একে অপরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসই বন্ধুত্বের ভিতকে মজবুত করে। তাই অনেকেই এক বা একাধিক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসা শুরুর কথা ভাবেন। তবে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসা শুরুর আগে বেশ কিছু বিষয় আগেই ভেবে ও বুঝে এগোন, যাতে ব্যবসা ঠিক থাকার পাশাপাশি বন্ধুর প্রতি আস্থা নষ্ট না হয়, অটুট থাকে বন্ধুত্ব।
অনেক সময় বন্ধুত্ব হলেও দুটি মানুষের মধ্যে থাকতে পারে মানসিকতার পার্থক্য। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আগেই বুঝে নিতে হবে, বন্ধুটি আপনার সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে কতটা সহযোগিতাপূর্ণ হবে। বন্ধুদের কোনো আয়োজনে আপনার বন্ধুকে কোনো দায়িত্ব দিলে ঠিকমতো তিনি তা করতে পারছেন কি না অথবা তাঁর সময়জ্ঞান কেমন বুঝুন। যদি মনে করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি কাজগুলো সুন্দরভাবে করতে পারছেন না, সে ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে ভবিষ্যতে ব্যবসা শুরুর আগে আবার ভাবুন।
নিজের গুণ বা দক্ষতাকে বন্ধুদের মধ্যে খুব বেশি জাহির করলে ব্যবসায়িক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে বন্ধুর প্রতি অন্ধ ভালোবাসা এবং বিশ্বাসও ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ব্যবসা শুরুর আগে কে কোন বিষয়ে দক্ষ এবং ব্যবসায় তাঁর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন।
বন্ধুদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বন্দ্ব বা সমস্যা হলে আপনারা কীভাবে সেটি মেটান, তা ভাবুন। বন্ধুর কোনো আচরণে খুব বিরক্ত হলে সেটি কি খুব খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়, নাকি আপনি সেই সমস্যাকে খুব একটি পাত্তা না দিয়ে সহজভাবে মেনে নেন? ব্যবসার সময় বন্ধুর কোনো আচরণে নিজের রাগ বা ক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা অনেক ক্ষেত্রে বন্ধুত্বে ভাঙন আনতে পারে।
ব্যবসায় অর্থ, সময় বা শ্রম—কে কী বিনিয়োগ করবেন, কতটুকু করবেন, আগেই তা আলোচনা করুন। ব্যবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, লাভ, ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। ব্যবসায়িক চুক্তিগুলো সবার সম্মতিক্রমে লিখিত আকারে অংশীদারদের মধ্যে রাখুন, যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কারও মধ্যে কোনো মতবিরোধ না হয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া