এ বছরও ঈদের দিন জমকালো সাজ থাকবে। সাজে ভারী গয়না কিংবা পোশাকে অভিজাত নকশা দেখা যাবে। কুর্তা, শাড়ি, গাউন ইত্যাদি পোশাকের কাটে তুলে ধরা হচ্ছে উৎসবের আধুনিক রূপ
পোশাকের নকশা, মেকআপ, চুলের স্টাইল আর গয়না ঠিকঠাক বাছাই করা গেলে সাজে সহজেই উৎসবের আমেজ নিয়ে আসা সম্ভব। এবার ঈদে সাজ ও পোশাকের নকশা হালকা রাখার ধারা যেমন দেখা যাবে, তেমনি জমকালো আর অভিজাত নকশার আবহও দেখা যাবে। গরমের কারণে পোশাকের উপকরণটি হতে পারে আরামদায়ক। এর ওপর জারদৌসি কাজ কিংবা জমকালো ছাপা নকশা থাকলেও পরে অস্বস্তি বোধ করবেন না।
বাসন্তী রঙের শাড়িটি জর্জেট। সঙ্গের বেল্ট আর ব্লাউজের ওপর বাড়তি ছোট পাতার মতো কাপড়টি শাড়িটিকে দিয়েছে ভিন্ন চেহারা। হাতাকাটা ব্লাউজের ওপর জারদৌসি কাজ করা রয়েছে। ব্লাউজের ওপর আলাদা করে ছোট পাতার মতো যে অনুষঙ্গটা লাগানো আছে, চাইলে সেটা অন্য কোনো পোশাক বা ব্লাউজেও লাগানো যাবে। সাধারণ খোঁপার এক পাশ দিয়ে লাগানো পালকগুলো পুরো সাজে এনেছে জমকালো ভাব। ব্লাউজের ওপর যেহেতু বাড়তি কারুকাজ আছে, তাই গলায় কোনো গয়না পরানো হয়নি। কানে রাখা হয়েছে ভারী কুন্দনের দুল আর হাতে পাথরের ব্রেসলেট। মেকআপ যতটা সম্ভব হালকা রাখা হয়েছে। এতে মাথায় পালক থাকা সত্ত্বেও সাজে আসেনি বাড়তি ভাব।
ক্রপ টপ স্টাইলের এই কাফতান দিয়ে আধুনিক থেকে এথনিক, সব ধরনের স্টাইলই করা সম্ভব। কাফতানের সঙ্গে মিলিয়ে চুলের বেণিতে পেঁচিয়ে নেওয়া হয়েছে একটি স্কার্ফ ও একটি ওড়না। গলায় রুপার তিনটি গয়না। কলারের ভেতর একটি চোকার গুঁজে দেওয়া হয়েছে। হালকাভাবে দেখা যাবে। পরের দুটি এমনভাবে পরানো হয়েছে যেন সব কটির নকশাই বোঝা যায়। কান, আঙুল আর হাতে একই ধাঁচের ভারী রুপার গয়না। মেকআপ রাখা হয়েছে হালকা। চোখের ওপর সবুজ রঙের আইশ্যাডো। নেইলপলিশেও একই রং। সাজের প্রায় সব কটি জায়গাতেই সবুজের একটি ধারা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে পুরো সাজেই এসেছে সতেজ কিন্তু জমকালো ভাব।
কামিজটির ওপরের অংশে আছে ফ্রেঞ্চ টোয়াল প্রিন্ট। পুরোনো দিনের আমেজ আনা এই ছাপা নকশা এখন আন্তর্জাতিকভাবেই ট্রেন্ডি। পোশাক থেকে শুরু করে বাড়ির অন্দরসাজেও চলে এসেছে। মসলিনের ওড়না আর কামিজের সঙ্গে রাখা হয়েছে সিল্কের প্যান্ট। কামিজের গলার কাছে কাটওয়ার্কের কাজ নজর কাড়ে। গলা ও কানের গয়নাটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরা হয়েছে। গলায় এ বছর চোকারের ব্যবহার বাড়বে। কামিজের রঙের সঙ্গে মেলানো হয়েছে আইশ্যাডোর রং। খোঁপাটি টান টান উঁচু করে বাঁধা হয়েছে। এতে পুরো সাজে এসেছে একটা পরিপাটি ভাব।
অফ শোল্ডার গাউনটির সঙ্গে কেইপ আছে। গাউনটির সামনে ও পেছনে ড্রেপিংয়ের কারণে পুরো পোশাকে এসেছে নাটকীয় ভাব। বোট–নেক গলার কারণে কেইপটি কাঁধের কাছে এসে আটকে থাকবে। কেইপের ওপর ভারী জারদৌসি কাজ করা হয়েছে। পোশাকটি রাতের দাওয়াতের জন্য আদর্শ। সিল্কের গাউনটি বানানো হয়েছে এমনভাবে যেন আঁটসাঁটভাবে শরীরকে (বডি হাগিং) জড়িয়ে থাকে।
এ বছর গরমে পরার জন্য পাতলা ভেলভেট দিয়ে বানানো পোশাকের চল দেখা যাবে। মেরুন রঙের এই কাফতানও ভেলভেটের কাপড় দিয়ে বানানো। গলায় এবং একদম নিচের অংশে কাফতানের মূল কাজ। পুরো চুল কোঁকড়া করা হয়েছে। গলা ও হাতে বেশ ভারী কাজের গয়না আছে। চাইলে একটি করেও পরা যাবে। স্বাচ্ছন্দ্যে বহন করতে পারলে একাধিক গয়নাও পরতে পারেন। ঠোঁটে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক। চোখে আইশ্যাডো দিয়ে স্মোকি ভাব আনা হয়েছে। গালের ব্লাশঅনও কিছুটা গাঢ় রাখা হয়েছে। মেকআপ আর গয়নার সঠিক মেলবন্ধন হলে যেকোনো ধরনের দাওয়াত বা বাইরে ঘোরার সময়ও কাফতান পরে বের হয়ে যেতে পারবেন।