সাজার ক্ষেত্রে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কিশোরীদের চুলের সাজ হবে একরকম, বাড়ির কর্তী হিসেবে বদলে যাবে চুলের সাজের ধরন
বৈশাখের প্রথমার্ধে ঈদ। উত্তাপ ও গুমোট—দুটিই থাকার কথা। সব মিলিয়ে তাই এমন দিনের সাজসজ্জায় স্বস্তিটাই হয়ে দাঁড়ায় মুখ্য। খোলা চুলেই অনেকে খুঁজে পান স্বাচ্ছন্দ্য। আবার অনেকে আঁটসাঁট করে বেঁধে রাখতে চান সারাবেলা। ব্যক্তিত্ব, রুচি আর পছন্দের পাশাপাশি আবহাওয়াও এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সৌন্দর্যের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যের সম্মিলন হওয়া জরুরি। বয়স আরেকটি বিষয়। বয়সের সঙ্গে বাড়ে দায়িত্ব, বদলে যায় সাজের ধরন। কিশোরীরা অনায়াসেই তাদের চুলের জন্য বেছে নেয় মজাদার সব স্টাইল। বড়দের স্টাইলের ভাবনা আবার আলাদা। দিনের কোন সময় কোন সাজ মানানসই, সেটিও ভাবনায় রাখতে হবে। ঈদের দিনের চুলের সাজের নানা দিক নিয়ে জানিয়েছেন রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন।
কিশোরী বয়সে অনেকেই চুল বড় রাখতে ভালোবাসে। চুল বড় হলেও দিনের শুরুতে চুল ছেড়ে রাখা যেতে পারে। খোলা চুলে একটু ঢেউখেলানো ভাব ঈদের সকালে আনবে স্নিগ্ধতা। কিছু চুল নিয়ে ফ্রেঞ্চ বেণি করে সেটি পাশে এনে আটকে দেওয়া যেতে পারে। যেকোনো পোশাকেই দারুণ দেখাবে।
বড়রা চাইলে সকালে ঝুঁটি করে নিতে পারেন। পরিপাটিভাবে চুল না আঁচড়িয়ে বরং খানিকটা এলোমেলো ভাব রাখা যেতে পারে। দিনের শুরুতে এভাবে চুলের স্টাইল করে নিয়ে একটু ‘ক্যাজুয়াল’ থাকলেই ভালো লাগবে। এভাবে চুল বাঁধলে চুল ঘনও দেখাবে।
দুপুরে সব বয়সী নারীরাই চুল বেঁধে রাখলে স্বস্তি পাবেন। কিশোরীরা মাথার পেছন থেকে দুটি ফ্রেঞ্চ বেণি করে এনে দুপাশে দুটি খোঁপা করে নিতে পারেন। চুলের এমন সাজ বেশ আধুনিক দেখাবে, সৌন্দর্যও ফুটে উঠবে।
বড়রা অবশ্য দুপুরে একটা খোঁপা বেঁধে নিতে পারেন। দুই পাশ থেকে চুল একটু ছাড়া ছাড়া রেখে কাঁধের কাছে খোঁপা করে নেওয়ার এই স্টাইল মানাবে সালোয়ার-কামিজ কিংবা শাড়ির সঙ্গে।
সন্ধ্যা বা রাতের সাজে অভিজাত ভাব আনতে বড়রা চুল টেনে আঁচড়ে নিয়ে পেছনে লম্বাটে খোঁপার মতো করে বেঁধে নিতে পারেন। কিছু চুল পেঁচিয়ে পাশেও আনা যেতে পারে।
সন্ধ্যায় বা রাতে কিশোরীরা চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে রাখতে পারে। মাঝের দিকের চুল মনের মতো করে খানিকটা স্টাইল করে নেওয়া যায়। বাকি চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে রাখলেই সুন্দর দেখাবে।