অনায়াসেই জীবন আরেকটু সহজ করতে চান?

সহজ কথা যায় না বলা সহজে, কিন্তু সহজ কাজ? সহজ কাজ সহজেই করে ফেলা যায়। আর এমন কিছু সহজ কাজ আছে, যেগুলো করতে আপনার তেমন কষ্ট করতে হবে না। অথচ আপনার জীবন সহজ হয়ে যাবে অনেকখানি। চলুন দেখে নিই সেই সহজ ও ছোট ছোট কিছু কাজের তালিকা।

ভালো পোশাকে বাইরে বের হন, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ইতিবাচক চিন্তা করুন
ছবি: কবির হোসেন

১. সারা দিনে অন্তত একটা আনন্দের ঘটনা মনে করুন। লিখে রাখুন। তারপর বিছানায় যান ঘুমাতে। ‘গুড নোট’ আর ইতিবাচকতা দিয়ে দিন শেষ করুন।


২. অন্যের জন্য কিছু করুন। আসছে কোরবানির ঈদে সামর্থ্য নেই, এমন কয়েকজনকে দাওয়াত দিতে পারেন। শিশুদের কিনে দিতে পারেন ঈদের পোশাক। এতিমখানা বা বৃদ্ধাশ্রমেও একবেলা খাওয়াতে পারেন। সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করতে পারেন নিজের জন্মদিন, বিয়ের দিন।


৩. সকালটা সুন্দর, ইতিবাচক একটা চিন্তা দিয়ে শুরু করুন। সুন্দর চিন্তাটা নিজেকে নিয়েও হতে পারে। অন্যকে নিয়েও হতে পারে। ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বলুন, ‘আজ আমার জীবনের সেরা দিন।’

৪. আগামীকাল করতে হবে, এমন অন্তত তিনটি কাজ আজই লিখে রাখুন।


৫. কাজের চাপ খুব বেশি হলে কাজ শেষ করে নিজেকে একটা ছোটখাটো ‘ট্রিট’ দিতে পারেন। নিজের পছন্দের জুতা কিনতে পারেন। কফিশপে একটুকরা ব্ল্যাক ফরেস্ট বা রেড ভেলভেট কেকের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন পড়ন্ত বিকেল।


৬. পরিকল্পনা মুখে না করে লিখে ফেলুন। বিভিন্ন ধাপে যা কিছু করণীয়, বিস্তারিত লিখুন। লিখিত পরিকল্পনা সহজেই বাস্তবায়ন করা যায়।


৭. আনন্দ ডায়েরি রাখতে পারেন। কোন কোন জিনিস আপনাকে খুশি করেছে, সেগুলো এখানে লিখে ফেলতে পারেন। এতে ভবিষ্যতে কাজগুলো আবার করতে পারবেন।

৮. কোন বেলায় কী খেতে চান, লিখে ফেলুন।

৯. পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় বের করুন। মন খুলে আড্ডা দিন।

১০. প্রকৃতির কাছাকাছি যান। ইট–পাথরের জঞ্জালে নিজেকে আটকে রাখবেন না।

১১. কারণ ছাড়াই হুট করে একটা পার্টি দিন। সব সময় কারণেই যে পার্টি দিতে হবে, কে বলেছে? গেট টুগেদার, গান, আড্ডা বা ওয়ান ডিশ পার্টি করুন। আনন্দ করতে আবার কারণ লাগে নাকি!

১২. কবিতা লিখতে বসে যান বা ছোটবেলার মতো ছবি আঁকতে শুরু করে দিন। বই পড়ুন। গান শুনুন। অচেনা মানুষের সঙ্গে গল্প করুন। হেঁটে আসুন। দিনে একটা করে কবিতা পড়তেও পারেন।

১৩. দিনের কিছু সময় চুপ থাকুন। এই নীরবতা আপনাকে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়াটা ঠিক রাখবে।

১৪. লাইব্রেরিতে যান। ফোনটা বন্ধ করে ঘণ্টাখানেক বই পড়ুন। পড়তে না ইচ্ছা করলে নেড়েচেড়েও দেখতে পারেন।

১৫. মা-বাবা বা ভালো রান্না জানে, এমন কাউকে ফোন করে অথবা ইউটিউব দেখে রেসিপি নিয়ে নতুন কোনো রান্না ট্রাই করতে পারেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান