একটা সময় ছিল যখন পরার পর সুন্দর লাগাটাই ছিল পোশাকের মূল বিবেচ্য। আরাম ও নিজস্বতা আছে কি নেই, অনেকেরই সেটা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না। তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন কিন্তু আরামটাই মুখ্য, পাশাপাশি তারা তৈরি করতে চায় নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট।
এই দুই চাহিদা মেটাতে অনেকেই পরছেন কামিজ বা শার্ট কামিজ। ফ্যাশন হাউসগুলোতেও ওয়ান পিস হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে। ক্যাজুয়াল বা আধা আনুষ্ঠানিকভাবে যখন তৈরি হন, ওয়ান পিসের এই পোশাকগুলোকে মিক্সড অ্যান্ড ম্যাচ ধারায় যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়। এতে একই পোশাকে নিয়ে আসা যায় ভিন্নতা।
একই স্কার্ফ নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। কখনো গলার পেছন থেকে সামনের দিকে ঝুলিয়ে, কেউ কেউ তো আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ব্যাগের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন স্টাইলিশভাবে।
একই স্কার্ফ নানা নকশার ওয়ান পিস কামিজ বা কুর্তার সঙ্গে বহন করা যায়। দাওয়াতের সময় গলার সঙ্গে ফুলের মতো করে বেঁধে নিতে পারেন। মালার কাজও হয়ে যাবে। আরেকটি না হয় কামিজের সঙ্গে হাতে রাখলেন ঝুলিয়ে।
জিনসের প্যান্টের সঙ্গে অনেকেই পরেন খাটো কুর্তা বা লম্বা ধাঁচের ওয়ান–পিস কামিজ। এগুলো পরে আরাম পাওয়া যায় আর সহজে তৈরিও হওয়া যায়। প্যান্টের সঙ্গে কামিজ বেছে নেওয়ার সময়, সেটার কাট খুব ঐতিহ্যবাহী না হলেই ভালো।
জিনসের প্যান্ট যখন পরছেন, এমনিতেই পুরো সাজে সমসাময়িক ভাব চলে আসে, সেটাকে বজায় রাখতে পারলেই ভালো। জিনসের প্যান্টের মাপ ও কাট, দুটোর মানই যেন ভালো হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। শার্ট স্টাইলের কামিজের মজা হলো দুটো, লুকই পাওয়া যায়। চাইলে সামনের সবকটি বোতাম বন্ধ করে রাখতে পারেন, আবার খোলা রেখেও স্টাইল করা যায়।
নীল রঙের কামিজটি সিল্কের, বাঙ্গিরঙা কামিজটি সুতির। দুটি কামিজই ওয়ান–পিস হিসেবে দোকান থেকে নেওয়া। এরপর এগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে মেলানো হয়েছে ওড়না। এই দুটি পোশাককে পরা হয়েছে আনুষ্ঠানিক কাটের একটি প্যান্টের সঙ্গে। সাজেও আছে একই ধারা।
ওয়ান–পিস হিসেবে কামিজগুলো কেনার সময় অনেক বাছবিচার করা হলেও পরার সময় অত হিসাব–নিকাশ না করলেও চলবে। তবে যাঁরা খুব সাধারণ কামিজটিকে স্টাইলিশভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁরা বাকি অনুষঙ্গগুলোর দিকে নজর দিন—ব্যাগ, গয়না, জুতা, প্যান্ট, স্কার্ফ, রোদচশমা, চুলের স্টাইল, মেকআপ।
যেকোনো জায়গায় স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করার জন্য ওয়ান–পিস কামিজ অন্যতম সেরা পোশাক। বিশেষ উপলক্ষ, উৎসব, অফিস বা কলেজে পরার জন্য সব বয়সের মেয়ে ও নারীদের জন্য এ ধরনের পোশাকের মাধ্যমে সহজেই অভিজাত, আধুনিক, জমকালো ও আটপৌরে লুক তুলে ধরা যায়।
চাপা কাটের প্যান্ট বেছে নিলে একটু লম্বাটে ধাঁচের কামিজ বা শার্ট কামিজ বেছে নিতে পারেন। ঢোলা কাটের প্যান্টের সঙ্গে মানিয়ে যাবে তুলনামূলক খাটো কাটের কামিজগুলো। তবে বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার ওপর। আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে উল্টোটাও করতে পারেন।