পানসি পিঠা খাওয়ার জন্য কেউ আগ্রা যায় না। আমি আগ্রা গেছি তাজমহল দেখতে। সঙ্গে বউ হেদার এবং আমার ছোট বোনের পরিবার। আগ্রায় পৌঁছে সময় নষ্ট করিনি। সারা বিকেল তাজমহল দেখে আবার ফিরব বলে প্রতিজ্ঞা করেছি। রাতে প্রিয়া রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছি।
আমার বোন স্কুলশিক্ষক, পড়াশোনা করার অভ্যাস আছে। সিজলিং চিকেন খেতে খেতে বলল, ‘আমি “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রা ভ্রমণের কথা পড়েছি। তিনি তাজমহলে বেশি দেরি না করে আগ্রা দুর্গ ও নূরজাহানের বাবার কবর “ইতমত উদ্দৌলা” দেখতে গিয়েছিলেন। এটা এমন কী গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্বন্ধে আপনি কিছু জানেন নাকি?’
মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস একটু–আধটু জানা ছিল। তাই বোনকে বললাম, আজকের দিনে ভাগ্যসন্ধানে বাঙালিরা যেমন সৌদি আরব যায়, আগে তেমনি ইরানের মানুষ হিন্দুস্তান আসত। ইতমত উদ্দৌলা ছিলেন তেমনই একজন মানুষ। পদবি ইতমত উদ্দৌলা, আসল নাম মির্জা গিয়াস বেগ। তিনি ছিলেন ইরানের সাফাভিদ রাজবংশের একজন সম্মানিত আমির। পারস্যের শাহ তামাস্পের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারের যুদ্ধে তিনি ছিলেন পরাজিত রাজপুত্রের পক্ষে। নতুন রাজার প্রতিশোধের ভয়ে তিনি পাড়ি জমান ভারতবর্ষে। ১৫৭৬ সালে দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং বউকে নিয়ে তিনি হেরাত থেকে পালিয়ে রওনা দেন কান্দাহারের উদ্দেশে। পথে নতুন রাজার সৈন্যরা তাঁর সবকিছু কেড়ে নেয়। অতিকষ্টে পথ চলেন, শূন্য পকেটে এসে পৌঁছান কান্দাহার শহরে। এখানে তাঁর একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
অর্থনৈতিক অবস্থা আর পথের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়েটাকে পথে ফেলেই তাঁরা ভারতে চলে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। ভাগ্যক্রমে দেখা হয়ে যায় এক ইরানি ব্যবসায়ীর সঙ্গে, তিনি আগ্রায় যাচ্ছিলেন। তাঁর দয়া হয়। তিনি গিয়াস পরিবারকে তাঁর কাফেলায় তুলে নেন। চড়াই–উতরাই পার হয়ে অবশেষে ১৫৭৮ সালে তাঁরা পৌঁছে যান মোগল রাজধানী আগ্রায়। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী বাদশাহ আকবরের রাজত্বকাল তখন। নিরাপত্তা আর প্রাচুর্যের দেশ ভারতবর্ষ।
মোগলদের ভাষা ছিল তুর্কি। দরবারের ভাষা ছিল ফারসি। অল্পদিনের মধ্যে মোগল দরবারে ফারসি ভাষায় শিক্ষিত গিয়াস বেগ চাকরি পেলেন। তাঁর ভাগ্য বদল হতে শুরু হলো। নবজাত মেয়েটি তাঁদের সৌভাগ্য এনে দিয়েছে, তাই মা–বাবা আদর করে নাম দিলেন ‘মেহেরুন্নেসা’, অর্থ নারীকুলের সূর্য। শিশুটিই পরিণত বয়সে জাহাঙ্গীর বাদশাহর রানি হন। কিন্তু ভাগ্যের বাগানে ফুল ফুটতে তখনো ৩৩ বছর বাকি ছিল।
যমুনা নদীতে পানি গড়াতে থাকল, মির্জা গিয়াস বেগের প্রভাব–প্রতিপত্তিও বাড়তে থাকল। বড় ছেলে মোহাম্মদ শরিফ ও মেজ ছেলে আবুল হাসান রাজদরবারে চাকরি পেলেন। বড় মেয়ে সাহলিয়া বেগমের বিয়ে হলো মনসবদার ইতিকাদ খানের সঙ্গে। গিয়াস বেগ কাবুলের দেওয়ান নিযুক্ত হলেন। রূপে–গুণে বড় হওয়া মেহেরুন্নেসার বিয়ে হলো প্রখ্যাত বীর শের আফগানের সঙ্গে।
এ সময় যুবরাজ সেলিম পিতা আকবর বাদশাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন। সেলিম আর আকবরের যুদ্ধে গিয়াস পরিবারের সবাই বাদশাহ আকবরের পক্ষে যুদ্ধ করেন। সেলিম পরাজিত হলে গিয়াস বেগের পদোন্নতি হয়। তখনই তিনি ‘ইতমত খান’ উপাধি পেয়ে আকবরের কেন্দ্রীয় কোষাগারের খাজাঞ্চি নিযুক্ত হন।
পাঁচ বছর পর বাদশাহ আকবরের মৃত্যু হলে যুবরাজ সেলিম ‘নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উপাধি’ নিয়ে সিংহাসনে বসলে গিয়াস পরিবারের মাথায় বিপদ নেমে আসে। প্রথমে বিদ্রোহী রাজপুত্র খসরুকে সমর্থন করে নিহত হন গিয়াস বেগের বড় ছেলে মোহাম্মদ শরিফ। বাদশাহর আদেশ অমান্য করার অপরাধে জেলে যান তাঁর বড় জামাই ইতিকাদ খান। বাংলার বিদ্রোহী পাঠানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে নিহত হন মেজ জামাই শের আফগান।
মেজ ছেলে আবুল হাসানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ ওঠে এবং স্বয়ং গিয়াস বেগ অভিযুক্ত হন তহবিল তছরুপের। তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান, তবে পদের অবনতি ঘটে।
আবুল হাসানকে বদলি করা হয় আগ্রা থেকে লাহোরে। গিয়াস বেগকে কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে সরিয়ে অন্য এক আমিরের অধস্তন কর্মচারী পদে নিয়োগ করা হয়। বিধবা মেহেরুন্নেসা এক নাবালিকা মেয়ে নিয়ে বর্ধমান থেকে ফিরে আসেন আগ্রায় বাবার বাড়িতে।
‘জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে মরার জন্য আমি হিন্দুস্তানে আসিনি,’ আত্মপ্রত্যয় নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় লেগে যান গিয়াস বেগ।
যৌবনবতী মেহেরুন্নেসার রূপ আর প্রাণচাঞ্চল্যের খ্যাতি আগ্রার আমির আর আমলা মহলে ছড়িয়ে পড়তে লাগল, গিয়াস বেগ মেয়েকে নিরুৎসাহিত করলেন না। ধূর্ত কূটনৈতিক কৌশল আর বয়স্ক আমলার অভিজ্ঞতার সবটুকু কাজে লাগালেন। অল্পদিনের মধ্যে মেহেরুন্নেসা মোগল হেরেমে চাকরি পেলেন। আট বছর বয়সী মেয়েকে বাবার বাড়ি রেখে তিনি যোগ দিলেন অন্দরমহলে বেগমদের খেদমত করার কাজে। তাঁর ওপর দায়িত্ব পড়ল জাহাঙ্গীরের সৎমা, বাদশাহ আকবরের প্রধান স্ত্রী রোকেয়া সুলতান বেগমের খেদমত করার। হেরেমের নিয়মমতো, ক্ষমতা এবং মর্যাদায় তিনি ছিলেন সবার ওপর। তিনি মেহেরুন্নেসার সেবাযত্নে সন্তুষ্ট হলেন, বিদ্যা–বুদ্ধিতে খুশি হলেন। চার বছর কেটে গেল। তিনি জাহাঙ্গীরকে পরামর্শ দিলেন, মেহেরুন্নেসাকে বিয়ে করার।
১৬১১ সালে ৪২ বছর বয়সী বাদশাহ ৩৪ বছর বয়সী মেহেরুন্নেসাকে বিয়ে করলেন। দ্বিতীয়বারের মতো গিয়াস বেগের ভাগ্যের বিবর্তন শুরু হলো।
নতুন বউয়ের রূপে মুগ্ধ বাদশাহ তাঁকে ‘নূরজাহান’ উপাধি দিলেন। শ্বশুরকে কেন্দ্রীয় রাজকোষে ফিরিয়ে আনলেন, উপাধি দিলেন ‘ইতমত উদ্দৌলা’, রাষ্ট্রের খুঁটি। সম্বন্ধী আবুল হাসানকে আগ্রায় ফিরিয়ে এনে মন্ত্রী বানালেন, উপাধি দিলেন ‘আসাব খান’। তাঁর মেয়ে মমতাজ বেগমের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের বড় ছেলে শাহজাহানের বিয়ে হলো। জাহাঙ্গীরের ছোট ছেলে শাহরিয়ার বিয়ে করলেন নূরজাহানের মেয়ে লাডলি বেগমকে।
‘আটপিঠে দড় তবে ঘোড়ার পিঠে চড়’। সবকিছু পাকাপাকি হয়ে গেল। এরপরের অঙ্ক সরল। জাহাঙ্গীর চালালেন মদের আসর। নূরজাহান চালালেন হিন্দুস্তান।
যুদ্ধের মাঠে আসাব খান, সিংহাসনের পাশে নূরজাহান, টাঁকশালে ইতমত উদ্দৌলা। মোগল সাম্রাজ্যের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু গিয়াস পরিবারের হাতে চলে গেল। ১০ বছরের মধ্যে গিয়াস বেগের নিজ বংশের ৩১ জন সদস্য রাজদরবারের উচ্চপদে চাকরি পেয়ে গেলেন।
১৬২২ সালে ৭৫ বছর বয়সে বিপুল ঐশ্বর্য আর ক্ষমতার অধিকারী, রাষ্ট্রের খুঁটি ইতমত উদ্দৌলা জীবন থেকে বিদায় নিলে পিতার কবরে নূরজাহান বেগম যে সুদর্শন অট্টালিকা তৈরি করেন, তারই নাম ‘ইতমত উদ্দৌলা’। আগ্রার মানুষ এটার নাম দিয়েছে ‘বাচ্চা তাজমহল’, ইংরেজি ভাষায় বেবি তাজমহল।
আমার গল্প শুনে ভাগনি সাদিয়া বলল, ‘মামা, কাল সকালে প্রথমেই বেবি তাজমহল দেখতে হবে। তারপর অন্য কাজ।’
২.
তাজমহল থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিম দিকে নদীর অপর পাড়ে যেতে হবে। পথটা জনবহুল, রাস্তা সরু। মৃতপ্রায় যমুনার ওপর বিবর্ণ এক সেতু পার হয়ে গেলাম। রাস্তার পথচারীদের ভিড়, গরু আর মহিষের গাড়ির সঙ্গে ঠেলাঠেলি করে যখন গন্তব্যস্থানে পৌঁছালাম, তখন ‘ইতমত উদ্দৌলা’ দেখার শখ মিটে গেছে। ভাবলাম, এত দূর যখন এসেছি, একনজর দেখেই যাই। টিকিট কিনে ভেতরে ঢুকলাম। সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।
খোলা নীল আকাশের নিচে, তুষার ধবল শ্মশ্রুমণ্ডিত, ঋষিসম উপবিষ্ট শতাব্দীর সাক্ষী ইতমত উদ্দৌলা। নিস্তব্ধ বাগানের মধ্যে ব্যক্তি ইতমত উদ্দৌলার পরিণত বয়সের মৌন সৌন্দর্য নিয়ে বসে আছে দৃষ্টিনন্দন এক অট্টালিকা। মোগল বাদশাহদের প্রিয় চার বাগ জ্যামিতিক বিন্যাসের মধ্যবিন্দুতে অবস্থিত, পরিমিতি এবং উচ্চতায় বাগানের আয়তনের সুষম অনুপাতে নির্মিত আয়তাকার এই অট্টালিকা দেখে প্রথমে চমকে গেলাম। যত দেখলাম, ততই বিস্মিত হলাম।
চারপাশে লাল পাথরে গড়া অলংকৃত চারটি প্রবেশতোরণ থেকে একই রঙের চারটি পথ পৌঁছে গেছে মূল অট্টালিকার চারটি দরজার সামনে। রাস্তার মাঝ দিয়ে পাথর কাটে নালায় প্রবাহিত পানি শব্দ করে ঝরে পড়ার জন্য চার দরজার সামনে সৃষ্টি করা হয়েছে চারটি কৃত্রিম জলপ্রপাত। আমরা যেদিন গেলাম, সেদিন নালায় পানি ছিল না। নির্ঝরগুলো ছিল জলশূন্য। উত্তর ও দক্ষিণ গেট দুটি বন্ধ। পুব গেট দিয়ে প্রবেশপথ আর পশ্চিম গেট দিয়ে সিঁড়ি নেমে গেছে যমুনা নদীতে।
চার বাগের প্রতিটি বাগানের আয়তন সমান এবং একই ছকে সাজানো। নিখুঁতভাবে ছেঁটে রাখা সবুজ পাতার ছোট ছোট গাছ সমান দূরত্ব বজায় রেখে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। বাগানের সীমানা ঘিরে লাল, হলুদ আর সাদা ফুলের ঝাড়, মাঝে সবুজ ঘাসের মসৃণ মাঠ যেন চিত্রশিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা ল্যান্ডস্কেপ।
ধূসর লাল পাথরের চার ফুট পরিমাণ উঁচু বেদির ওপরে বসে আছে মূল অট্টালিকা। চার কোনায় চারটি গোলাকৃত বুরুজ অট্টালিকার অংশ হয়েই মিনারের মতো ওপরে উঠে গেছে। সমতল ছাদের ওপরে চার চালা একটা প্যাভিলিয়ন গম্বুজের স্থান দখল করে আছে। মাঝের কোঠায় পাশাপাশি দুটি কবর। ইতমত উদ্দৌলা ও আসমত বেগম, নূরজাহানের মা–বাবা, মমতাজ মহলের দাদা–দাদি চিরনিদ্রায় শায়িত।
অট্টালিকার ভেতর পাথর ঝাঁঝরা করা পার্টিশন। যমুনার বাতাস দক্ষিণে প্রবেশ করে উত্তরে বেরিয়ে যায়, ঠান্ডা করে দেয় দর্শনার্থীর অবসন্ন দেহ। সম্পূর্ণ সমাধিসৌধটি শ্বেতমর্মরে তৈরি। বাইরের দেয়ালে সাদা পাথর কেটে নানা রঙের পাথর বসিয়ে পার্চিনকারি প্রথায় সৃষ্টি করা হয়েছে বিভিন্ন নকশা। প্রতি বর্গফুটে নকশা। ‘এ যেন ইমারত গড়ার কারিগর নয়, গয়না তৈরির জহুরির কাজ। সিল্ক কাতানের জমিন।’ শামসুর রাহমানের কবিতা।
চিত্রশিল্পী মনসুর আক্কাসের আঁকা স্থির জীবনের প্রতিফলন হয়েছে ভেতরের দেয়ালে, লতা–পাতা, ফুল আর ফুলদানিতে। বারকোশে মদিরার বোতল, পানের গ্লাস উৎকীর্ণ করা আছে এক দেয়ালে। তার বিপরীত দিকে বারোটি প্যানেলজুড়ে লেখা হয়েছে কোরআনের আয়াত।
এতক্ষণ চুপচাপ আমরা দেখেই চলেছি, কারও মুখে কোনো কথা নেই। এবার আমি মুখ খুললাম।
মোগল স্মৃতিসৌধগুলোর মধ্যে এটাই প্রথম সম্পূর্ণ শ্বেতপাথরের তৈরি অট্টালিকা। এটা নির্মাণ করতে সময় লাগে ছয় বছর। এটা তৈরি শেষ হওয়ার তিন বছরের মধ্যেই শুরু হয় তাজমহলের নির্মাণকাজ। ‘ইতমত উদ্দৌলা’ তৈরি করা সব কারিগরকে তাজমহল নির্মাণের কাজে নিয়োগ করা হয়। এটা নিঃসন্দেহে তাজমহলের পূর্বসূরি।
ভাগনি সাদিয়া বলল, ‘তাহলে তো এটাকে বেবি না বলে ড্যাডি তাজমহল বললেই ঠিক হতো!’ আমি বললাম, ‘গ্র্যান্ড ড্যাডি বললে আরও ভালো হতো।’
ইতমত উদ্দৌলা দেখা শেষ, তবু বেরিয়ে যেতে ইচ্ছা করল না। গেটের পাশে ছায়ায় রাখা বেঞ্চে বসে বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশে একটু অনুচিন্তন করলাম। গতকাল তাজমহল দেখে মনে হয়েছিল, যেন এক সুন্দরী যুবতী গর্বভরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আজ ইতমত উদ্দৌলা দেখে মনে হলো, ধ্যানমগ্ন এক তপস্যি সাধু। সবুজ জায়নামাজে বসা এক বৃদ্ধ।
তাজমহল যৌবনের ঔদ্ধত্য, ইতমত উদ্দৌলা বার্ধক্যের সৌম্য। সম্পূরক সৌন্দর্যের অপরূপ সৃষ্টি। বিরাট মোগল সাম্রাজ্যের ভার যাকে ন্যুব্জ করতে পারেনি, ভেতরে শায়িত সেই ইরানি ভদ্রলোকের আত্মপ্রত্যয়, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব আর মার্জিত রুচির এক অসাধারণ প্রতিফলন ইতমত উদ্দৌলা স্মৃতিসৌধ। বেরিয়ে আসার সময় পিছু ফিরে আবার একনজর দেখেছিলাম। ভালো লেগেছিল।
লেখক: ডাইরেক্টর, বার্মিংহাম এশিয়ান রিসোর্স সেন্টার, বার্মিংহাম, ইংল্যান্ড।