কয়েক মাস ধরেই প্রেম ও বিয়ে নিয়ে আলোচনায় আছেন শোভিতা ধুলিপালা ও নাগা চৈতন্য। বিয়ের আগে দুই বছর গোপনে প্রেম করেছেন এই জুটি। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথম দেখা, প্রেম প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন নাগা ও শোভিতা।
নাগা ও শোভিতার প্রথম দেখা হয়েছিল নাগার বাবার বাড়িতে। ২০১৮ সালে নাগার বাবা, দক্ষিণি সুপারস্টার নাগার্জুনের বাড়িতে এক পার্টিতে শোভিতা ধুলিপালাকে প্রথম দেখেন নাগা। ‘গুডাচারি’ চলচ্চিত্রে ভালো অভিনয় করে সেখানে ডাক পেয়েছিলেন শোভিতা। নাগা তখন সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে বিবাহিত। অনেকে বলেন, তখন থেকেই শোভিতার সঙ্গে নাগার সম্পর্ক। সেটা ছিল ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’।
তবে শোভিতা নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে নাগা ও সামান্থার বিচ্ছেদের কয়েক মাস পর তাঁদের সম্পর্ক শুরু। তবে দুজন দুজনকে আগে থেকেই ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করতেন। ২০২২ সালে একটা সুশির দোকানের ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেন নাগা। সেই সুশি নিয়ে আলাপ শুরু করেন শোভিতা। ইনস্টাগ্রামেই তেলেগু ভাষায় টেক্সটিংয়ে চলে তাঁদের কথোপকথন।
নাগা বলেন, ‘আমি বার্তা পাঠিয়ে প্রেম চালানো মানুষ নই। তবে টেক্সটে কথা বলে মনে হলো, ওর (শোভিতার) সঙ্গে আলাপ এগিয়ে নেওয়া যায়।’ নাগার জন্ম হায়দরাবাদে হলেও বেড়ে ওঠা চেন্নাইয়ে। ২০ বছর চেন্নাইয়ে কাটানো নাগা তেলেগু ভাষায় খুব একটা পারদর্শী ছিলেন না। তবে শোভিতা ধুলিপালার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অন্ধ্র প্রদেশের তেনালিতে হওয়ায় তিনি তেলেগু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। এ কারণে শোভিতাকে তেলেগু ভাষা শেখানোর গুরুদায়িত্ব দেন নাগা। ফলে তাঁদের দুজনের আলাপ চলতে থাকে।
শোভিতা তখন মুম্বাইয়ে আর নাগা হায়দরাবাদে। হায়দরাবাদ থেকে উড়াল দিয়ে মুম্বাইয়ে যান নাগা। শোভিতাকে লাঞ্চ ডেটে নিয়ে যান। শোভিতা বলেন, ‘এটা আমাদের প্রেমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব। ও (নাগা) আসলে একটা ওল্ড স্কুল প্রেমিক।’ নাগাও তাতে সায় দিয়ে বলেন, ‘আমি আসলে টেক্সটিংয়ের ভক্ত নই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেম করব, আমি সে রকম মানুষই নই।’ এরপর শোভিতা বলেন, ‘কিছুদিন পরই প্রাইম ভিডিওর একটা পার্টিতে আমাদের দুজনের দেখা হয়। আমি একটা লাল গাউনে ছিলাম, আর সে (নাগা) ছিল নীল স্যুটে। ওখানে আমরা নিজেদের অনুভূতির ব্যাপারে নিশ্চিত হই। আর বাকিটা তো ইতিহাস।’
এই জুটি প্রথম ঘুরতে যান কর্ণাটকের বান্দিপুর ন্যাশনাল পার্কে। সেবার দুজনে দাবা খেলেছেন আর একে অপরের হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছেন। শোভিতা বলেন, ‘আমি আসলে উড়ন্ত ঘুড়ির মতো। আর নাগা হলো ঘর বা আশ্রয়। আমাদের ব্যক্তিত্বের এই বৈপরীত্যই দুজনকে কাছে টেনেছে।’
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস