মানসিক অবসাদ ও ক্যালরি কমাতে সাহায্য করবে যে পোষা প্রাণী

কুকুরের মতো অনুগত প্রাণী আর দ্বিতীয়টি নেই
ছবি : প্রথম আলো

কুকুরকে বলা হয় মানুষের বিশ্বস্ত সঙ্গী। এমন অনুগত প্রাণী আর দ্বিতীয়টি নেই। মালিকের প্রতি তাদের ভালোবাসাও হয় একদম নিখাদ। আর তাই পোষার জন্য কুকুর অনেকেরই প্রথম পছন্দ। বিশেষ করে যাঁরা একা থাকতে পছন্দ করেন বা যাঁদের বাধ্য হয়েই একা থাকতে হয়। তাতে পাওয়া যায় নির্ভরযোগ্য একজন সঙ্গী। অনেক পরিবারও কুকুর পোষে। তবে কেবল আনুগত্য আর ভালোবাসাই নয়, কুকুর পোষার বেশ কিছু ব্যবহারিক লাভও আছে। চলুন জেনে নিই।

কুকুর নিয়ে বাইরে হাঁটতে গেলে শরীরচর্চাও হয়ে যায়

দূরে রাখে অবসাদ

গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের পোষা প্রাণী আছে, তাঁদের মধ্যে মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ কম থাকে। আর যাঁরা কুকুর পোষেন, তাঁদের মধ্যে এটা আরও কম। বিশেষ করে মানসিকভাবে দুর্বল মুহূর্তে কুকুর আপনাকে দিতে পারে সান্নিধ্য। কুকুরের সঙ্গে সময় কাটানোও আপনাকে মানসিকভাবে চাঙা করে তুলবে।

স্বয়ংক্রিয় শরীরচর্চা

আপনার কুকুরকে সারা দিন ঘরে বন্দী করে না রেখে দিনে একবার বাইরে নিয়ে যান। তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার দৈনিক শরীরচর্চার কাজ হয়ে যাবে। শুধু তা–ই নয়, দিনের বিভিন্ন সময়ে আপনি কুকুরের সঙ্গে যে খেলা করেন, সেগুলোও আপনার ক্যালরি খরচ করায় সাহায্য করে। সব মিলিয়ে তাই কুকুর থাকলে আপনাকে শরীরচর্চা নিয়ে আলাদা করে না ভাবলেও চলবে।

কুকুর পুষলে উদ্বেগ কমে

কমাবে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি

ওপরের দুই সুফলের কল্যাণে আপনি আরেকটা বড় সুফল পেয়ে যাবেন। কুকুর পুষলে একদিকে আপনার উদ্বেগ কমবে, অন্যদিকে বাড়বে শরীরচর্চার পরিমাণ। এই দুই মিলে কমবে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। কেবল হৃদ্‌রোগই নয়, সাহায্য করবে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণও।

দূরে রাখে অ্যালার্জি

শিশুদের প্রায়ই নানা অ্যালার্জিতে ভুগতে দেখা যায়। ইদানীংকালের শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা যেন আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সমাধানও করতে পারে পোষা কুকুর। এরা ঘরে অ্যালার্জির সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। কুকুরের সঙ্গে থাকার কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেড়ে যায়।

কুকুর আপনাকে বন্ধুত্ব গড়তে সাহায্য করবে

আরও বেশি বন্ধু

অনেকেরই নতুন মানুষের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হয়। বিশেষ করে শিশুদের। সে ক্ষেত্রেও কুকুর পোষা ভীষণ উপকারী। তাহলে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে অন্য যাঁদের কুকুর আছে, তাঁদের সঙ্গে। শুধু তা–ই নয়, আপনি কুকুর পোষেন জানলে অন্যদের মধ্যে আপনার সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণাও তৈরি হবে। আর বন্ধুর সংখ্যা বাড়া মানে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার সম্ভাবনার বৃদ্ধি।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া