সম্ভব হলে বেড়ানোর দুইদিন আগেই ব্যাগ গুছিয়ে নিন
সম্ভব হলে বেড়ানোর দুইদিন আগেই ব্যাগ গুছিয়ে নিন

বেড়ানো

পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগে যে ৭ বিষয় খেয়াল রাখবেন

কাল থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ছুটি। ভ্রমণের পরিকল্পনা এর মধ্যেই হয়তো হয়ে গেছে। শেষ মুহূর্তের গোছগাছে ব্যস্ত যাঁরা, তাঁদের জন্যই এই প্রতিবেদন। কোন স্যুটকেস নেব, এটা দিয়েই শুরু হয় ভ্রমণের জিনিস গোছানোর কাজ।

ভ্রমণের ব্যাগ বাছাই করুন জায়গা ও দূরত্ব বুঝে

সঠিক ব্যাগ

দূরের ভ্রমণ হলে বাইরে থেকে শক্ত আর আকারে বড়, এমন ব্যাগ বেছে নিন। কাছের জায়গায় ভ্রমণ হলে ছোট ব্যাগই যথেষ্ট। তবে যে ধরনের ব্যাগই নেন না কেন, কেনার আগে পরীক্ষা করে দেখুন যে এর চাকা মসৃণভাবে ঘুরছে কি না, আর হ্যান্ডেলের দৈর্ঘ্য আপনার উচ্চতার সঙ্গে মানানসই কি না।

তালিকা করুন

ভ্রমণে যে জিনিসগুলো না নিলেই নয়, তেমন একটি তালিকা তৈরি করে রাখুন। মূল তালিকার সঙ্গে পরে যোগ-বিয়োগ করা যাবে। ব্যাগ গোছানোর আগে সব জিনিস আগে এক জায়গায় বিছিয়ে নিন। ভারী জিনিসগুলো আগে ঢোকান। স্যুটকেসটা যখন দাঁড়িয়ে থাকবে, সেটা যেন থাকে নিচের দিকে। ওপরের অংশেও যেন কিছু থাকে। তাহলে ভারসাম্য থাকবে ভালো।

গোছানো

তালিকা করে গোছাতে হবে

জুতা নেওয়ার সময় কোনো জায়গা নষ্ট করা যাবে না। জুতার ভেতরের অংশ মোজা, ছোট ছোট জিনিস দিয়ে ভরে ফেলুন। তবে জুতাটা নোংরা থাকলে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলুন। কেউ কেউ কাপড় ভাঁজ করে নেন, কেউ আবার রোল করে গুটিয়ে নেন। কিন্তু একটি স্যুটকেস প্যাক করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো দুটিরই মিশ্রণ। শ্যাম্পু, সাবান লোশন সব সময় ছোট বোতলে ভরে নিন।

প্রয়োজনীয় ওষুধ

ব্যান্ডেজ, প্যারাসিটামল, পেট খারাপের ওষুধ, হাত স্যানিটাইজার, অ্যালার্জির ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন সঙ্গে রাখুন। শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সবার আগে ব্যাগে ঢোকান।

দরকারি জিনিসপত্র

বেড়ানোর সময় রোদচশমা আবশ্যক

সবার আগে ব্যাগে রাখুন সকেট। মোবাইল বা প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য এটি আবশ্যক। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে দুই পিন-তিন পিনের ঝামেলা থাকতেই পারে। হোটেল থেকে টুথব্রাশ, টুথপেস্ট দেবে কি না, জেনে নিন। তাহলে এগুলো বাড়তি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যেকোনো ভ্রমণেই সানস্ক্রিন আবশ্যক। শিশুদের খেলনা নেওয়ার সময় তাঁদের মতামত জেনে নিতে হবে। তবে দুই থেকে তিনটির বেশি না নেওয়াই ভালো। ব্যাগে জায়গা কম লাগবে, এমন খেলনা নিতে উৎসাহিত করুন। স্ন্যাক্সজাতীয় খাওয়া সঙ্গে রাখুন। চেষ্টা করুন ফল বা স্যান্ডউইচ রাখতে। ব্যাটারিচালিত হ্যান্ডফ্যান, রোদচশমা, টুপি নিতে ভুলবেন না।

দাওয়াতের অনুষ্ঠান হলে পোশাক বাছুন সেভাবেই

পোশাক

জায়গা ও পরিবেশ অনুযায়ী আরামদায়ক পোশাক বাছুন। একই প্যান্টের সঙ্গে ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে পরতে পারবেন, এমন দু-তিনটি টপস নিন। কামিজ নিতে হলেও পরামর্শ আছে। এমন নকশার দু-তিনটি কামিজ নিন, যেটা একই সালোয়ার ও ওড়না দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ৫-৬ দিন পরতে পারবেন। যদি বিয়ের দাওয়াতে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রেও মিলিয়ে–মিশিয়ে পরতে পারবেন এমন পোশাক নিন। জুতা বাছুন ভেবেচিন্তে। হাঁটাহাঁটির বিষয় থাকলে কেডস নেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে এমন স্যান্ডেল নিন যেটা ক্যাজুয়াল বা আনুষ্ঠানিক সব জায়গায় মানিয়ে যাবে। শিশু আরাম পাবে, এমন পোশাক বেছে নিন। একমাত্র শিশুর জন্য বাড়তি পোশাক নিন। সুইমিংপুলে নামার ইচ্ছা থাকলে আলাদা পোশাক ও অনুষঙ্গ নিয়ে নিন।

মেকআপ ব্যাগে রাখুন আবশ্যক উপকরণগুলো

মেকআপ ব্যাগ

ব্যাগে সব সময় কয়েকটা জিনিস রাখা খুব ভালো। জিনিসগুলো হলো প্রাইমার, কনসিলার, ছোট কমপ্যাক্ট পাউডার, কাজল, লিপস্টিক, ব্লাশন, ময়েশ্চারাইজার, লোশন, পারফিউম, চিরুনি, ওয়েট টিস্যু, লিপবাম, সানস্ক্রিন ও রোদচশমা। হালকা বা গাঢ় রঙের যেকোনো একটা বা দুটি লিপস্টিক সব সময় ব্যাগে রাখতে পারেন, যাতে যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ছেলেদের জন্যও বডি স্প্রে, ক্রিম নিয়ে নিন।