বছরের শুরু থেকেই স্কুলের পাঠ্যবই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কদিন আগেই যাঁরা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, তাঁদের কী অভিমত? কেমন হওয়া উচিত স্কুলের পাঠ্যবইগুলো? নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তাঁদের অভিমত। এখানে পড়ুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ইয়াছিন আহমেদ–এর লেখা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বলে এখন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যবই সম্পর্কে ততটা গভীরে জানার সুযোগ হয়ে ওঠে না। যদিও আমরা যখন এই পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলাম, তখন কিংবা এখন, সব সময়ই কিছু না কিছু বিতর্ক সঙ্গে ছিল।
টিউশনির খাতিরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যমের বইগুলো দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। পাঠ্যক্রমে বিরাট পরিবর্তন আসছে শুনে ভালো লাগা কাজ করছিল। কিন্তু বইগুলো দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে ততটা আশাবাদী হতে পারিনি। বলা হচ্ছে, সৃজনশীল পদ্ধতি তুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় তুলে দেওয়া নয়, বরং এটা একটা রূপান্তরমাত্র। এই পদ্ধতিও ঠিক কত দিন টিকে থাকবে, জানি না। এভাবে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকলে শিক্ষার্থীদের ওপর কেমন প্রভাব পড়ে, সেই পরীক্ষা কি আমরা করেছি?
নতুন পাঠ্যবইগুলো হাতে নিয়ে বুঝতে পেরেছি, উপস্থাপনায় ভিন্নতা আনা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, পাঠ্যবইগুলোয় অনেক সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের আরও বেশি ভোগাবে। তাই আমার চাওয়া, বইগুলো যেন আরও বিস্তারিত পরিসরে করা হয়। তাহলে গাইড বই বা অন্য কিছুর সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে না।
আরেকটি বিষয়ও এখানে লক্ষণীয়। একবারে সব পাঠ্যবই পালটে ফেলার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই একটু দ্বিধায় পড়ে যান। তাই কোনো নতুন পদ্ধতি আনতে হলেও সেটা ধীরে ধীরে প্রয়োগ করা উচিত, যেন শিক্ষকেরা মানিয়ে নিতে পারেন। তাহলেই নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকর হবে।