বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি কমিয়েছে ভুটান সরকার। ১০০ ডলার থেকে কমিয়ে এই ফি ১৫ ডলার করা হয়েছে। গতকাল ৩ জুন বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভুটানের পর্যটন বিভাগ নীতিমালা সংশোধন করেছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পর্যটকদের এখন থেকে টেকসই উন্নয়ন ফি (এসডিএফ) হিসেবে ১৫ ডলার দিতে হবে। যা ভারতীয় পর্যটকদের ওপর আরোপিত ফির সমান।
সারা বিশ্ব যখন করোনায় নাকাল, ঠিক তখনই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে নজির গড়েছিল হিমালয়ের দেশ ভুটান। এ জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কড়াকড়ি আরোপ করে, পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির দরজা। করোনার প্রকোপ কমে এলে সেই কড়াকড়ি শিথিল করে তুলে নেওয়া হয় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পর্যটক ফি দৈনিক ৬৫ ডলার (বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের পর্যটকদের এই ফি দিতে হতো না) থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২০০ মার্কিন ডলার। এই ফি ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ১২০০ রুপি (১৫ মার্কিন ডলারের মতো) ধার্য করা হয়। দেশটির পক্ষ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন ফি (এসডিএফ) হিসেবে নেওয়া এই অর্থ পর্যটকদের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যবহৃত হবে।
ভ্রমণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভুটানে বাংলাদেশি পর্যটকের হার কমে যায়। ২০১৯ সালে যেখানে ১৩ হাজার ১৬ জন বাংলাদেশি পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেন, সেখানে ২০২২ সালে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর শেষ তিন মাসে মাত্র চারজন বাংলাদেশি ভুটান ভ্রমণ করেন। এমন পরিস্থিতিতে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার তৃতীয় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্যও ফি কমাতে থিম্পুকে অনুরোধ করা হয়। তখনই বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেয় ভুটান। এবার বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্যও ফি কমিয়ে ১৫ ডলার করা হলো। তবে নতুন নীতিমালার আওতায় বছরে ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিদিন ১৫ মার্কিন ডলার ফি দিয়ে ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন। এর বেশি পর্যটক হলে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো ১০০ ডলার ফি দিতে হবে।
এই ভ্রমণ নীতিমালা ২ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।