যে ৩টি ভুলে মরে যেতে পারে গাছ

ইটপাথরের নগরজীবনে সবুজের ছোঁয়া আনতে ছাদবাগান, বারান্দা থেকে শুরু করে অন্দরেও গাছকে নিয়ে এসেছি আমরা। কিন্তু দেখা যায়, নানা কারণে ঘরের ভেতর সব সময় গাছ ভালো রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেসব ভুলের কারণে গাছ মরে যেতে পারে, তেমনই কিছু সাধারণ সমস্যা ও তার সমাধান জেনে নেওয়া যাক।

মাটি ও টবের রকমফের

গাছের জাত ও উচ্চতাভেদে টব নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ছবি : সংগৃহীত

গাছের জাত ও উচ্চতাভেদে টব নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভুল গড়নের টব গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পানিনিষ্কাশনের সুবিধা আছে, এমন মাটির টব বেছে নেওয়া ভালো। তবে ফার্ন, এলোকেশিয়ার মতো যেসব গাছ একটু আর্দ্র বা ভেজা মাটি পছন্দ করে, চাইলে সেগুলো প্লাস্টিক টবে রাখা যায়। অন্যদিকে ক্যাকটাস, সাকুলেন্টজাতীয় রসালো কাণ্ডের গাছের জন্য মাটির টবই উত্তম। আবার অর্কিডের জন্য বেছে নিতে হবে বহু ছিদ্রযুক্ত প্লাস্টিকের ঝুড়ির মতো বিশেষ টব। এ টবে মাটির কোনো প্রবেশাধিকার নেই! শুধু নারকেলের ছোবড়াতেই অর্কিড গাছ বসিয়ে দিতে হয়। অন্য টবের মতো পানি না ঢেলে শুধু স্প্রে করলেই হলো।

গাছগুলো কি খুব বেশি সূর্যালোক পাচ্ছে?

প্রয়োজন বুঝে গাছের যত্ন নিতে হবে

ছায়াবান্ধব ইনডোর গাছ স্বভাবতই সরাসরি সূর্যের আলো পছন্দ করে না। রোদে গাছের পাতা সাদাটে হয়ে আসতে পারে। এমনকি পুড়েও যেতে পারে। তাই ঘরের জানালা কোন দিকে মুখ করে আছে, বিবেচনায় রেখে গাছের অবস্থান নির্ধারণ করুন। পূর্ব ও উত্তরমুখী জানালার চেয়ে দক্ষিণ ও পশ্চিমের জানালা সরাসরি সূর্যের আলো দেয় বেশি। ফলে ক্যাকটাস, কাঁটামুকুটের মতো গাছগুলো সরাসরি সূর্যের আলোয় রাখতে পারলেও বাকি গাছ সরাসরি রোদ থেকে দূরে রাখুন।

কীটপতঙ্গের উপস্থিতি

পছন্দসই গাছের সতেজ সবুজ স্বাভাবিক চেহারা পাল্টে দিতে পারে পোকামাকড়ের আক্রমণ।

পছন্দসই গাছের সতেজ সবুজ স্বাভাবিক চেহারা পাল্টে দিতে পারে পোকামাকড়ের আক্রমণ। ছত্রাকের সংক্রমণ আর মিলিবাগের আক্রমণই হয় বেশি। পোকা ও ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন জৈব বালাইনাশক নিম তেল। প্রতি ২৫০ মিলিলিটার পানির সঙ্গে ১০ মিলিলিটার নিম তেল মিশিয়ে স্প্রে করতে পারবেন। ১ লিটার নিম স্প্রে তৈরি করতে ১ লিটার হালকা গরম পানিতে ২ মিলিলিটার বা ৪-৫ ফোঁটা লিকুইড সাবান অথবা ডিশওয়াশারের সঙ্গে ৫ মিলিলিটার নিম তেল মেশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে আক্রান্ত গাছগুলোতে স্প্রে করুন। আগাম আক্রমণ ঠেকাতে প্রতি ১৫ দিন পরপর নিম তেলের মিশ্রণটি স্প্রে করতে পারেন। এ ছাড়া দেখামাত্রই হলুদ হয়ে আসা পাতা ও মরা ডালপালা ছাঁটাই করে দিন। ভেজা টিস্যু পেপার দিয়ে নিয়মিত গাছের পাতায় জমে থাকা ধুলা পরিষ্কার করে দিতে পারেন।