এ যেন এক ছাদের নিচে আর্ট, ক্র্যাফট, ফ্যাশনসহ অনেক কিছুর সমন্বয়। ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান লিংক রোডের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ঢাকা মেকার্সের আসর। চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সমমনা শিল্পপ্রেমীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জমজমাট ঢাকা মেকার্স। প্রধান্য পেয়েছে নতুন প্রজন্ম। তবে বর্ষীয়ানরাও চমৎকৃত হবেন। ১ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কিলার কালচার তাদের সংগীত পরিবেশন করে। মেলার অন্য পাশে ৮৫ জন শিল্পীর কাজ নিয়ে চলছে প্রদর্শনী। এই উৎসবের বৈচিত্র্যময় কর্মশালাগুলোর মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতার প্রকাশ সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন শিল্পী ও আর্টিজানরা। চার দিনের এই আয়োজনে আরও আছে জাদুঘর নামের গ্যালারি, যেখানে শিল্পীর কাজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ছাড়া আছে সাজানো খাবারের প্যাভিলিয়ন। চাইলে চা, কফি, মম, কুকিজ, পিৎজা, পাস্তা, চটপটি, ফুচকা থেকে শুরু করে যেসব খাবারকে আপন করে নিয়েছেন ঢাকার তরুণেরা, তার সবকিছুর স্বাদ নিতে পারবেন।
৮০টা ভিন্ন ভিন্ন স্টল বসেছে মেলায়রয়েছে ঘর সাজানোর অনুষঙ্গ থেকে শুরু করে জীবনযাপনের নানান অনুষঙ্গ। রয়েছে রান্নাঘর সাজানোর নানা উপকরণতরুণদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এই মেলায়। বিশেষ করে ‘ইংলিশ মিডিয়াম কালচার’–এর জেন জির আগ্রহ ছিল তুঙ্গেপ্রতিটি স্টলের পণ্যে রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। যেমন গ্যাসলাইটারের ওপর রিকশা পেইন্টে নকশার সঙ্গে বাংলা সিনেমার নামের ঐতিহাসিক ফন্টে লেখা হয়েছে ‘আগুন’, ‘আমি খারাপ’ ইত্যাদিআনিকো পেজের রয়েছে টোটা ব্যাগ, স্টিকার, ব্যাজসহ কানের দুলরয়েছে শৈলীর গয়নার সমারোহ। নিজের বা প্রিয়জনের নাম কাস্টমাইজড করেও বানাতে পারবেন গয়না খাবারের প্যাভিলনের সামনে চলছে খাওয়া আর আড্ডা। সেখানে পাওয়া যাবে ইতালিয়ান, কোরিয়ান, পাহাড়ি খাবারসহ নানা ফাস্ট ফুডের পদ। ফুড প্যাভিলিয়নের তত্ত্বাবধানে ছিলেন শেফ সামিরা ওয়াদুদবাঁশ–বেতের পণ্য পাওয়া যাবে এই মেলায়ফ্যাশনের জন্য তরুণেরা পরচুলা কিনে চুলে সেট করে নিচ্ছেন চুলেরয়েছে সেভেন ডেইজের নকশাদার নোটবুক, স্কেচবুকবেণী বুননের স্টলও ছিল, সেখানে রয়েছে টেবিলম্যাট, কার্পেট, পাপোশ‘সমস্যা’নেই পেজের পোশাক, ব্যাগ, টুপিসহ নানান পণ্যছিল রিকশা পেইন্টিংয়ের নানান দারুণ সব পণ্যআলোকি কনভেনশনজুড়ে বসেছে এই মেলা। চার দিন ধরেই চলছে চারু ও কারুশিল্পের বৈচিত্র্যময় নানা বৈচিত্র্যময় কর্মযজ্ঞছিল হাতি, ঘোড়া, ফুল, পাতা থেকে শুরু করে মজার মজার সুগন্ধি-মোমের সংগ্রহ। ছবিতে যে ছোটছোট বইগুরো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো আদতে মোম, সুগন্ধি–মোম স্বাভাবিকভাবেই তরুণদের উপস্থিতি ছিল বেশি। শীতের সন্ধ্যায় তাঁদের বেশির ভাগের পরনে ছিল লেদারের পোশাক, কুইল্টেড জ্যাকেট আর হুডি