চুল কাটা ভালো হলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু খারাপ হলেই লাগে গোল। শুনতে হয় রাজ্যের কথা। বন্ধু-স্বজনদের টিটকিরি, সহপাঠী-সহকর্মীদের উপহাস। তার চেয়ে বড় সমস্যা হয় আত্মবিশ্বাসে। কোনোভাবেই আর নিজেকে ভালো দেখায় না। ফলে যা–ই পরেন আর যা–ই করেন, আত্মবিশ্বাসটা ঠিক পোক্ত হয় না। অমন পরিস্থিতি এড়াতে এরপর থেকে চুল কাটার সময় নিচের পরামর্শগুলো বিবেচনা করতে পারেন।
কীভাবে চুল কাটাবেন, তা যতটা না আপনার চুলের রং, ধরন, ঘনত্ব—এগুলোর ওপর নির্ভর করে, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করে আপনার মুখ ও মাথার গড়নের ওপর। তাই সেটাতেই বেশি গুরুত্ব দিন। তাই বলে আপনার চুলের ধরনকে উপেক্ষা করবেন না। সেটাও মাথায় রাখুন।
তারকারা চুল কাটার ব্যাপারে বেশ যত্নশীল। সে জন্য তারা পেশাদার লোকজনের পরামর্শও নেন। কাজেই এ বাবদে তাদের অনুসরণ করাটা একদমই মন্দ নয়। তবে সেটা করতে হবে সচেতনভাবে। সে জন্য আপনার পছন্দের তারকার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে, কোন তারকার মুখের গড়ন, শারীরিক উচ্চতা, চুলের ধরন আপনার কাছাকাছি।
অনেকেই সেলুনে পছন্দের চুলের কাটের ছবি নিয়ে যান। নাপিতকে ধরিয়ে দিয়ে বলেন সেটাই করে দিতে। এটা না করে তার পরামর্শও নিন। তাকে জিজ্ঞেস করুন, সেই কাটে আপনাকে কেমন লাগবে। সাধারণত সবার জন্যই চুলের কাট খানিকটা পরিবর্তন করতে হয়। সেটা করার স্বাধীনতা তাকে দিন।
কেবল আপনার মুখের গড়নই নয়, গোঁফ-দাড়ির পরিমাণ ও ধরনও প্রভাব রাখে আপনার চুলের দর্শনদারিতে। তাই কীভাবে চুল কাটবেন, তার সঙ্গে এগুলোও ভেবে রাখুন। গোঁফ রাখবেন কি না, দাড়ি রাখবেন কি না, রাখলেও কেমন রাখবেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে চুল কাটুন।
আপনি যেভাবে চুল কাটাতে চাইছেন, নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার নাপিত সেভাবে চুল কাটাতে পারবে কি না। অথবা ধরনটা তার জন্য বেশি কঠিন হয়ে যাবে কি না। সুন্দর করতে গিয়ে আবার না হিতে বিপরীত হয়ে কুৎসিতভাবে চুল কাটা হয়ে যায়। প্রয়োজনে নাপিতের পারদর্শিতা অনুযায়ী চুলের কাট পছন্দ করুন।
আপনার বয়স, অবস্থান, পেশা ইত্যাদিও বিবেচনা করুন চুল কাটার ধরন পছন্দ করার সময়। একজন কিশোর বা তরুণ যেভাবে চুল কাটে, একজন বয়স্ক লোকের পক্ষে সেটা মানানসই না–ও হতে পারে। আপনি নিজেই হয়তো আগে যেভাবে চুল কাটতেন, এখন আর সেটা আপনার জন্য জুতসই হবে না। একই কথা প্রযোজ্য চল বা ট্রেন্ড অনুসরণের ক্ষেত্রেও। সেটা তখনই অনুসরণ করবেন, যখন তা আপনার সঙ্গে খাপ খাবে।
তবে আপনি যতই সাবধানী হয়ে চুলের কাট পছন্দ করুন না কেন, গড়বড় হতেই পারে। হয়তো চুল বেশি ছেঁটে ফেলল। কিংবা কোনো জায়গায় কমবেশি হয়ে গেল। তাই চুল কাটতে গিয়ে সব সময় বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখবেন। নিজেও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।
তথ্যসূত্র: জিকিউ