৩৩ বসন্ত পেরিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতাগুলো উপভোগ করছেন টেলর সুইফট। ‘সুইফটি’দের মাতামাতি যে ভেঙে ফেলেছে সব বাঁধ। ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি স্ট্রিম করা সংগীত তারকা টেলর সুইফট। এ বছর ট্যুর করেও গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। প্রায় দুই দশক ধরে বিশ্বসংগীতে চলছে তাঁর রাজত্ব। টাইম ম্যাগাজিন থেকে যখন ৩৩ বছর বয়সী টেলরকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনাকে আমরা পার্সন অব দ্য ইয়ার হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। এ জন্য আপনার একটা ফটোশুট করব।’ টেলরের প্রথম কথা ছিল, ‘আমি কি আমার বিড়ালগুলোকে সঙ্গে আনতে পারি?’ ফলে স্বীকৃতির সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসার বিষয়টিও।
টেলর নিজের অনুভূতি জানিয়ে টাইম ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমি এই বিশ্বের সবচেয়ে গর্বিত আর সবচেয়ে সুখী মানুষ। আমার মনে হচ্ছে, এই ৩৩ বছর বয়সে এসে বুঝি আমার কপাল খুলে গেল। জীবনে এই প্রথমবার আমার মনে হচ্ছে, বাকি জীবনে যা কিছুই আসুক না কেন, ঠিক সামলে নেব।’এ বছরই গ্রীষ্মে বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড গড়েছে এই মার্কিন তারকার ‘ইরাস ট্যুর’। তাঁর কনসার্টের টিকিটের চাহিদা এত বেশি ছিল যে একপর্যায়ে টিকিট মাস্টারের ওয়েবসাইট ক্রাশ করে। বিষয়টি মার্কিন সিনেটের শুনানিতে পর্যন্ত গড়ায়।তবে এই স্বীকৃতি এত সহজে আসেনি। টেলর বলেন, ‘প্রতিবার ১৮০ মিনিটের শো শেষে আমি ঠিকমতো হাঁটতেও পারি না। খাওয়া ছাড়া বিছানা থেকে উঠি না। মাঝেমধ্যে বিছানায় খাই। পা ফেললে মনে হয়, এই বুঝি পা ভেঙে পড়ে যাব।’১১টি গ্র্যামি উঠেছে টেলরের হাতে। ৫৮ বার নাম লিখিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।এ বছর ইরাস ট্যুরের পর টেলরের ক্যারিয়ারের গ্রাফ যেন একলাফে উঠে গেছে অনেকটাই। বিশ্বসংগীতের আলাপের একটা বড় অংশজুড়ে হয়েছে টেলর সুইফটকে নিয়ে।প্রতিবছর বিশ্বরাজনীতি, কূটনীতি আর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিত্বরা পান টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি। এই বছর টেলর সুইফটকে এই সম্মাননা দেওয়ার মাধ্যমে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ অবদানকেও যেন স্বীকৃতি দেওয়া হলো।গত গ্রীষ্মে সিয়াটলে কনসার্টের টিকিট না পেয়ে হাজারো ভক্ত ভেন্যুর বাইরে গাড়ি পার্ক করে জড়ো হয়েছিলেন শুধু টেলর সুইফটের গান শোনার জন্য। তাঁর কনসার্ট সেখানে যে কম্পন তৈরি করেছিল, তা ২.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের সমান।মার্কিন ফুটবলার ট্রাভিস কেলসির সঙ্গে তাঁর প্রেম রয়েছে চর্চায়। এ বছর এই জুটি হয়েছেন ‘কাপল অব দ্য ইয়ার’।