নতুন দুনিয়ায় পা রাখলেন জিনাত আমান

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পা রাখলেন জিনাত আমান
ছবি : ইনস্টাগ্রাম

এখনকার যুগে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়া জীবন যেন চলেই না। ব্যক্তিগত খবর জানা, জানানো, বার্তা-চালাচালি, আড্ডাবাজি থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের খবর রাখা—সবকিছুর জন্যই এখন সবাই এগুলোর ওপরই নির্ভর করেন। হয়তো আপনিও এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতেই পড়ছেন। তারকাদের জন্য তো এগুলো আরও জরুরি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে পারেন তাঁরা। বুঝতে পারেন, তাঁদের কোন কাজ ভক্তরা কীভাবে গ্রহণ করছেন। শুধু তা–ই নয়, এগুলোতে ফলোয়ারের সংখ্যাও নির্ধারণ করে দেয় তারকা হিসেবে তাঁদের ওজন ও কদর।

তবে এত দিন সে পথ মাড়াননি সত্তরের আবেদনময়ী অভিনেত্রী জিনাত আমান। ১৯৭০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিকের খেতাব জিতে পা রেখেছিলেন বলিউডে। আর এবার একাত্তর বছর বয়সে পা রাখলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি তিনি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ইনস্টাগ্রামে। পোস্ট করেছেন ডোরাকাটা জামার একটা ক্যাজুয়াল ছবি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘জীবন আমাকে কোথায় কোথায় নিয়ে গেছে। চলে এলাম, ইনস্টাগ্রাম।’

পেয়েছেন ভক্তদের বিপুল সাড়া

স্বাভাবিকভাবেই ভক্তদের থেকে পেয়েছেন বিপুল সাড়া। অনেকেই মন্তব্যে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন এই ছবি ও ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্মে। একজন লিখেছেন, ‘অনেক অনেক উষ্ণ অভ্যর্থনা! আমরা অনেকেই আপনাকে মিস করছিলাম।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এক ও অদ্বিতীয় (জিনাত আমান)। গ্রামে (ইনস্টাগ্রামে) স্বাগতম, ম্যাম।’
পরদিন একই পোশাকে আরেকটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। প্রথমটি ছিল ফুল বডি শট, পরেরটি পোর্ট্রেট। তাতে জানিয়েছেন, ছবিগুলোর কারিগরের পরিচয়। মুম্বাইভিত্তিক আলোকচিত্রী তানিয়া আগরওয়াল। লিখেছেন, ‘ঘরের স্বস্তির মধ্যে থেকেই ছবিগুলো তুলেছে তরুণ আলোকচিত্রী তানিয়া। লাইট ছাড়া, মেকআপ আর্টিস্ট ছাড়া, হেয়ারড্রেসার ছাড়া, স্টাইলিস্ট ছাড়া, কোনো সহকারী ছাড়া। দুজনে দারুণ উষ্ণ এক বিকেল কাটিয়েছি।’

সত্তরের দশকে জিনাত আমান

মনে করেছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা, ‘সত্তরের দশকে চলচ্চিত্র ও ফ্যাশন জগৎ ছিল সম্পূর্ণরূপে পুরুষ–নিয়ন্ত্রিত। প্রায়ই দেখা যেত, সেটে আমি একাই নারী। ক্যারিয়ারে বহুবার প্রতিভাবান পুরুষের ক্যামেরায় বন্দী হয়েছি। কিন্তু একজন নারীর দৃষ্টি স্বভাবতই ভিন্ন।’
এখানেই এসেছে পরিবর্তন। অন্য সব ক্ষেত্রের মতো এই জগতেও নারীরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের দেখতেই তিনি এসেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনটাই লিখেছেন আমান, ‘ক্যামেরার দুই পাশেই এখন নারীরা কাজ করছে। এটা দারুণ ব্যাপার। প্রতিভাবান এই নারীদের কাজ দেখতেই আমি ইনস্টাগ্রামে এসেছি।’

নারীদের কাজ দেখতে ইনস্টাগ্রামে এসেছেন জিনাত আমান

সে যে কারণেই আসুন, নেটিজেনদের জন্য এ এক বড় পাওয়া হয়ে এসেছে। তার সাক্ষ্য বহন করছে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটিই। প্রথম দুই দিনে মাত্র দুই পোস্ট দিয়েই ১০ হাজারের ওপরে ফলোয়ার পেয়ে গেছেন আমান। ছবি দুটোতে লাইক কুড়িয়েছেন যথাক্রমে ৯ হাজার ও ১১ হাজারের বেশি।

তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া