শুরুর দিনগুলোতে মুঠোফোন ব্যবহারের প্রধান লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক যোগাযোগ। এরপর সময়ের ধারাবাহিকতায় রেডিও, গান শোনাসহ, ছবি তোলা, ভিডিও করা, গেমিংয়ের মতো নানা সুবিধা যুক্ত হয়েছে। প্রতিদিন জীবনের প্রায় সব কাজকর্মেই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। আর এখন স্মার্টফোন ক্যামেরা হয়ে উঠেছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। স্মার্টফোন বাজার বিশ্লেষকেরা জানান, ক্রেতারা স্মার্টফোনের বিভিন্ন স্পেসিফিকেশনের মধ্যে তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব দেন ক্যামেরার ফিচারে। আর তরুণদের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষেই থাকে স্মার্টফোন ক্যামেরা।
গ্রাহকের চাহিদা যখন ক্যামেরা, তখন স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলোও সেই চাহিদা পূরণে ব্যস্ত। বাজারে আসছে একের পর এক দারুণ ক্যামেরা স্মার্টফোন। তবে কিছু স্মার্টফোন সবকিছু ছাড়িয়ে যায়। বাজারে এখন তেমনি স্মার্টফোন ভিভো এক্স৬০ প্রো।
এই স্মার্টফোনের মূল আকর্ষণ ক্যামেরা, যা দিয়ে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফিও করা সম্ভব অনায়াসে।
কার্ল জেইসের লেন্স
ভিভো এক্স৬০ প্রো কার্ল জেইস লেন্সের সহ-প্রকৌশলীযুক্ত একটি ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করছে। জেইস লেন্স ব্যবহার করে অনেকগুলো শীর্ষস্থানীয় ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে। এটি বর্তমানেও পেশাদার সিনেমাটোগ্রাফারদের জন্য পছন্দের লেন্সগুলোর মধ্যে একটি। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই কার্ল জেইস লেন্সের। সুতরাং, ভিভো এক্স৬০ প্রো পেশাদার ফটোগ্রাফার, সিনেমাটোগ্রাফার ও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য হতে পারে অন্যতম আকর্ষণ।
সাধারণত পেশাদার ফটোগ্রাফাররা ছবি ও ভিডিওকে আরও নিখুঁত এবং পরিষ্কার করে তুলতে গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার করেন। ভিভো গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রো প্রযুক্তিটি এক্স৬০ প্রো স্মার্টফোনে সংযোজন করেছে। গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন চলমান অবস্থায় ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরতে পারে। যার ফলে ছবি বা ভিডিও কেঁপে যায় না। সুতরাং, আপনি চলমান পরিবেশে ক্লিক করেও একটি পরিষ্কার ছবি পেতে পারেন ভিভো এক্স৬০ প্রো থেকে।
ক্যামেরার অ্যাপারচার যত কম হয় ক্যামেরা আলো ধারণ করতে পারে তত বেশি। ফলে অন্ধকারেও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ছবি ওঠে। ভিভো এক্স৬০ প্রোর ক্যামেরা অ্যাপারচার ১ দশমিক ৪৮ মিমি। বলা হচ্ছে, এটি বাজারে থাকা কম অ্যাপারচার রেটের মধ্যে একটি। ফলে রাতের ঝকঝকে ছবি তুলবে ভিভো এক্স৬০ প্রো।
প্যানারোমা মোডে ছবি তুলতে গিয়ে হাত হালকা একটু নড়ে গেলেও ছবি ভেঙে যায়। কেননা, কেঁপে যাওয়ার পর প্যানারোমা নতুন করে শুট করা শুরু করে। এই সমস্যায় অনেকেই পড়ে থাকেন। কারণ, হাত, মোবাইল বা ক্যামেরা কোনোটিই একবারে একইভাবে সোজা রাখা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান করবে ভিভো এক্স৬০ প্রো। এর সুপার প্যানোরোমা নাইট মোডের সঙ্গে জেইস লেন্স এবং গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ২.০ প্রোসহ কো-ইঞ্জিনিয়ারড টেকনোলজি সংযোজন করেছে। যৌথ এই প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার এবং ভিভোর নিজস্ব এআই সফটওয়্যারের সমন্বয়ে সুপার প্যানোরোমা নাইট মোড ব্যবহারকারীদের দারুণ ছবি তুলতে সহায়তা করে।
ভিভো এক্স৬০ প্রো নিয়ে এসেছে হাই-ডাইনামিক-রেঞ্জ (এইচডিআর) নাইট পোর্ট্রেট। এটি ছবির ফ্রেমের সূক্ষ্ম পরিমাপ নির্ধারণ করে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন অবয়বকে পরিমিত আলোর সঙ্গে প্রস্ফুটিত করে দারুণ তুলতে সাহায্য করে।