কর্মজীবী নারীদের কাজ অনেক, সময় কম। অফিসের কাজের পাশাপাশি বাড়িতেও যদি কাজ করতে হয়, তাহলে তো কথাই নেই। সময় ব্যবস্থাপনাটা এখানে খুব জরুরি। কারও অফিস দেরিতে শুরু হলে সকালের দিকে কিছুটা সময় পাওয়া যায়। কারও আবার সকাল ৯টায়ই অফিস হাজিরা, রাতই তখন ভরসা। ১০-১২ জন নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাঁদের প্রতিদিনের কর্মসূচি।
সবার জীবনের ধরন বা ধারা এক নয়। এ কারণে সময় ব্যবস্থাপনায়ও আছে ভিন্নতা। তবে কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। যেমন পোশাক গোছানো, নিজের কাজগুলো এগিয়ে রাখা কিংবা সাজের কাজটা দ্রুত সেরে ফেলা। তাড়াহুড়োর মধ্যেও যেন চটপট কাজগুলো করে ফেলা যায়, এ জন্য তাঁরা আগের রাতেই নিয়ে রাখেন প্রস্তুতি। একই জিনিস সপ্তাহের পাঁচ দিন ঘুরেফিরে করতে হয়, তারপরও সেখানে থাকে ধারাবাহিকতা।
১. বাড়তি কাজ মনে হলেও প্রতিদিন তালিকা তৈরি করুন, পরদিন কী কী কাজ আছে। বাজার করতে হলে সেখানে বাজারের তালিকাটিও জুড়ে দিন।
২. আগামীকাল কী পরবেন, এক জায়গায় সেই পোশাক গুছিয়ে রাখুন। না হলে একনজর দেখে মনে মনে ঠিক করে রাখুন, সকালে কী পরে দৌড় দেবেন।
৩. সন্তান ছোট হলে তাঁর স্কুলের ব্যাগ, টিফিন ও পোশাক গোছানোর দায়িত্বটাও আপনার ওপর পড়বে। তবে কাজটি করার সময় তাকেও সঙ্গে রাখুন। দেখুক, শিখুক।
৪. আপনার খাবার যদি নিয়ে যেতে হয়, সেটাও হালকা গুছিয়ে নিন। সকালের কাজ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে।
৫. অনেকেই রাতে খাওয়াদাওয়ার পাট চুকে গেলে রান্নাঘর পরিষ্কার করে ফেলেন। এই অভ্যাস ভালো। সকালে গোছানো রান্নাঘর পেলে দিনের শুরুটা আগের দিনের ময়লা বাসন পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে হয় না।
৬. অনেকেই পোশাকের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাগ নিতে চান, সেটাও রাতে গুছিয়ে রাখুন।
৭. সকালের চা বা নাশতার আয়োজনটাও রাতেই গুছিয়ে ফেলুন।
ঘড়ির কাঁটা ৫ থেকে ১০ মিনিট এগিয়ে অ্যার্লাম সেট করে রাখা সব সময়ই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে করে কিছুটা সময় হলেও হাতে পাবেন। ‘সকালে অন্য কাউকে যদি প্রস্তুত করতে হয়, আগে নিজে পোশাক পরে প্রস্তুত হয়ে যান,’ রেড বিউটি পারলারের স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীনের পরামর্শ। তিনি বলেন, ‘সাজলেন নাহয় পরে। সকালে সেজে ওঠার পুরো প্রক্রিয়াটিতে খুব বেশি সময় দেওয়া যাবে না। ৫ থেকে ১০ মিনিট।’ আফরোজা পারভীন জানান দ্রুত সাজার ধাপগুলো।
১. চেহারা পরিষ্কার করুন।
২. সিরাম লাগান।
৩. ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৪. আবশ্যক হলে সানস্ক্রিন লাগান।
৫. গালে ব্লাশঅন লাগান। একই ব্রাশ দিয়ে চোখের ওপরের পাতায়ও ব্লাশঅন লাগিয়ে নিতে পারেন। লাগবে না বাড়তি আইশ্যাডো। চেহারায় আসবে সতেজতা।
৬. লিপস্টিক বা লিপগ্লস যেটা পছন্দ, লাগিয়ে নিন।
৭. মাসকারা লাগাতে পারেন, তবে কর্মক্ষেত্রে এটির খুব বেশি প্রয়োজন নেই। অফিস থেকে দাওয়াতে যেতে হলে পাপড়িতে বুলিয়ে নিন মাসকারার কাঠি।
৮. চুল আঁচড়ে বেঁধে নিন।
৯. ঘড়ি বা ছোট অলংকার পরে ফেলুন।