যৌথ পরিবারে কেটেছে ডিজাইনার ঊর্মিলা শুক্লার ছোটবেলা। তাঁরা ছিলেন পাঁচ বোন। প্রতিবারই তাঁদের জন্য একই রকমের পোশাক তৈরি করে দিতেন তাঁদের কাকি। যদিও পোশাকের রং থাকত ভিন্ন। কিন্তু দেখা যেত, কেমন করে যেন ঊর্মিলা শুক্লার ভাগেই পড়ত সাদা পোশাক। ‘সেই থেকে সাদার প্রতি আমার ভালোবাসার শুরু,’ বলছিলেন ফ্যাশন হাউস খুঁতের এই স্বত্বাধিকারী। এখনো তাই পূজার পোশাক বললেই ঊর্মিলার চোখে খেলা করে শুভ্রতা। খুব জমকালো কিছু নয়; বরং স্নিগ্ধ রঙের পোশাকে নিজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, আরাম পান, নিজের নকশা করা পোশাকগুলোতেও সেই আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
শুধু পোশাকই নয়, নিজেদের বাড়িটিকেও স্নিগ্ধ করে সাজিয়েছেন ঊর্মিলা শুক্লা ও তাঁর স্বামী রাহুল আনন্দ। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে তাঁদের সেই বাড়ি ঘুরে গেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। এই বাড়ির প্রতিটি কোণেও ছড়িয়ে আছে মায়া আর যত্নের পরশ, ঠিক যেন ঊর্মিলা শুক্লার নকশা করা পোশাক।
ঊর্মিলা শুক্লার পূজার পোশাকগুলোতেও দেখা যায় সাদার আধিক্য। ছিমছাম তাঁতের শাড়িতে রং আর বুননে খেলা করে মায়াবী এক আবহ। তাই তো ‘শাপলাবানু’, ‘কল্যাণী’, ‘চন্দনীবুটি’, ‘ময়ূরাক্ষী’ নামে পূজার শাড়িগুলোতে নানা আঙ্গিকে সাদার ব্যবহার দেখা যায়। অষ্টমীর দিন সকালে লালপেড়ে সাদা শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় জড়ানো সাদা ফুল আর পায়ে আলতা থাকলে যেন আর কিছুই লাগে না। তেমনি আবার পূজার বিকেলে লাল রাজনন্দিনী শাড়ির সঙ্গে নাকের তামাটে নথ যেন পূর্ণ করে পূজার সাজ, এমনটাই মনে করেন ঊর্মিলা।
উৎসবের দিন এমন পোশাকে সেজে যে কেউই হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। ‘নকশা’র আয়োজনে ঊর্মিলা শুক্লা নিজের নকশা করা পোশাকে দেখালেন ষষ্ঠী থেকে দশমীতে কেমন হতে পারে পূজার সাজ।