জীবনসঙ্গীর কাছে কি গুরুত্ব হারিয়ে যাচ্ছে

আপনি হয়তো চায়ে চুমুক দিতে, ছবি দেখতে বা গল্প করতে চাইলেও আরেকজন চাচ্ছেন না।
ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কে উত্থান-পতন থাকবে। তবে কিছু বিষয় যদি অনেক দিন ধরে চলে, বুঝতে হবে অপর পক্ষ সঙ্গী হিসেবে আপনাকে চাচ্ছেন না। স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে তিনি সুখী নন। তিনি না চাইলেও অজান্তেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে।

শেষ কবে একসঙ্গে হেসেছেন, মনে পড়ে কি?

সময় না কাটানো

দেখাই হয় না। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় আর রাতে বাসায় ফিরে যা কথা হয়, সেটাও সাংসারিক। এর বাইরে নিজেদের মধ্যে গুণগত সময় আর কাটানো হয় না একদম। দম্পতিদের কাছ থেকে এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। একসঙ্গে বসে তাড়িয়ে তাড়িয়ে চায়ে চুমুক দিতে, ছবি দেখতে বা গল্প করতে আপনি চাইলেও আরেকজন চাচ্ছেন না।

দিনের পর দিন যদি এমন হতে থাকে, তবে কিছুটা সচেতন হওয়া ভালো।

এটা অন্যতম লক্ষণ তিনি আপনাকে আর আগের মতো পছন্দ করছেন না। অন্য কাজ করার বাহানা বাড়তে থাকবে তাঁর জীবনে। যদি কখনো ধরে বেঁধে বসিয়েও দেন সামনে, খেয়াল করুন, মন দিয়ে শুনছে কি না আপনার কথা। অনেক সময় বাধ্য হয়ে সামনে বসলেও মন চলে যাবে হয়তো অনেক দূরে। বিবাহিত জীবনে কখনো যদি এমন অবস্থা আসে, বিষয়টি নিয়ে দুজনেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন।

শারীরিক সম্পর্ক

বিয়ের পর মানসিকভাবে একে অপরের প্রতি আগ্রহ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক থাকাটাও দরকার। অনেক দিন ধরে যখন এ বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করবেন এক পক্ষ, ধরে নেবেন আপনার প্রতি আর আকর্ষণ বোধ করছেন না।

আপনার কথা শোনার জন্য অনেক সময় বাধ্য হয়ে সামনে বসলেও মন চলে যাবে হয়তো অনেক দূরে।

হাসা বন্ধ

শেষ কবে একসঙ্গে হেসেছেন, মনে পড়ে কি? সারা দিন একসঙ্গে বসে হাসাহাসি করার কথা বলা হচ্ছে না। সাধারণ বিষয়গুলোতে হেসে কথা বলা, মজার কোনো কথায় জোরে হেসে ওঠা ইঙ্গিত করে আপনার সঙ্গে তিনি আরামদায়ক একটা অবস্থানে আছেন।

আপনার মজার কথাতেও যদি চোখ কুঁচকে তাকিয়ে থাকেন, বুঝবেন বিরক্ত হচ্ছেন আরেকজন।

দোষারোপ

যেকোনো কিছুতেই সঙ্গীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেন। বিষয়টি যদি বারবার হতে থাকে, বুঝবেন আপনাকে আর পছন্দ করছেন না। কোনো ঘটনার মধ্যে যদি আপনি না–ও থাকেন, সেটার জন্যও আপনাকে হয়তো শুনিয়ে দেবে কড়া কিছু কথা। বরং ভালোবাসা থাকলে সব সময়ই চেষ্টা থাকবে সঙ্গীর ওপর যেন দোষ না যায়।

অন্যথায় তিনি আপনাকে তাঁর অস্থিরতা, মেজাজ খারাপ এমনকি মন খারাপের জন্যও দায়ী মনে করবেন এবং এটিকে তাঁর নেতিবাচক আচরণের জন্য একটি অজুহাত হিসেবেও দেখবেন।

আপনার মজার কথায়ও যদি চোখ কুঁচকে তাকিয়ে থাকেন, বুঝবেন বিরক্ত হচ্ছেন আরেকজন।

চুপ থাকা

নীরবতা আপনাদের মধ্যে যোগাযোগের ভাষা হয়ে উঠবে। কথা বলার বিষয়ও আর খুঁজে পাবেন না। এটিকে লাল পতাকা হিসেবেই বিবেচনা করুন।

যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। জীবনসঙ্গী যদি কথা না বলে এড়িয়ে যান, তাহলে তিনি আর নিজেকে সুখী দম্পতি হিসেবে ভাবছেন না।

সূত্র: ম্যারেজ ডট কম