গণ্ডি পেরোনো বন্ধুতা

ইদানীং মনোবিজ্ঞানে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রাণীদের সঙ্গে বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাসাবাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার বিষয়টি পাচ্ছে জনপ্রিয়তা। অথচ প্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ত, স্বাভাবিক। প্রাণিজগতের সিস্টেমের ভেতরই পোষা প্রাণীর সঙ্গে বসবাস, জীবনযাপন, নির্ভরতার আন্তঃসম্পর্ক জড়িত। জীবন মালাকারের ছবিতে উঠে এসেছে গণ্ডি পেরোনো সেই বন্ধুতার কথা।

ছবি তোলার পর মানুষটিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কি ওদের পালেন?’ উত্তর এসেছিল, ‘একসময় ওদের মাকে পালতাম। এখন ওরাই আমাকে পালে।’
প্রাণীদের মতো বিশ্বস্ত বন্ধু আর কই! একসময় মা-বাবা আমাদের লালন-পালন করেন। ধীরে ধীরে আমরা বড় হয়ে যাই। তারপর একসময় আমাদের বাবা-মায়েরা ছোট হতে থাকেন। তখন আমরাই বাবা-মায়ের দেখাশোনা করি। ছবিটি যেন অনেকটা সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে
প্রকৃতির সঙ্গে, রোদে, প্রাণীদের সঙ্গে যে সময় কাটাচ্ছেন। এটা কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো। আপনার অগোচরেই হয়ে যাচ্ছে হাঁটাচলা। রোদের মাধ্যমে শরীর ভিটামিন ডি তৈরি করে নিচ্ছে। আচ্ছা, হাঁসগুলোও কি ধান মাড়াচ্ছে?
ছবিটা কুষ্টিয়ার থানাপাড়ার ঘোড়াঘাট থেকে তোলা। এই বৃদ্ধ নারীর স্বামী মারা গেছেন। ছেলেরা বিয়ে করে যার যার মতন আলাদা হয়ে গেছে। তিনি একাই থাকেন। সঙ্গী বলতে ছাগলটি। সন্তান বা আপনজন বলতেও এই ছাগল
ছবিটি আলোকচিত্রী জীবনের বন্ধুর বিয়েতে তোলা। বিড়ালটি কনের পেট
সুখ কিংবা দুঃখও প্রাণীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যায়। প্রাণীরা হতে পারে খেলার সাথি, পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই আপনজন। কুষ্টিয়ার থানাপাড়ার ঘোড়াঘাটের বস্তিতে অনেক শিশু, অনেক কুকুর, বিড়াল, কাক। তারা সবাই একসঙ্গে খেলে, একসঙ্গে বড় হয়
প্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটালে হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ হয়। আপনার ভালো লাগে। জীবন জানান, তিনি চেষ্টা করেন তাঁর ফ্রেমে মানুষের পাশাপাশি অন্য প্রাণীদেরও স্থান দিতে। কেননা বিশ্বটা কেবল মানুষের নয়। যতটা মানুষের, ঠিক ততটাই ওদেরও!
আগেকার সময়ে ‘বাড়ি থেকে শহরে পাঠানো চিঠিতে’ উঠে আসত পোষা প্রাণীদের কথা। ক্ল্যাসিক সাহিত্যের পাতা ওল্টালেও এর উদাহরণ পাবেন ভূরি ভূরি
অনেক সময় সুখ-দুঃখের গল্প করতেও দেখা যায় কুকুর, বিড়াল, মুরগি, গরু, ছাগল বা অন্য কোনো পোষা প্রাণীর সঙ্গে। আপাতদৃষ্টে অদ্ভুত মনে হলেও এমন আচরণ মানুষের বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে দেয় বলেই মত দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়ও উঠে এসেছে এমন চমকপ্রদ তথ্য
বহু বছর ধরে অবলা প্রাণী বা বস্তুর সঙ্গে কথা বলাকে ‘অস্বাভাবিক’, ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ হিসেবে দেখা হয়েছে (কিছু ক্ষেত্রে যে অস্বাভাবিক নয়, তাও নয়)। তবে সাধারণভাবে প্রাণীদের সঙ্গে কথা বলা মানব মস্তিষ্কের বিশেষ ধরনের দক্ষতা। গবেষকেরা বলছেন, পোষা প্রাণীর সঙ্গে কথা বলাকে বলা হয় অ্যানথ্রোপোমরফিজম। ছবিতে, সবাই যেন একসঙ্গে স্নানে মেতেছে
এই ছবিটা চলনবিলের, শীতের ভোরে তোলা। প্রাণীরা মানুষের পথ চলার সঙ্গী, সব অর্থেই!
নারায়ণগঞ্জের বাটির গ্রাম থেকে তোলা হয়েছে ছবিটি। শিশুটি খুবই লাজুক। আবার ছবিও তুলতে চাচ্ছিল। এদিকে খরগোশটা ছুটে বেড়াচ্ছিল। তারপর এক ক্লিকে দুজনকেই বন্দী করা গেল এক ফ্রেমে