২০১৪ সালে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। এই প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়েই তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ‘প্রথম আলো’র জন্য। সেটি ছিল প্রথম আলোর ‘বর্ণিল বিয়ে’ ম্যাগাজিনের ব্রাইডাল শুট।
কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? ‘কিছুটা ভয় তো ছিলই। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। তবে ভালো লাগাটাও কাজ করছিল মনে,’ বলছিলেন তুষি।
আজ মুক্তি পেতে যাচ্ছে নাজিফা তুষির ‘হাওয়া’। ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া জাগিয়েছে এই চলচ্চিত্রের গান ও ট্রেলার। ক্যামেরার সামনে তুষি এখন অনেক বেশি পরিণত, প্রাণবন্ত আর উচ্ছল। আট বছরে নিজেকে বদলানোর এই পথটুকু কেমন ছিল? কীভাবেই–বা নিজেকে গড়ে তুললেন নাজিফা তুষি? চলুন, দেখে নিই তারই এক ঝলক।
২০১৪ সালে ‘প্রথম আলো’র ‘বর্ণিল বিয়ে’ ম্যাগাজিনের জন্য প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান নাজিফা তুষি। যেহেতু প্রথম কাজ, তাই মনে কিছুটা ভয় ও সংশয় ছিল। ছবি তুলেছিলেন প্রথম আলোর আলোকচিত্রী কবির হোসেন।
এরপর থেকে চলে কঠোর অনুশীলন। নিজেকে তৈরি করতে থিয়েটারে কর্মশালা করেন। নিয়মিত গান শোনেন, বই পড়েন। এতে করে তুষি অভিনয়ে হয়ে ওঠেন আরও পরিণত।
ভেতর থেকে যেমন নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন তেমনি বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়েও ছিলেন সমান সচেতন। নিয়মিত যোগব্যায়াম করতেন। নিজেকে ফিট রাখতে অ্যারোবিকস, পিলাটিস বা জুম্বা কোনো ওয়ার্কআউটই বাদ দেননি তিনি।
নিজের ত্বক ও চুলের যত্ন বরাবরই আয়ুর্বেদের ওপর ভরসা করেছেন। চুলের জন্য ঘরে বানানো তেল ব্যবহার করেন। আর ত্বকের জন্য ঘরোয়া প্যাকের ব্যবহার করতে ভালোবাসেন তুষি। জানালেন, নিয়মিত চিরতার পানি পান করে থাকেন। যদিও আয়ুর্বেদের ফল একটু দেরিতে পাওয়া যায়, তবে এর সুফল দীর্ঘমেয়াদি, বলছিলেন তুষি।
নাজিফা তুষি মনে করেন, প্রত্যেকের জীবনে একটা লক্ষ্য থাকা উচিত। লক্ষ্য নির্ধারণ হওয়ার পর সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এরপর এগিয়ে যেতে হবে সেই লক্ষ্যের দিকে। তাহলেই দেখা মিলবে সাফল্যের।