বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। মডেল: ইমি ও আমির
বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। মডেল: ইমি ও আমির

এই গরমে পছন্দসই ফ্যান যেভাবে বেছে নেবেন

রোদের তেজ কিছুটা কমলেও গরম থেকে কিন্তু শিগগিরই মুক্তি নেই। দিন দিন তাই ফ্যানের চাহিদা বাড়ছে। এর মধ্যে রিচার্জেবল ফ্যানের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। ক্রেতার চাহিদা ও রুচিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড ফ্যানের ব্যবহারে নিয়মিত পরিবর্তন আনছে। রাজধানীর ইলেকট্রনিক পণ্যের একজন ডিলার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গরমে শুধু সিলিং ফ্যান নয়, রিচার্জেবল ব্যাটারি ফ্যানেরও প্রচুর চাহিদা বেড়েছে। ছোট-বড় স্ট্যান্ড ফ্যান, হ্যান্ডব্যাগে রাখা যায় এমন ধরনের ফ্যানের চাহিদাও এবার অনেক বেশি। বেশির ভাগ ক্রেতা দোকানে এসে গ্যারান্টিসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্যান কিনতে চান।

ফ্যানের বাজার

বাজারে নানা ধরনের ফ্যান আছে। টেবিল ফ্যানের মধ্যে এখন চার্জে চলে এমন ধরনের ফ্যান কেনার দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। সিলিং ফ্যানের মধ্যে পাখার আকৃতিতে মিলছে নানা রকম ভিন্নতা। আগের তিন পাখার সাদামাটা নকশার বদলে এখন নানা রকম ফুলেল মোটিফ দেখা যায়। পাখায় ঢেউখেলানো নকশাও চোখে পড়ল। ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার সোহেল রানা বলেন, নিয়মিত গবেষণার কারণে এখন ফ্যানের জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়টা অনেক উন্নত হয়েছে। কম বিদ্যুৎ খরচ করে কীভাবে বেশি সময় ফ্যান চালানো যায়, সেটি মাথায় রেখেই নকশা করা হয় ওয়ালটনের ফ্যান। আছে রিমোট দিয়ে ফ্যান নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধাও।

বাজারে গতানুগতিক ফ্যানের ওয়াট থাকে ৮০-১০০। আর বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান হয় ৩৫ ওয়াটের, যা কি না ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। এই ফ্যান ৫ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে ওয়ালটন। আছে পাঁচ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা।

চাহিদা আছে নানা রকম বিচার্জেবল ফ্যানের

ফ্যানের বাজারের প্রায় অর্ধেকটাই বর্তমানে আরএফএল, ওয়ালটন, বিআরবি, সুপারস্টার, কনকা, যমুনা, এনার্জিপ্যাকসহ বিভিন্ন দেশীয় ব্র্যান্ডের দখলে আছে। দুই দশক আগে যেটা কল্পনাও করা যেত না। তখন পাকিস্তান, ভারত, চীন থেকে আমদানি করা ফ্যানের চাহিদা ছিল বেশি। বাজারও তাই বিদেশি কোম্পানির নন–ব্র্যান্ডের ফ্যানের দখলে ছিল। বিদেশি ফ্যানের বদলে দেশি ব্র্যান্ডের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত। অনেক প্রতিষ্ঠানের তিন পাখা ছাড়াও পাঁচ পাখার ফ্যান আছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ভিশন ও ক্লিক নামে ফ্যানের দুটি ব্র্যান্ড আছে। প্রচলিত ফ্যান ছাড়াও তাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান আছে। ভিশন ও ক্লিকের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। দেশে কনকা ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান উৎপাদন করছে ইলেকট্রো মার্ট। বর্তমানে তাদের উৎপাদিত ৪৬ ইঞ্চি থেকে ৫৬ ইঞ্চি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৩৯০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪৮০ টাকা। এসব ফ্যানও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ফ্যানের বাজারে আরেক ব্র্যান্ড সুপারস্টার। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ফ্যান উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে তারা সিলিং, এগজস্ট ও বিভিন্ন ধরনের টেবিল ফ্যান তৈরি করছে। বিআরবি ব্র্যান্ডের ৪৮ ইঞ্চির ফ্যান ৩ হাজার ৩৮০ টাকা ও ৫৮ ইঞ্চির সিলিং ফ্যানের দাম পড়বে ৩ হাজার ৫৩০ টাকা। যমুনা ইলেকট্রনিক ফ্যানের দাম ২ হাজার ৪৭০ টাকা থেকে শুরু। তাদের রিচার্জেবল ফ্যান মিলবে ৫ হাজার ২৪৪ টাকার মধ্যে।