পেশাদার, অপেশাদার মিলিয়ে একাদশ গড়ে ঢাকায় খুব বেশি খেলা হয় না। তাই এ রকম প্রতিযোগিতা আরও হওয়া উচিত। এক সপ্তাহের আয়োজন হলেও এর আমেজ কিন্তু বেশ বড়। প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ, খেলা—সব মিলিয়ে এক দেড় মাস আমরা এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারি। তাই এ সময়টাকে ফুটবলের জন্য উপযোগী পরিবেশ মনে হয়, বিশেষ করে নতুনদের জন্য। তরুণ খেলোয়াড়েরা এ রকম আয়োজন থেকেই আশাবাদী হয়। টেলিভিশনের পর্দায় খেলা দেখে আমরা ভাবি, আমিও ওর মতো খেলতে চাই। কিন্তু সেই পথকে অনেক দূরের মনে হয়। সেই একই খেলোয়াড়ের সঙ্গে যখন মাঠে খেলার সুযোগ হয়, তখন পার্থক্যটা টের পাওয়া যায়। তখন হয়তো একজন ভাবেন, চেষ্টা করলে অবশ্যই পারব। এটা উঠতি ফুটবলারদের অনেক সাহায্য করে। আমার বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি খেলাধুলা নিয়ে বেশ আগ্রহী। সব রকম সহযোগিতাই করে। মাঠে আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিই। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় লেগে থাকে।ফয়েজ আহাম্মেদ (পিয়াস), অধিনায়ক, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
পুরো দেশের এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্র করার জন্য প্রথম আলোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তবে একই সময়ে প্রিমিয়ার লিগসহ জাতীয় পর্যায়ের কোনো প্রতিযোগিতার খেলা যেন না পড়ে, সূচি তৈরির সময় একটু খেয়াল রাখা দরকার। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া জাতীয় পর্যায়ের আরও অনেক খেলোয়াড় এর সঙ্গে যুক্ত হবেন। প্রতিটি দলের সব খেলোয়াড়ও খেলতে পারবেন। আমিও একসময় ঢাকার বাইরে থেকে এসে খেলতাম। তাই বড় ভাইদের কাছ থেকে শেখার ব্যাপারটা আমি জানি। একজন ভালো খেলোয়াড় থেকে একটা পাস, বল রিসিভ করা শেখাও কাজে দেয়। প্রতিভা দেখাতে পারলে, অনেকের চোখে পড়ে যেতে পারেন। হয়তো এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমেই কেউ লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন। আমাদের দলে সবাই পরিশ্রম করেছেন। গতবারের হেরে যাওয়া থেকেও আমরা প্রেরণা নিয়েছি। নিজ মাঠে খেলা হওয়ায় দর্শকের সমর্থনও জোরালো ছিল। সব মিলিয়ে এই সাফল্য।রহমত মিয়া, অধিনায়ক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি