বাঁধা চুলে আরাম পাবেন ঈদের দিন
বাঁধা চুলে আরাম পাবেন ঈদের দিন

খোলা চুলে, বাঁধা চুলের সাজে সাফা কবির

ছুটিতে ঘরে, বাইরে কিংবা শুধু ছবি তোলার জন্য হলেও সাজ নিয়ে নিরীক্ষার এই তো উপযুক্ত সময়। হয়তো আপনার চিরচেনা সাজের বাইরে বের হয়ে আসতে হবে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও সেটাই–বা মন্দ কী!

চেহারায় সতেজ ভাব থাকবে, এমন মেকআপের পাশাপাশি জমকালো বেশও দেখা যাবে। এবারের ঈদধারায় উজ্জ্বল রঙের আইশ্যাডো, সতেজ এবং কিছুটা চকচকে মেকআপও থাকছে।

ফাউন্ডেশন হালকা রেখে চোখে এবং গালের ওপর কড়াভাবে আইশ্যাডো এবং ব্লাশঅন ব্যবহার করা হয়েছে। হালকা বেগুনি রঙের আইশ্যাডো চোখ বেয়ে গালের ওপর ধীরে ধীরে গোলাপি হয়ে ছড়িয়ে গেছে। দুটোর মাঝে কোনো ফাঁক রাখা হয়নি। ঠোঁটের লিপস্টিক হালকা বাদামি টোনে রাখা হয়েছে। এতে করে চোখ আর গালের ওপরই নজর গিয়ে পড়বে।

বারবির ধারায় চুল ফুলিয়ে পেছনে উঁচু করে পনিটেইল বাঁধার চল এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়। পাশাপাশি মাথায় স্কার্ফ, টেনড্রিল (চুল বেঁধে কানের ওপর দিয়ে কিছুটা বের করে রাখা), বাবল ব্রেইড (রাবার ব্যান্ড দিয়ে বলের মতো করে বেণি), ব্যালেরিনা খোঁপা, এলোমেলো খোঁপা ইত্যাদি সবই ষাট এবং নব্বই দশক থেকে অনুপ্রাণিত। উঁচু, নিচু—দুভাবেই বাঁধা হচ্ছে চুল।

চুলে বাবল বেণি
পুরো চুলে জেল ব্যবহার করে আনতে পারেন এই লুক। জেলের বদলে ক্যাস্টর অয়েল বা তেলের সঙ্গে পানি মিশিয়েও এ ধরনের ওয়েট লুক আনা যায়। এতে করে চুলেও রাসায়নিক পদার্থ লাগল না। পুরো চেহারাতেই মেকআপ হালকা। শুধু চোখের নিচে কাজল দিয়ে লাইনার টানা। এটা সাফা কবিরের অনুরোধেই করা হয়েছে। চোখের ওপরে আইলাইনার দিয়ে লাইনার দেওয়া।

জেল দিয়ে চুল ভেজানোর একটা ধারা এ বছরের শুরুতে জনপ্রিয় ছিল। এটা এবার ঈদের মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যাবে মনে করা হচ্ছে। রাতে শিফন বা জর্জেটের শাড়ি বা পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে করে দেখতে পারেন। ঢেউখেলানো, সোজা বা কোঁকড়া—চুলে সবই থাকবে এ বছর। যার যেই চুলের গঠন, সেটা ধরেই নানা ধরনের স্টাইলে যেতে পারেন।

আন্তর্জাতিক ধারা অনুযায়ী চুল ব্লো-ড্রাই করে রাখার চলও দেখা যাচ্ছে। করার পর পুরো চুলেই একটা ফোলানো ভাব থাকে। যাঁদের চুল কোঁকড়া, গঠন ঠিক রেখে ফুলিয়ে নিয়ে পুরো চুল সেট করুন। আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী এখনো লেপটে বা সোজাসাপটাভাবে চুল আঁচড়ে বেঁধে রাখার রেওয়াজটাই বেশি। বৃষ্টির দিনগুলো পার হলে জোরেশোরে শুরু হবে চুল ফোলানোর ধারা।

চুলের ওপরের অংশে ব্লো-ড্রাই করা। কানের পাশ থেকে চুল কোঁকড়া করা হয়েছে। দেশীয় বা পাশ্চাত্য যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানাবে। নানা স্টাইলে এ ধরনের কোঁকড়া করে বেঁধেও রাখা যায়।

চিকন ভুরু রাখার ধারা আবার ফিরে এসেছে। ভুরুতে অনেকে ব্লিচ করছেন। এটাও পুরোনো ধারা ফিরে আসার ইঙ্গিত। ভুরুর ঠিক নিচে চোখ। তাতে এক রঙের উজ্জ্বল আইশ্যাডো, গ্লিটার, চোখের নিচে কাজল দিয়ে আইলাইনার, ওপর দিয়ে অল্প একটু টানা, জ্যামিতিক নকশা থাকবে আরও কিছুটা সময়।

ঈদের মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যাবে চুল ভেজা রাখার ধারা

কড়া করে ব্লাশঅন লাগানোর চল থাকবে। সাধারণত ডিওই লুকের ক্ষেত্রে কনট্যুর করার চল দেখা যায় না। তবে এ বছর ডিওই লুকের সঙ্গে কনট্যুর করা হবে। তবে সেটা ব্লেন্ড করে দেওয়া হবে। কনট্যুর করার পর ভালোভাবে বোঝা যাবে না, কিন্তু চেহারায় তীক্ষ্ণ ভাবটাও ফুটে উঠবে।

পুরো পোশাকে র‍্যাফলের নকশা। বন্ধ গলাতেও র‍্যাফল। এ কারণে চুল টেনে বাঁধা হয়েছে। ঈদের দিন এভাবেই চুল বাঁধবেন সাফা। খোঁপার পেছন থেকে কয়েকটি চুল বের করে রাখা হয়েছে ইচ্ছা করে। এটা এখনকার চলতি ধারা।

ঠোঁটের চারপাশ দিয়ে লাইনার টানা হবে আশি আর নব্বই দশকের মতো করে। এর ভেতরে হালকা বা স্বচ্ছ লিপস্টিক বা গ্লস দেওয়ার ধারা দেখা যাবে। ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর তরুণদের মাঝে নীল, সবুজ, গাঢ় বেগুনি, হলুদ রঙের লিপস্টিক পরার ধারাও কিছুটা জনপ্রিয় হয়েছে। চোখের পাশে ছোট ছোট পাথর লাগানোর ধারাও চলবে বলে জানালেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান।