আপনার কি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ওই রেড কার্পেট লুকটার কথা মনে আছে? এপ্রিলের শুরুতে নিতা-মুকেশ আম্বানি সংস্কৃতিকেন্দ্র উদ্বোধনের লালগালিচায় যে পোশাকে হাজির হয়েছিলেন পিসি? সেই আয়োজন এতটাই আন্তর্জাতিক মিডিয়া আর ফ্যাশন–বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছে যে বলা হচ্ছে, এটি নাকি ‘ভারতের মেট গালা’। জিজি হাদিদ, জেন্ডায়াদের ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছিল প্রিয়াঙ্কার পোশাকটি। সেটিকে অনেকে বলেছেন স্কার্ট, অনেকে গাউন—যা-ই হোক না কেন, দেখতে কিন্তু বেশ স্টাইলিশ।
প্রিয়াঙ্কার সেই পোশাক বানানো হয়েছিল ৬৫ বছরের পুরোনো একটি শাড়ি কেটে। হ্যাঁ, শাড়ি কেটে জামা বানিয়ে কেবল আমরাই পরি, এমন নয়; প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও পরেন বটে। আর প্রিয়াঙ্কার জন্য সেই কাজ করে দিয়েছিলেন ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার অমিত আগারওয়াল। ভিনটেজ লুকের জন্য ওপরের অংশে তিনি দিয়েছিলেন বেগুনিরঙা চুমকির একটি টপ। পোশাকটি সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কার স্টাইলিস্ট অমি পল বলেন, ‘পুরোনো শাড়ি দিয়ে এ রকম আধুনিক পোশাক বানানোর মধ্য দিয়ে ভারতীয় আর পশ্চিমা পোশাকের সংস্কৃতিকে একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা যেমন একই সঙ্গে ভারতীয় আর আন্তর্জাতিক, প্রিয়াঙ্কার পোশাকও তা–ই।’
পুরোনো পোশাকে ‘ভ্যালু অ্যাড’ করা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। শাড়ি দিয়ে নিজেরা ডিজাইন করে গাউন বানিয়ে বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছি আমরা অনেকেই। শার্টকে ব্লাউজ বানিয়ে অফিসের প্রোগ্রামে হাজির, এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। ফুলপ্যান্ট কেটে হাফপ্যান্ট বানিয়ে নেওয়ার স্টাইল কখনো পুরোনো হয় না। আর এখন শাড়ি রিসাইকেল আর আপসাইকেল করে আধুনিক, পশ্চিমা, স্টাইলিশ পোশাক বানানো স্বীকৃতি পাচ্ছে ফ্যাশন–বিশ্ব আর গুরুত্বপূর্ণ সব রেড কার্পেটেও। তেমনই কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ও ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর মিশা মমিন।
সময়ের সঙ্গে শাড়ির অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে একটা শাড়ি একবার পরে ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে ছবি দিলে সেটি আর পরতে ইচ্ছে করে না অনেকেরই। এমন অবস্থায় আপনিও আলমারি ঘেঁটে দেখতে পারেন, কোন শাড়িগুলো ‘শাড়ি হিসেবে’ আর পরা হবে না। বানিয়ে ফেলুন পছন্দসই পোশাক।