বিদেশযাত্রার প্রসঙ্গ এলেই প্রথম কোন বিষয়টি মাথায় আসে? জি, পাসপোর্ট। ভিনদেশে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের অন্যতম হাতিয়ার তো এই পাসপোর্টই। কিন্তু পাসপোর্টের প্রচলন কীভাবে হলো? জানতে খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ৪৫০ শতাব্দীতে প্রাচীন পারস্যে ফিরে যেতে হবে। সে সময়ের ইতিহাসে অন্য রাজ্যে যেতে রাজার কাছ থেকে নিজের পরিচয়সংবলিত চিঠি সঙ্গে নেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। নির্বিঘ্নে ভ্রমণের জন্য এই চিঠিই পরে পাসপোর্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে ১৪১৪ সালে ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরির রাজত্ব সময় প্রচলিত পাসপোর্টের ব্যবহার শুরু হয়।
তাঁর সময়ে সংসদে পাসপোর্ট-সংক্রান্ত একটি আইনও পাস হয়। কোনো ব্যক্তি ইংরেজ কি না এ-সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হতো রাজার পক্ষ থেকে। তবে তখনো পাসপোর্ট শব্দটির প্রবর্তন হয়নি। ১৫৪০ সালে ইংল্যান্ডে প্রিভি কাউন্সিল ব্যবসার জন্য ভ্রমণের সময় কাগজ প্রদর্শনের নিয়ম চালু করে, যার নাম দেওয়া হয় ‘পাস পোর্ট’। অর্থাৎ বন্দরের ভেতর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি। কারণ সে সময় যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল জাহাজ। তাই কোনো দেশ থেকে গিয়ে নামতে হতো বন্দরে। আর মেয়াদসংবলিত পাসপোর্ট প্রচলন শুরু হয় ১৬৪১ সালে। তারপর তো নানা বিবর্তনের ধারায় এসেছে আজকের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান