চলছে বর্ষাকাল। দিন-রাত কানের চারপাশে মশার গুনগুন। বেড়ে যাচ্ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া। সতর্ক হওয়া উচিত সবার। সারা দিনে মশার কয়েল, রিপ্যাল্যান্ট ক্রিম, স্প্রে ইত্যাদির ব্যবহার তো চলেই। তবে ঘুমানোর সময় ব্যবহার করা প্রয়োজন মশারি। বাড়িতে মশারি না থাকলে কিনে নিন এখনই।
বাজার ঘুরলে নানা রকম মশারি পাবেন। কেনার সময় মশারির উপকরণ, আকার, মান—সব দেখে নিলে ভালো। মশারির ভেতর বাতাস ঠিকভাবে চলাচল করে না বলে অনেকেই মশারি ব্যবহার করতে চান না। কিন্তু মশারির উপকরণ যদি ভালো মানের হয়, তাহলে এই সমস্যা হয় না। মশারি কেনার আগে এ বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞেস করে নেবেন।
ঢাকার মালিবাগের আনারকলি সুপার মার্কেটের বিল্লাল বেডিং স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিল্লাল সরদার জানান, বোনাফাইড মশারির কদর বেশি এখন। মজবুত, টেকসই ও মানে ভালো। এই মশারিগুলো ছয় থেকে সাত ফিট লম্বা হয়ে থাকে। এগুলো শুধু কিং সাইজেই পাওয়া যায়। অর্থাৎ, শুধু ডাবল বেডেই এগুলো ব্যবহার করা যাবে। দাম পড়বে ১৬০০ টাকা। বাজারে পাওয়া যায় কিং সাইজ, সেমিডাবল, সিঙ্গেল আকারের মশারি। বোনাফাইড মশারি ছাড়া আছে ম্যাজিক নেট। এই মশারিগুলো সব আকারেই পাওয়া যায়। ম্যাজিক নেটগুলোর দাম পড়বে ৬০০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্সের এপিক পিলোর বিক্রয়কর্মী আদিবা কাজী জানান, এগুলো ছাড়া আরও দুই ধরনের মশারি আছে। তৈরি করা হয় ম্যাশ ফেব্রিক দিয়ে। এদের মধ্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির মশারির দাম পড়বে ১২০০ টাকা এবং অন্যটির দাম পড়বে ৯০০ টাকা। একই ফেব্রিক দিয়ে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও দামে তারতম্য থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি মশারিতে অনেক নকশা, অন্যটিতে কম। দুটি মশারিই শুধু কিং সাইজে পাওয়া যাবে। এই মশারিগুলোর মধ্য দিয়ে বাতাসও চলাচল করে। আলসেমি বা ক্লান্তির জন্য অনেকেই মশারি টানাতে বিরক্ত বোধ করেন। ফোল্ডিং মশারি কিনতে পারেন এ ক্ষেত্রে। অনলাইন শপগুলো থেকে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
চায়না ফোল্ডিং মশারি পেজের স্বত্বাধিকারী মো. বিপ্লব জানান, চায়না থেকে নরম ম্যাশ উপকরণের ফোল্ডিং মশারিগুলো আনা হয় এবং চারটি ভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এই মশারিগুলোর ফ্রেম খুলে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে পরিষ্কার করে আবার ফ্রেমে লাগিয়ে নেওয়া যাবে। এই মশারিগুলোতে ৯৯ ভাগ বাতাস চলাচল করবে বলে তিনি জানান। মানভেদে দাম পড়বে দুই হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।