, বিরল প্রজাতির পাখি এবং হাতির দেখা মিলবে।প্রিয়াহ মনিভং জাতীয় উদ্যান
কম্বোডিয়ার এই উদ্যানটির বৈচিত্র্যময় প্রাণিকুল পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে বহু বছর। উদ্যানটি এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য।হালাসান জাতীয় উদ্যান
দক্ষিণ কোরিয়ার এই উদ্যান দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে জেজু দ্বীপ। দৃষ্টিনন্দন জলপ্রপাত এবং বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদের কল্যাণে এই উদ্যানটি ইউনেসকোর ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় আছে।তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া