হয়তো কোনো আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন, এক মুরব্বি এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আরেকটা বাচ্চা কবে নিচ্ছ?’ অথবা কাছের এক সহকর্মী গল্পের ছলে বলে বসল, ‘দ্বিতীয় বাচ্চাটা তাড়াতাড়ি নিয়ে নাও।’ আপনি নিজেও নানা ব্যস্ততা আর প্রথম সন্তানের দেখভাল করতে গিয়ে হয়তো মাথাতেই আনেননি আরেকটি সন্তান নেওয়ার কথা। তবে বেশ কিছু কারণে আপনি আরেকটি সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সন্তানের ভালো বন্ধু
আপনি যখন পাশে থাকতে পারেন না, আপনার সন্তানের সবচেয়ে ভালো সঙ্গী হতে পারে আপনারই আরেক সন্তান। মা-বাবা চিরকাল এই পৃথিবীতে থাকেন না। কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর পরও সন্তানের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে সারা জীবন পাশে থাকবে আরেক সন্তান, এটাই আশা করেন তাঁরা।
প্রথম সন্তান জন্ম ও পালনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান
যেহেতু এরই মধ্যে আপনি এক সন্তানের জনক বা জননী, তাই আগের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় সন্তান পালন অনেকটাই সহজ। প্রথমবার মা হওয়ার যে ভীতি বা প্রতিবন্ধকতা ছিল, সেগুলো পরেরবার অনেকটাই মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে প্রথম গর্ভকালে যে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন, তাঁর পরামর্শ নিতে পারেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে এমনটাও বলা হয় যে দ্বিতীয়বার প্রসববেদনা সহ্যের ক্ষমতাও বেড়ে যায়।
সন্তানের সহযোগী সহোদর
অনেক সময় কোনো সন্তানের কোনো সমস্যা হলে তার ভাই বা বোন তা সমাধান করতে সাহায্য করে। এমন অনেক সমস্যা আছে, যা ‘জেনারেশন গ্যাপ’-এর জন্য মা-বাবার ধারণার বাইরে থাকে। সহোদরেরা একই যুগের মানুষ হওয়ায় তারা বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করতে পারে। এ ছাড়া দ্বিতীয় সন্তান পালনের ক্ষেত্রে বড় সন্তান অনেক বিষয়ে সহকারীর ভূমিকাও পালন করে।
আপনার প্রতি নির্ভরতা কমবে
আপনার সন্তান যখন ঘরেই তার একজন বন্ধু পাবে, তখন আপনার প্রতি নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমবে। একজন আরেকজনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখবে। সহোদরদের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে।
সমস্যা নিরসনে দক্ষতা বাড়বে
একমাত্র সন্তানের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা একাই অনেক বেশি আদর আর প্রাধান্য পায়। পরে বড় হয়েও তাদের মধ্যে সব একা ও সহজে পাওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি পরিবারে দুটি সন্তান থাকে, তবে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার পাশাপাশি কিছু অর্জনের একটি প্রতিযোগিতাও থাকে। নিজেদের কিছু অর্জনের দক্ষতা বাড়তে থাকে, যা পরবর্তী জীবনে তাঁদের বড় বড় সমস্যা নিরসনে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া