এমন কিছু জিনিস আছে, সেগুলো প্রতিনিয়তই লাগে। ফুরিয়ে গেলেই আবার কিনতে হয়। আর নতুন দোকান উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ ছাড়, মৌসুমের শেষ উপলক্ষে ছাড়, ক্লিয়ারেন্স ছাড়, ইয়ার এন্ড ছাড়, শীতকালে গ্রীষ্মকালীন পণ্যে ছাড়, গ্রীষ্মে শীতের পণ্যে ছাড়—এগুলো সারা বছর চলতেই থাকে। বিশেষ করে ডিসেম্বর মাসটা ছাড়ে পোশাক কেনাকাটা করার মাস। অনেকেই এই সময় ঈদ থেকে শুরু করে সারা বছরের পোশাক ও উপহারসামগ্রী ছাড়ে কিনে রাখেন। তারপর সারা বছর প্রয়োজন বুঝে আলমারি থেকে বের করে মোড়ক খুলে অন্যদের চমকে দেন। জেনে নেওয়া যাক, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে জামাকাপড় ও অন্যান্য ফ্যাশনপণ্য ছাড়াও কোন জিনিসগুলো কিনবেন।
পরিষ্কারক সামগ্রী
মহামারির সময় পরিষ্কারক সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল ব্যাপক আকারে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ক্লিনার হয়ে গিয়েছিল ‘বাঘের দুধ’। মহামারি পরবর্তীকালে সেই ‘বাঘের দুধ’এখন বেশ প্রতুল। তাই হাতে টাকা থাকলে কিনে রাখুন এসব পরিষ্কারক সামগ্রী। কেননা এগুলোর প্রয়োজন কখনোই ফোরাবে না।
মসলাদ্রব্য
এই উপমহাদেশের মানুষেরা মসলাদার খাবার খেতে বেশ পছন্দ করে। তবে সব মৌসুমে সব মসলা পাওয়া যায় না। অ-মৌসুমে কোনো মসলা কিনতে হলে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। আবার অনেক সময় পাওয়াও যায় না। তাই প্রয়োজনীয় মসলা কিনে মজুত করে রাখলে বেশ ভালো হয়। প্রয়োজনের সময় যাতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।
টয়লেট্রিজ
টিস্যু পেপার, টয়লেট পেপার, টয়লেট পরিষ্কারের নানা অনুষঙ্গ আমাদের লাগেই। কেননা একটা পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর টয়লেট আমাদের সবারই চাওয়া।
প্রয়োজনীয় ওষুধ
দরকারি ওষুধ যেমন গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, অ্যালার্জি, পেটব্যথা, ডায়রিয়া, ওরাল স্যালাইন, শিশুর ঠান্ডা–কাশি–জ্বর, হুট করে কেটে গেলে, পুড়ে গেলে লাগে এ রকম ওষুধ কিনে রাখতেই পারেন। ‘ইমার্জেন্সি’ সময়ে কাজে দেবে।
তবে হ্যাঁ, এগুলো সংকটের সময়ের কথা ভেবেই কিনে রাখবেন। কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে মজুত করবেন না। সেটা অনৈতিক ও আইনবিরোধী। আর মেয়াদের বিষয়টাও মাথায় রাখবেন।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট