যাঁদের হাত শারীরিক গঠনের তুলনায় ভারী, তৈরি পোশাক কিনতে গিয়ে অনেক সময়ই বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন তাঁরা। পোশাকের দৈর্ঘ্য, মাপ, কাটিং ইত্যাদি সব ঠিকঠাক মিলে গেলেও হাতায় গিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। গায়ে ঠিকঠাক হলেও হাতায় আটকে যায় পোশাক। শুধু হাতার জন্য নিজের মাপের থেকেও এক বা দুই সাইজ বড় মাপের পোশাক কিনতে হয়।
অনেকেই ভাবেন, স্বাস্থ্য একটু ভালো হলে কোনো পোশাকেই সুন্দর দেখায় না। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। যাচাই-বাছাই করে পোশাক পরিধানে নিজস্বতা নিয়ে আসতে পারলে স্বাস্থ্য যেমনি হোক, সুন্দর দেখাবে। তবে সবাইকে সব হাতায় মানায় না। হাত শরীরের কাঠামো থেকে ভারী হলে কুচি দেওয়া স্ফীত হাতায় বেশ মানিয়ে যায়। হাতার সামনের দিকে বেশি করে কুঁচির নকশা দিয়ে হাতের মেদ ঢেকে ফেলা যায়। এ ছাড়া স্ট্রেট কাট ও বেল বটম হাতায় ফ্রিলসের নকশাও বেশ সুন্দর দেখাবে। এসব হাতায় পোশাকের গলা কিছুটা খোলামেলা রাখা জরুরি। না হলে ভারী দেখাবে।
দেশি পোশাকে বোটনেক ও হাইনেক এড়িয়ে চলাই ভালো। মেদ আড়াল করতে চাইলে পরতে পারেন হালকা ডিজাইনের পাতলা লিনেন বা ফ্লোয়িং কাপড়ের জ্যাকেট বা কটি। হাতাকাটা পোশাকে অনেক সময় হাতের মেদবহুল পেশির ওপর চোখ চলে যায়। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যাসেল, ফ্রিল বা পুঁতির কাজ ঝুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ঝোঁকের মাথায় নতুন ডিজাইনের পোশাক কেনার আগে নিজের শারীরিক গঠন যাচাই করা প্রয়োজন। অনেক সময় চোখের দেখায় ভালো লেগে গেলেই হুট করে কিনে ফেলেন অনেকে, পরে সমস্যায় পড়েন। তাই এমনটি না করে কেনার আগে–পরে দেখুন। যাঁদের হাত স্থূল, তাঁরা ঢোলা কাটের হাতা পরুন। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন কিমোনো, কাফতান ও মিডিড্রেস।
স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার পাশাপাশি যদি উচ্চতা কম হয়, আড়াআড়ি ডোরাকাটা, বড় ফুলের ছাপ এড়িয়ে চলা ভালো। সে ক্ষেত্রে মনক্রম বা এক রং ও ছোট ছাপের নকশার পোশাক পরা যেতে পারে। এতে হাতও স্থূল কম দেখাবে।
স্থান, কাল, অনুষ্ঠানভেদে নানা রকমের পোশাক পরতে পারেন। নিজের ত্বক নিয়ে আত্মবিশ্বাসীরা ডিপ ভি নেক পোশাকের সঙ্গে ঘের আছে, এমন হাতা কিংবা র্যাফেল করে কোল্ড শোল্ডার ইত্যাদি নকশার পোশাক পরতে পারেন।
অনুলিখন: আবৃতি আহমেদ