লিপস্টিক লাগানোর কোনো কারণ লাগে না। তবে মন খারাপ থাকলে নাকি নারীরা লিপস্টিক বেশি ব্যবহার করেন। শ্যানেল ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিজাইনার কোকো শ্যানেলের উক্তিটি এখানে স্মরণ না করলেই নয়, মন খারাপ থাকলে বেশি করে লিপস্টিক লাগান। লিপস্টিক রূপচর্চার এমন একটি উপকরণ, কখনো পুরোনো হবে না, হারিয়েও যাবে না। করোনাকালে সবাই বাড়িতে থাকলেও এর ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল। মন খারাপের সময় মন ভালো করে দেওয়ার পাশাপাশি পণ্যটি বাড়িয়ে দেয় আত্মবিশ্বাসও। লিপস্টিকের মধ্যে লাল রংটি সব সময়ই এগিয়ে ছিল, আছে, থাকবে। তবে এখন ন্যুডের বিভিন্ন শেডও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
কিছু কিছু রং সবাইকেই মানিয়ে যায়। কোন সেই রং? জানতে একবার প্রশ্ন করেছিলাম রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খানকে। বলেছিলেন, মেরুন, রুবি রেড—প্রায় সবাইকে ভালো লাগে। যাঁদের গায়ের রং চাপা, তাঁরা যদি লালের সঙ্গে একটু কালচে কোনো রং মিশিয়ে নেন, মানাবে ভালো।
তারপরও সবার কিছু কিছু রং এবং ব্র্যান্ডের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা থাকে। অভিনেত্রী সাফা কবিরের যেমন ম্যাক ব্র্যান্ডের প্রতি আলাদা একটা আবেগই কাজ করে। অনেক বছর ধরে ব্যবহার করছেন এই ব্র্যান্ডটির লিপস্টিক। কী যেন একটা ভিন্নতা আছে ব্র্যান্ডটিতে। সাফা কবির সাধারণত ন্যুড এবং গোলাপি রঙের শেড ব্যবহার করেন। তাঁর সব সময়ের (গো টু) লিপস্টিকগুলোর মধ্যে আছে ম্যাকের সি শিয়ার, অল ফ্রাইড আপ, ফ্ল্যাট আউট ফ্যাবুলাস। হালকা শেডের এই রংগুলোতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি ব্যবহার করেন নারস ব্র্যান্ডের ডলচে ভিটা এবং স্ম্যাশ বক্সের গুলা বে শেডটি।
অভিনেত্রী, মডেল এবং উপস্থাপক পিয়া জান্নাতুলের পছন্দের ব্র্যান্ড হলো ববি ব্রাউন এবং প্যাট ম্যাকগ্রা। গোলাপি এবং ন্যুড শেডের মধ্যেই সাধারণত থাকতে পছন্দ করেন পিয়া। তবে প্রয়োজন মনে করলে দুটি শেডকে একসঙ্গে করে নিয়ে আসেন মনমতো রং।
অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়ারও আছে নির্দিষ্ট পছন্দের ব্র্যান্ড। ডিওরের ফরএভার গ্রেস শেড এবং শার্লট টিলবারির পিলো টক মিডিয়াম শেড দুটি এগিয়ে আছে ওনার পছন্দের তালিকায়। টয়ার মতে, লিপস্টিকটা এমন জিনিস, যেটা মেকআপের অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার না করলেও পরা হয়। বিষয়টি অনেকটা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হাতে মুঠোফোন নেওয়ার মতোই। অন্য কিছু না নিলেও বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যেমন হাতে মুঠোফোনটা নিতেই হয়, ওয়ালেট নিতে হয়, তেমনই লিপস্টিকও পরা হয়।