স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তানকে আপন করে নিয়েছেন, নাম কুড়িয়েছেন প্রকৃতিযোদ্ধা হিসেবে

‘ফেমিনা’র সাম্প্রতিক প্রচ্ছদে দেখা দিয়েছেন দিয়া মির্জা। সেখানে তাঁর পরিচয়পর্বে লেখা হয়েছে, তিনি অনুপ্রেরণার অন্য নাম, প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাপিয়ে যান, হয়ে ওঠেন আরও মানবিক, আরও সুন্দর। বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং পৃথিবীর সব প্রাণের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা এবং ভালোবাসতে পারাই তাঁর কাছে সৌন্দর্যের আসল মানে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক ২০০০’ দিয়া মির্জা সময়ের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন একজন প্রকৃতিযোদ্ধা হিসেবে। তাঁর বাড়ির অন্দর–বাহির—সবখানেই প্রায় সমান সবুজ
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিয়া বয়সে তিন বছরের ছোট, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বৈভব রেখিকে বিয়ে করেন। এটা তাঁদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে দিয়া ১১ বছর ছিলেন প্রযোজক, লেখক ও পরিচালক সাহিল সংঘের সঙ্গে। ২০১৯ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিয়েতে ‘প্রধান অতিথি’ ছিলেন বৈভবের আগের পক্ষের কন্যা সামাইরা রেখি। বিয়ের সময় দিয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২১ সালের ১৪ জুলাই দিয়া পুত্রসন্তানের মা হন। স্বামী, এক কন্যা ও পুত্রকে নিয়ে দিয়ার সুখের সংসার
স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তানকে দিয়া মির্জা আপন করে নিয়েছেন, জানিয়েছেন সামাইরাই তাঁর সেরা বন্ধু। দুজনে ইনস্টাগ্রামে নাচের রিলসও শেয়ার করেন। প্রায়ই এই চারজন বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে বনে–জঙ্গলে, সমুদ্রে। ছবিতে দুই সন্তানের সঙ্গে দিয়া
প্রকৃতিযোদ্ধা হিসেবে বলিউডে পরিচিতি আছে দিয়ার। সন্তানদের পরিবেশবান্ধব উপায়ে বড় করছেন তিনি। সন্তানদের নিয়ে তিনি পশুপাখিদের খাওয়ান, গাছের যত্ন নেন। খাবার আর অক্সিজেনের জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ার সন্তানেরা গাছকে ধন্যবাদ জানায়
দিয়া মির্জা মনে করেন, প্রকৃতি আর এর অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের কোনো বিকল্প নেই। কেননা মানুষই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল, প্রকৃতি নয়...
দিয়া মির্জা মনে করেন, প্রকৃতির সবুজ সোনা বা হীরার চেয়ে মূল্যবান
সন্তানের ঘরের দেয়ালে দিয়া ফুটিয়ে তুলেছেন প্রকৃতি
দিয়া নিরামিষভোজী। তাঁর খাবারের জন্য কোনো প্রাণী হত্যা করা হোক, তা তিনি চান না। তা ছাড়া স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করেও তিনি বর্জন করেছেন প্রাণীজ খাবার
দিয়ার পুত্র আভান আজাদ রেখির জন্মদিনের কেকটা খেয়াল করুন। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাঘ, হাতি, বানর, গাছ। প্রকৃতিই উদ্‌যাপন করেছেন পুত্রের দ্বিতীয় জন্মদিনে
দিয়া টেকসই ফ্যাশন আর লাইফস্টাইলে বিশ্বাসী। তাঁর পরনের পোশাকের প্রিন্টে উঠে এসেছে প্রকৃতি