একা থেকে দোকলা হওয়ার পর পুরুষের এমন অনেক অভ্যাস থাকে, যা ত্যাগ করা জরুরি। তাতে স্ত্রীর সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া আরও পোক্ত হয়। বিয়ের পর থেকে কিছু সুঅভ্যাস গড়ে তুললে পুরুষেরা সহজে সুখী হতে পারবেন। ফ্যামিলি লাইফ ডটকম অবলম্বনে তেমন ১০ উপায় জানুন এখানে।
১. বাড়িতে যে আপনিই কর্তা, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করবেন না। বরং স্বামী-স্ত্রী দুজনের মতামতই যে একটা সংসারকে সুখের করে, সেটা ভুলে যাবেন না।
২. আপনার স্ত্রী যদি গৃহিণী হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই তাঁর কাজকে খাটো করে দেখবেন না। আপনি হয়তো অফিস বা ব্যবসা থেকে ফিরছেন, সারা দিন তিনিও বাসার নানা কাজ সামলাচ্ছেন। নিজের কাজের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর কাজ খাটো করে দেখা যাবে না।
৩. স্ত্রী যদি আপনাকে বিরক্ত করেন, তাহলে তখনই রাগ না দেখিয়ে চুপ হয়ে যান। মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুণুন। সময় নিন। রাগ কমে এলে তারপর আলোচনা করুন।
৪. স্ত্রী কোনো ভুল করলে সেটা নিয়ে সন্তানদের সামনে বা বাইরের মানুষের সামনে কথা বলবেন না। একা ডেকে কথা বলুন, যাতে তিনি অপমানিত না হন।
৫. হঠাৎ পাশ দিয়ে কোনো সুন্দরী চলে গেলে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন না। যদি চোখ চলেই যায়, তাহলে স্ত্রী সঙ্গে থাকলে তার কাছ থেকে লুকানোর চেষ্টা করবেন না। একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার দেখার চেষ্টা করবেন না।
৬. নিজ থেকেই স্ত্রীর কুশলাদি জেনে নিন। অনেক সময় ছোটখাটো সমস্যা স্ত্রী এড়িয়ে যেতে পারেন, আপনার জিজ্ঞাসা তাঁকে শক্তি দেবে।
৭. বিয়ের পর আপনি একজনের সঙ্গে কমিটমেন্টে আছেন। তাই অন্য মেয়েদের সঙ্গে গোপনে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলা আপনার নৈতিক দায়িত্ব।
৮. স্ত্রীর চেয়ে আপনার জ্ঞান বেশি, এই চিন্তা বাদ দিন। আপনি যেদিক বেশি জানেন, আপনার স্ত্রী হয়তো অন্যদিকে আপনার চেয়ে বেশি জ্ঞানী। তাই নিজেকে সেরা ভাবা ঠিক নয়।
৯. কোনো বড় জিনিস বা বেশি টাকার জিনিস কেনার আগে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করুন। কিছু না জানিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে কিনে আনবেন না।
১০. বাসায় ফিরে আপনি হয়তো টিভি দেখতে বসলেন। স্ত্রী যদি এমন সময় আপনাকে কোনো কথা বলতে চান, সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। টিভি দেখতে দেখতে ‘হ্যাঁ শুনছি’ টাইপের উত্তর দিলে আপনার স্ত্রীর মেজাজ খারাপ হতে পারে। আগে তাঁর কথাটা শুনুন, এরপর টিভি দেখুন।