জন্ম বাঙালি পরিবারে হলেও পরবর্তী সময়ে তিনি হয়েছিলেন ভারতের রাজস্থানের জয়পুরের রাজমাতা। রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর গণতান্ত্রিক ভারতে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বিরোধী দল থেকে। জিতেছিলেন রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে। বলছি রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর কথা, যাঁর সৌন্দর্যে গোটা ভারতবর্ষ তো বটেই, মজেছিল ইউরোপ-আমেরিকাও। পঞ্চাশের দশকে বিখ্যাত ‘ভোগ’ সাময়িকীর বিচারে বিশ্বের সেরা ১০ সুন্দরীর একজন নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিজাত শিফন শাড়ি, হীরার গয়না, ফরাসি পারফিউম আর স্টাইলিশ সানগ্লাস আজও আলোচনায় উঠে আসে। রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য গায়ত্রীর পারিবারিক বন্ধু ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্স ফিলিপ (রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও তাঁর স্ত্রী জ্যাকুলিন কেনেডির সঙ্গে ছিল দারুণ সখ্য। বিখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পরিবারের সঙ্গেও আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন গায়ত্রী। ১৯১৯ সালে জন্ম নেওয়া এই গুণী নারী মারা যান ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই। মৃত্যুদিনে জেনে নেওয়া যাক তাঁর নানা দিক।
ছোটবেলা থেকেই গায়ত্রী ছিলেন কিছুটা ‘টমবয়’ গোছের। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন চতুর্থ। বড় বোন ইলা দেবী, তারপর দুই ভাই জগদীপেন্দ্র নারায়ণ ও ইন্দ্রজিতেন্দ্র নারায়ণের জন্ম ভারতেই। তবে গায়ত্রী দেবীর জন্ম লন্ডনে, ১৯১৯ সালের ২৩ মে সকাল আটটায়। গায়ত্রীর মা ইন্দিরা দেবী অবশ্য মেয়ের জন্মের আগেই একটা নাম ঠিক করে রেখেছিলেন। ইংল্যান্ডে থাকাকালে অন্তঃসত্ত্বা ইন্দিরা বিখ্যাত ইংরেজ লেখক হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের ‘শি’ উপন্যাসের একটি চরিত্রের নামের প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। উপন্যাসের নায়িকার নাম ‘আয়েশা’। তাই তিনিও মনে মনে ঠিক করেন, মেয়ে হলে নাম রাখবেন আয়েশা। জন্মের পরপরই গায়ত্রী দেবীকে সবাই আয়েশা নামেই ডাকতেন। তবে কোষ্ঠি লেখার সময় ‘গ’ আদ্যাক্ষর শুভ বিবেচনায় তাঁর মূল নাম হয় গায়ত্রী দেবী, আর আয়েশা হয়ে পড়ে ডাকনাম। গায়ত্রী দেবীর আরও একটি নাম ছিল—প্রিন্সেস মে। সে সময় তাঁদের বাড়িতে থাকা ইংরেজ কর্মচারীদের গায়ত্রী ডাকতে অসুবিধা হওয়ায়, তারা নাম দিয়েছিলেন প্রিন্সেস মে। গায়ত্রীর ‘মেনকা’ নামে আরেকটি বোনের জন্ম হয় পরে।
বোনেরা যখন সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত, গায়ত্রী তখন বিলিয়ার্ড বোর্ডের কাছে চলে যেতেন। কোচবিহারের এই রাজকুমারী ছিলেন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। পোলো খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম ছিল বিদেশি রাজপরিবারগুলোর মধ্যেও। নিয়মিত টেনিস খেলতেন। তাদের টেনিস শেখানোর জন্য আলাদা কোচ রাখা হয়েছিল প্রাসাদে। ছোটবেলায় হাতির পিঠে চড়তে ভালোবাসতেন। মাহুতদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে গায়ত্রী হাতিকে বশে আনার কৌশলও শিখেছিলেন। এরপর শেখেন ঘোড়া চালানো। দক্ষ ঘোড়সওয়ার হিসেবে সুনাম ছিল। একটি কুকুর, দুটি চিতাবাঘের শাবক ও একটি বানর ছিল তাঁর পোষ্য।
গায়ত্রী একবার এক সাক্ষাৎকারে জানান, নিজের বন্দুক জমা দেওয়ার আগপর্যন্ত ১২টি বাঘ ও চিতাবাঘ শিকার করেছিলেন। ১২ বছর বয়সে গায়ত্রী দেবী প্রথম একটি চিতাবাঘ এক গুলিতেই মেরে ফেলেন, যা পরে টেলিগ্রাম করে দিল্লিতে থাকা তাঁর মাকে জানানো হয়। তবে পরে প্রাণীপ্রেমী হয়ে ওঠেন গায়ত্রী, বন্য পশু সংরক্ষণ সমিতির একজন হিসেবে কাজও করেন। সে সময় পশু শিকার যে ভুল ছিল, তা স্বীকারও করে নেন পরে।
গায়ত্রী দেবী ফ্যাশনসচেতন হয়ে উঠেছিলেন তাঁর মাকে দেখে। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সাক্ষাৎকার থেকে এসব জানা যায়। তাঁর জীবনীনির্ভর বই ‘দ্য লাস্ট কুইন অব জয়পুর’ লিখেছিলেন ধর্মেন্দর কানওয়ার। সে বইয়ে গায়ত্রী বলেন, ‘আমার ফ্যাশন বোধ তৈরি হয়েছিল মায়ের কাছ থেকে। মা সে সময়ে বিশ্বের সেরা সব ব্র্যান্ড থেকে কেনাকাটা করতেন। যে কারণে নিজের মধ্যেও এ ধরনের একটি রুচি হয়তো গড়ে উঠেছিল।’
গায়ত্রীর মা ইন্দিরা দেবী কোচবিহারের রানি থাকাকালে কলকাতা ও দিল্লির বিশেষ দোকানগুলোয় নিজের স্টাইলমতো শাড়ি ও পোশাক বানিয়ে নিতেন। এই শাড়ি বা পোশাকগুলো নিজে কমপক্ষে এক বছর পরার পর দোকানগুলোকে সেসব বাজারে ছাড়ার অনুমতি দিতেন। ছোটবেলায় সাজগোজে খুব একটা মন না থাকলেও পরবর্তী সময়ে গায়ত্রী দেবীই হয়ে ওঠেন ভারতের অন্যতম ফ্যাশন আইকন। তাঁর স্টাইলটাই যেন রাজপরিবারগুলোর একধরনের ইউনিফর্ম হয়ে ওঠে।
গায়ত্রী দেবী ও তাঁর মা প্রথম ফ্রান্সের অভিজাত শিফন কাপড় দিয়ে শাড়ি তৈরি করে পরতে শুরু করেন। প্যারিসের একটি ফ্যাশন হাউসকে বলে বিশেষভাবে ৪৫ ইঞ্চি চওড়া শিফন শাড়ি বানিয়ে আনতেন গায়ত্রী। তাঁর শাড়ি বিশেষভাবে তৈরি হতো ফ্রান্সের লিওনের নির্দিষ্ট কিছু তাঁতে। তাঁর ওয়ার্ডরোবে দেখা মেলে প্রচুর প্যাস্টেল শেডের শিফন শাড়ির। শিফনের সঙ্গে মুক্তা ও হীরার গয়না এবং সানগ্লাস ছাড়া খুব কমই দেখা দিতেন। পঞ্চাশের দশকে ‘ভোগের’ বিচারে বিশ্বসেরা ১০ সুন্দরীর একজন নির্বাচিত হন গায়ত্রী।
ভারতের কোচবিহার রাজপরিবারের মেয়ে গায়ত্রী দেবীর বিয়ে হয়েছিল জয়পুরের মহারাজা দ্বিতীয় মান সিংয়ের সঙ্গে। বন্ধুরা যাঁকে ডাকতেন জয় বলে। গায়ত্রী ছিলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী, গোলাপি শহর জয়পুরের মহারানি। রাজকুমারী হয়েও জয়পুরের মহারাজার তৃতীয় স্ত্রী হয়েছিলেন ভালোবেসে।
উটিতে যখন তাঁদের প্রথমবার দেখা হয়, গায়ত্রীর বয়স ৫ বছর। ১৩ বছরের রাজপুত্র দ্বিতীয় মান সিং সে সময় উটিতে তাঁদের প্রাসাদে ভারতীয় খাবার খাওয়ার জন্য দাওয়াত চেয়েছিলেন। এরপর গায়ত্রীর বয়স যখন ১২, তখন হঠাৎ গায়ত্রীদের কলকাতার প্রাসাদ উডল্যান্ডে আসেন দ্বিতীয় মান সিং, তত দিনে তিনি জয়পুরের মহারাজা। ১৯৩১ সালের বড়দিনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি। রাজপুত সেবার রোলস-রয়েস গাড়ি চালিয়ে উডল্যান্ডে এসেছিলেন।
নায়কোচিত চেহারা ও তুখোড় পোলো খেলোয়াড় হিসেবে সে সময় জয়পুরের রাজপুত দেশে-বিদেশে নামজাদা। এর মধ্যে গায়ত্রী তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। ২১ বছরের জয় তখন দুই বিয়ে করে ফেলেছেন। পরের শীতে আবার কলকাতায় এসে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান পোলো অ্যাসোসিয়েশনের কাপ জেতেন জয়। আর সেই খুশিতে গায়ত্রীর মা তাঁকে বলেন, ‘আজ তুমি যা চাইবে, তা-ই দেব।’ সবাইকে অবাক করে জয় বলেন, ‘গায়ত্রীকে নিয়ে ফিরপো রেস্তোরাঁয় ডিনারে যেতে চাই।’
এই প্রথম কামিজ ছেড়ে শাড়ি পরলেন গায়ত্রী দেবী। একপলকেই যেন কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে গেলেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে জয় ও গায়ত্রীর দেখা হতে থাকে। রাজকীয় অতিথি হিসেবেও দুই পরিবারের যাতায়াত ঘটে দুই রাজ্যে। এরই ফাঁকে জয় একবার ইন্দিরা দেবীর কাছে আড্ডাচ্ছলে বলে ফেলেন, গায়ত্রী বড় হলে ওকে বিয়ে করতে চাই। ইন্দিরা দেবী বিষয়টা ঠাট্টা বলেই ভেবেছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে গায়ত্রী চুটিয়ে প্রেম করতে থাকেন জয়ের সঙ্গে। এরই একফাঁকে কাউকে কিচ্ছু না জানিয়ে দুজনে মিলে সেরে ফেলেন বাগদান। দুজনের নামের আদ্যাক্ষর আংটির ভেতরের দিকে খোদাই করা হয়, যাতে বাইরে থেকে চোখে না পড়ে। তাঁদের পাগলপারা প্রেম সে সময়ে ইংল্যান্ডে বেশ আলোচনার বিষয় ছিল।
এভাবেই ভারতে ফিরে ১৯৪০ সালের ৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়পুরের মহারানি হিসেবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন গায়ত্রী দেবী। বিয়েতে আমন্ত্রিত হয়ে গোটা ভারতের বিভিন্ন রাজপরিবার কোচবিহারে আসেন। অনেকে আবার বিশ্বযুদ্ধ থাকায় আসতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিয়েতে উপহার হিসেবে গায়ত্রী পেয়েছিলেন তাঁর প্রিয় কালো বেন্টলি গাড়ি, দুই আসনবিশিষ্ট প্যাকার্ড, হিমালয়ের পাদদেশ মুসৌরিতে একটি বাড়ি, প্রচুর হীরা-জহরত ইত্যাদি। গায়ত্রী-জয়ের একমাত্র সন্তান প্রিন্স জগৎ সিংয়ের জন্ম তাঁদের বিয়ের ৯ বছর পর।
রাজস্থানের জয়পুরে ১৯৪৩ সালে মেয়েদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন গায়ত্রী। সে সময় এই স্কুল নারীশিক্ষা বিস্তারে রেখেছিল বিশেষ ভূমিকা।
বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলো। ভারত স্বাধীন হলো। ধীরে ধীরে কমতে শুরু করল রাজপরিবারগুলোর ক্ষমতা। জয়পুরের রাজমাতাকে একবার দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন অনেকে। অনেক রাজপরিবারে তখন পর্দা থাকলেও গায়ত্রী সেসবে অভ্যস্ত ছিলেন না। তিনি ঘোড়া ছোটাতেন, পার্টিতে যেতেন, গাড়ি চালাতেন প্রকাশ্যে।
রাজমাতা গায়ত্রী ১৯৬২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ভারতের রাজনীতিতে আসেন। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় হন আরও দুই বছর আগে থেকে।
বাইরের জনগণের কাছে সেটা হঠাৎ মনে হলেও, গায়ত্রীর কাছে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার অনুরোধ আসছিল। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস থেকেই তাঁকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। তবে স্বামীর আপত্তি না থাকলেও নিজে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। তাই তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত না নিয়ে সময় চান। পরে বিনয়ের সঙ্গেই ‘না’ করে দেন।
১৯৬২ সালে রাজনীতির মাঠে এসেও দারুণভাবে সফল হন রাজমাতা গায়ত্রী দেবী। জয়পুর থেকে পরপর তিনবার লোকসভার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতাকে হারিয়েছিলেন রেকর্ড পরিমাণ ভোটে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও তাঁর নাম ওঠে। সেবার এককভাবে ৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন গায়ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তাঁর সেই গল্প জন এফ কেনেডি শুনিয়েছিলেন এক ভরা মিটিংয়ে। মার্কিন ফার্স্ট লেডি জ্যাকুলিন কেনেডিও দারুণ পছন্দ করতেন গায়ত্রীকে। খুব ভালো বন্ধু ছিলেন তাঁরা।
১৯৭০ সালে রাজা দ্বিতীয় মান সিং মারা যান ইংল্যান্ডে এক পোলো মাঠে। গায়ত্রী তখন দর্শকের আসনে। এরপর ১৯৭৫ সালে ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করে ইন্দিরা গান্ধী সরকার। তত দিনে রাজপরিবারগুলোর ভাতাও বন্ধ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক রোষে ও জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করে জুলাই মাসে গ্রেপ্তার হন গায়ত্রী দেবী ও তাঁর ছেলে প্রিন্স জগৎ সিং। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস তিহার জেলে বন্দী ছিলেন গায়ত্রী। আয়কর আইন ভঙ্গের দায়ে তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা বলেছিল সরকার।
অনেকে বলেন, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে ছোটবেলায় একই সময়ে পড়াশোনা করার সুবাদে ইন্দিরা ও গায়ত্রীর মধ্যে একধরনের রেষারেষি ছিল। রাজকুমারী হিসেবে শান্তিনিকেতনে বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় তাঁকে ঈর্ষা করতেন ইন্দিরা। তবে গায়ত্রী দেবী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন শান্তিনিকেতনে পড়তে যান, ইন্দিরা গান্ধী তত দিনে শান্তিনিকেতনের পাট চুকিয়ে বেরিয়ে গেছেন।
বাঙালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আত্মীয়তা গড়েছিলেন গায়ত্রী দেবী। তাঁর বড় বোন ইলা দেবীর বিয়ে হয় ত্রিপুরার রাজপরিবারে। ইলা দেবীর ছেলে ভারত রায় বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয় সুচিত্রা সেনের মেয়ে মুনমুন সেনের। বোনের ছেলে ভারত রায়কে ছোটবেলা থেকে খুবই ভালোবাসতেন গায়ত্রী দেবী। তাই অভিভাবক হিসেবে এই বিয়ে তিনি নিজেই পাকাপাকি করেছিলেন সুচিত্রা সেনের সঙ্গে বসে। বিয়ের পর থেকে গায়ত্রী কলকাতায় এলেই মুনমুন-ভারতের বাড়িতে আসতেন। কয়েকটা দিন তাঁদের সঙ্গেই কাটাতেন।
গায়ত্রী দেবী তাঁর আত্মজীবনী ‘এ প্রিন্সেস রিমেম্বার’ প্রকাশ করেন সত্তরের দশকে। প্রকাশের পরই দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। ২০২০ সালে তাঁর ওপর আরও একটি বই প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য হাউস অব জয়পুর’ নামে। অস্ট্রেলীয় লেখক জন যুবরস্কির লেখা বইটিতে উঠে এসেছে ভারতের অন্যতম জাঁকজমক রাজপরিবারের ভেতরের নানা কথা। বলা বাহুল্য, বইটির সিংহভাগজুড়ে আছে গায়ত্রী দেবী ও দ্বিতীয় মান সিংয়ের প্রেম-বিয়ে-দাম্পত্য।
বছর দুয়েক আগে অবশ্য ঘোষণা এসেছিল, গায়ত্রী দেবীর ওপরে ওয়ের সিরিজ তৈরি করছে এক নামকরা বিদেশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন গায়ত্রী দেবীর নাতি দেবরাজ সিং। সিরিজটি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
২০০৯ সালের আজকের দিনে গায়ত্রী দেবীর ৯০ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান ঘটে।
সূত্র: বিবিসি (ফেস টু ফেস), ভোগ, এনডিটিভি, স্টার জলসা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, আইটিভি ইন্ডিয়া, সিমি গারওয়ালের নেওয়া সাক্ষাৎকার, এ প্রিন্সেস রিমেম্বারস, ইন্ডিয়া ডটকম ও দূরদর্শন