সমুদ্রের পাশে জর্জেটের কাপড়ের মিডি ড্রেস এবং বাটিকের নকশার শার্ট মানিয়ে যাবে।
সমুদ্রের পাশে জর্জেটের কাপড়ের মিডি ড্রেস এবং বাটিকের নকশার শার্ট মানিয়ে যাবে।

মধুচন্দ্রিমায় গেলে কী পরবেন

সমুদ্র বা পাহাড়ের পাশে গেলে মানানসই পোশাক নিন। এই প্রতিবেদনে আমরা সমুদ্রপাড়ের পোশাক নিয়েই কথা বলব। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখুন।

ঘোরার সঙ্গে সাজার একটা যোগসূত্র আছে। দুটিই মন ভালো করে। আর সেই ঘোরার উপলক্ষ যদি হয় মধুচন্দ্রিমা, তাহলে তো কথাই নেই। সুন্দর পরিবেশে একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানো, ছবি তোলা, ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তগুলোয় পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। মধুচন্দ্রিমায় কোন ধরনের পোশাক পরবেন, সেই পরিকল্পনা গুছিয়ে করতে হবে। প্রয়োজনে বিয়ের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন। প্রস্তুতিতে যদি তাড়াহুড়া থাকে, তাহলে সেটার প্রভাব মধুচন্দ্রিমায়ও পড়বে।

সমুদ্রপাড়ে পরতে পারেন মিডি ড্রেস
স্বামী-স্ত্রীর পোশাকের রঙে থাকতে পারে সামঞ্জস্য।

সমুদ্র বা পাহাড়ের পাশে গেলে মানানসই পোশাক নিন। এই প্রতিবেদনে আমরা সমুদ্রপাড়ের পোশাক নিয়েই কথা বলব। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানকার আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখুন। সাগরের পাড় ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় পোশাকটি জর্জেটের হলে ভালো। শিফন বা পানিতে ভিজলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এমন কাপড়ের পোশাকও থাকতে পারে পরনে। সিল্কের শাড়ি বা কম ফোলানো লম্বা কাটের গাউনও রাখতে পারেন একটি বা দুটি, রাতের বিশেষ ডেটের জন্য। সিল্কের শাড়ি নিলে পরতে ঝামেলা কম হবে।

পশ্চিমা পোশাকে অভ্যস্ত থাকলে টি-শার্ট, ফতুয়ার সঙ্গে দুইটি প্যান্ট নিয়ে নিতে পারেন। থাকতে পারে স্কার্ট, টপ। এখন অনেকেই প্যান্টের সঙ্গে একই নকশার শার্ট বা পাতলা কাপড়ের জ্যাকেট পরে সামনের দিকে বোতাম খোলা রাখছেন। ভেতরে ট্যাংটপ বা বুস্টিয়ার পরছেন। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে সে ধরনের স্টাইলও করতে পারেন।

পোশাক আরামের হলে ঘুরেও আরাম।

এখন যেহেতু গরম, প্যান্টের রং হতে পারে সাদা বা হালকা। ছেলেদের জন্য টি-শার্ট, শার্ট যেটাই নিন, কাপড়টি যেন হয় লিনেন বা সুতি। শার্টের ওপর থাকতে পারে বাটিক কিংবা ফুলের জংলা নকশা। চাইলে স্বামী-স্ত্রী রং মিলিয়েও পোশাক পরতে পারেন। মসলিনের পোশাকও থাকতে পারে একটি বা দুটি। তবে নকশার কারণে যেন আবার গরম না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জুতার বিষয়েও একই কথা প্রযোজ্য। বালুর ওপর, পানির ওপর হেঁটে আরাম পাবেন, এমন স্যান্ডেল নিয়ে যেতে হবে। বাড়তি এক জোড়া ভালো জুতা রাখুন সঙ্গে।

মসলিনের সাদা পোশাক।

সমুদ্রের পাশে হাঁটু পর্যন্ত মিডি ড্রেসগুলোয় আরাম পাবেন। মাথার জন্য হ্যাট ব্যবহার করুন। পোশাকে থাকতে পারে বাঙি, ফিরোজা, কমলা, লাল, গোলাপি, সাদা, নীল ইত্যাদি রং। যাঁরা ছবি তুলতে পছন্দ করেন, তাঁরা পোশাকের দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিলে ভালো হয়।

বিশেষ সান্ধ্যভোজের আয়োজনে পরতে পারেন স্কার্ট-টপ।

চিত্রগল্পের আলোকচিত্রী অভিজিৎ নন্দী জানান, ভ্রমণের সময় অনেক কিছু নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। পোশাকের রং হিসেবে বেছে নিতে পারেন লাল, নীল, হলুদ আর সাদা। যেকোনো পরিবেশে বা জায়গায় ছবি তোলার জন্য আদর্শ এই চার রং। সমুদ্রের পাশে লাল, নীল দুটি রঙের পোশাকেই চমৎকার লাগবে। যদি বিশেষ কোনো ফটোশুট করার পরিকল্পনা থাকে, আগে থেকেই চিন্তা করে পোশাক আলাদা করে রাখুন।

বিয়ের ব্যস্ততার ভেতর অনেক সময়ই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নেওয়া হয় না। একটু আগে থেকে গুছিয়ে রাখলে আপনারই সুবিধা। প্রসাধনীর ব্যাগ হালকা রাখার পরামর্শ দিলেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। সানস্ক্রিন, শিট মাস্ক, কনসিলার, সানস্ক্রিনসহ প্রাইমার, বিবি বা সিসি ক্রিম, মেকআপ রিমুভার, মাসকারা, কাজল, আইব্রো পেনসিল, ফেসওয়াশ, পারফিউমই যথেষ্ট।

মসলিনের তৈরি কুর্তা এবং ফুলের নকশার শার্টে ফুটে উঠেছে ভ্রমণের আমেজ।
একসঙ্গে কাটুক সুন্দর কিছু মুহূর্ত।

খুব বেশি মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো। যতটুকু সম্ভব, চেহারা সতেজ রাখুন। অনেকেরই ভ্রমণের সময় চোখ, মুখ ফুলে থাকে। সানগ্লাস সঙ্গে রাখুন। রোদ থেকে চোখ ঢাকতে এবং ক্যামেরা থেকে চোখের ফোলা ভাব ঢাকতে সুবিধা হবে।