আজ খেতে পারেন ভ্যানিলা আইসক্রিম

আইসক্রিম নিয়ে কত কাণ্ডই না চলছে! দেশের এক পাঁচ তারকা হোটেলে খাওয়ারযোগ্য সোনা দিয়ে বানানো আইসক্রিমের প্যাকেজ ঘোষণা করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। লাখ টাকা দাম। বছর তিনেক আগে ভারতের একটি আইসক্রিম পারলার বানিয়েছিল ‘মাইটি মাইডাস’ নামের ভোজ্য সোনার আইসক্রিম। গত বছর তুরস্কের এক আইসক্রিম বিক্রেতা তো নেচে–গেয়ে আইসক্রিম বিক্রি করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। এ দিকে গলে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে সম্প্রতি চীনের একটি ব্র্যান্ড এনেছে এমন আইসক্রিম, যা আগুনের সংস্পর্শেও গলবে না।

ভ্যানিলা আইসক্রিম
ছবি: সংগৃহীত

আইসক্রিম নিয়ে এত কিছু আসলে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রাচীন এই ডেজার্টের বিপুল জনপ্রিয়তাকেই নির্দেশ করে। কিন্তু ঠিক কতটা প্রাচীন? নির্দিষ্ট দিনক্ষণ হিসেব করে অবশ্য বলা যাবে না। সূত্র বলছে, পৃথিবীর প্রথম আইসক্রিম তৈরি হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে, চীনে।

হরেক রকমের আইসক্রিম আছে। তবে পৃথিবীজুড়ে সর্বাধিক খাওয়া হয়ে থাকে ভ্যানিলা আইসক্রিম। যত দূর জানা যায়, ভ্যানিলা আইসক্রিম তৈরি হয়েছিল মেক্সিকোতে ১৪০০ থেকে ১৫০০ শতকের দিকে। দারুণ স্বাদ–গন্ধের জন্যই শুধু নয়, উপকারী গুনাগুণের জন্যও সমাদৃত ভ্যানিলা আইসক্রিম। প্রচুর ফসফরাসসমৃদ্ধ ভ্যানিলা দেহে এনডোরফিন উৎপন্ন করে, যা বিষণ্নতা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এর প্রধান উপাদান দুধ, যা ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া এতে থাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটসহ নানা পুষ্টি উপাদান।

ভ্যানিলা আইসক্রিম

আজ ২৩ জুলাই, ভ্যানিলা আইসক্রিম দিবস। আমেরিকায় এটি উদ্‌যাপন হয়। আইসক্রিমপ্রেমীরা কিন্তু সমারোহে দিনটি পালন করতেই পারেন। আজ প্রিয়জনকে খাওয়াতে পারেন একটি ভ্যানিলা আইসক্রিম। কিংবা রেসিপি জেনে নিয়ে ঘরে বানিয়ে পারিবারিক আয়োজনে উদ্‌যাপন করতে পারেন একটি আইসক্রিমময় দিন।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে