তিন বন্ধু টিউশনি করে জমিয়েছিলেন ১৫ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে শুরু। প্রথমে পাইকারি বাজার থেকে কেনাকাটা করেন। এরপর প্রক্রিয়াকরণ, ডেলিভারি—সবই নিজেরা করেন। বর্তমানে চার ধরনের মাছ (রুই, তেলাপিয়া, পাঙাশ ও ইলিশ) ও তিন ধরনের মাংস (ব্রয়লার, সোনালি ও খাসি) পাওয়া যায় সাধ্যের বাজারে। যার মূল ক্রেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও কটেজে থাকা শিক্ষার্থীরা। সাধ্যের বাজারের সদস্যরা জানালেন, সব পণ্যের চাহিদা থাকলেও সবচেয়ে বিক্রি হচ্ছে খাসি, রুই ও ইলিশ। কম টাকায় টাটকা মাছ-মাংস পাওয়া যায় বলে ক্রেতারা এদিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করেন তাঁরা।
সাধ্যের বাজারের কার্যক্রম বর্তমানে ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভবিষ্যতে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও কার্যক্রম বাড়াতে চান সদস্যরা। অনিক দাস উল্লেখ করেন, সাধ্যের বাজারকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে।
উদ্যোগটি নিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী অনিক দাস, শয়ন মিনজী ও নন্দিনী দেবী। অন্যতম উদ্যোক্তা অনিক দাস বলেন, ‘বর্তমানে একটা মাছ বা মুরগি কিনলেই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা শেষ হয়ে যায়। দেখা যায়, অনেকে পছন্দ অনুযায়ী মাছ বা মুরগি কিনতেও পারেন না। আমরা নিজেরাও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। এরপরই সাধ্যের বাজারের পরিকল্পনা করি।’ অনিক দাস যোগ করেন, ‘অনেক বাসায় একজন বা দুজনের জন্য রান্না হয়। কিন্তু চাইলেই তাঁরা অল্প করে কিনতে পারেন না। আমাদের উদ্যোগটি তাঁদের কাজে দেবে।’
আস্ত একটা মুরগি বা মাছ সব সময় সবার লাগে না, আর আস্ত কিনতে অর্থও প্রয়োজন হয় বেশি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে ব্যাপারটা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। এসব মাথায় রেখে, সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশেষ করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া যেসব শিক্ষার্থী মেস বা হোস্টেলে থাকেন, তাঁদের পিস হিসেবে মাছ-মাংস কেনার সুযোগ করে দেয় ‘সাধ্যের বাজার’। সাধ্যের বাজার সাধ্যমতো বাজার করার ব্যবস্থা।