কোনো ‘ফ্রেন্ড’ যখন তাঁর ‘লিস্ট’ থেকে কাউকে সরিয়ে দেন, তখন ব্যাপারটি হজম করতে পারেন না কেউ কেউ
কোনো ‘ফ্রেন্ড’ যখন তাঁর ‘লিস্ট’ থেকে কাউকে সরিয়ে দেন, তখন ব্যাপারটি হজম করতে পারেন না কেউ কেউ

ফেসবুকে কেউ ‘আনফ্রেন্ড’ করলে কী করবেন

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্সসহ আরও কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটে বিচিত্র সব ঘটনা। সেখানে কোনো ‘ফ্রেন্ড’ যখন তাঁর ‘লিস্ট’ থেকে কাউকে সরিয়ে দেন, তখন ব্যাপারটি হজম করতে পারেন না কেউ কেউ। আদতে এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়?

তাঁর সীমারেখাকে সম্মান করুন

ওই ব্যক্তি হয়তো ‘ভার্চ্যুয়াল’ জগতে একটি ‘ভার্চ্যুয়াল’ সীমারেখা টানতে চাইছেন। আপনার বন্ধু, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী—বাস্তব জীবনে তাঁর সঙ্গে আপনার যে সম্পর্কই থাকুক না কেন, তিনি ওই জগতে একটু আলাদা থাকতে চাইতেই পারেন। তাঁর সে ভাবনাটা তিনি অন্য কোনো উপায়ে প্রকাশ না করে থাকলেও আপনি তো জানলেন, তিনি আপনাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘বন্ধু’ হিসেবে চাইছেন না। তাঁর সেই ভাবনাকে সম্মান করুন। বারবার তাঁর ‘প্রোফাইল’ ঘাঁটতে যাবেন না।

ভেবে দেখতে পারেন আগ্রহের জায়গাগুলো

কেউ আপনাকে ‘আনফ্রেন্ড’ করলে হয়তো ভাববেন, তিনি কোনো কারণে আপনাকে অপছন্দ করছেন। মনে রাখতে হবে, বাস্তব জীবনে যাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো, তাঁদের মধ্যে যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বোঝাপড়া ভালো হবে, ব্যাপারটা একেবারেই তেমন নয়। একেকজনের পছন্দ, ভালো লাগা বা আগ্রহের জায়গা আলাদা হতেই পারে। মতের ভিন্নতাও থাকতে পারে। এমন নানান কারণে একজন যে কাউকে ‘আনফ্রেন্ড’ করে দিতেই পারেন। তিনি হয়তো সমমনা মানুষদের নিয়ে ওই জগৎটায় সময় কাটাতে চান।

অতিরিক্ত ভাববেন না

আপনি কিন্তু জানেন না, ওই ব্যক্তি কোনো মানসিক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ব্যক্তিগত হতাশা বা দুঃখবোধের কারণেও ‘ভার্চ্যুয়াল’ জগতের বন্ধুতালিকা ছোট করে আনতে পারেন। তাই তাঁর মনের খবর না জেনে তাঁর এই সিদ্ধান্তকে বিদ্বেষমূলক কোনো সিদ্ধান্ত বলে ধরে নেবেন না।

সম্ভব হলে সরাসরি কথা বলুন

আপনার সঙ্গে বাস্তব জীবনে তাঁর সত্যিই ভালো সম্পর্ক থাকলে তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারেন, তিনি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন। তবে এ নিয়ে তাঁকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না। সবার সামনে প্রসঙ্গটির অবতারণা করবেন না। আর তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে এর উত্তর পেতে কোনোক্রমেই তাঁকে জোরাজুরি করবেন না।

বাস্তব জীবনে প্রভাব পড়তে দেবেন না

বাস্তব জীবনে এই ঘটনার কোনো প্রভাব পড়তে দেবেন না। এটিকে নিতান্ত স্বাভাবিক একটি বিষয় হিসেবেই নিন। বাস্তব জীবনে অবশ্যই ওই ব্যক্তির সঙ্গে সহজ এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। রাগ কিংবা উষ্মা প্রকাশ করবেন না। শীতল আচরণ করবেন না। এ ধরনের বিষয় নিয়ে ওই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কখনোই আলাপ করবেন না। বরং বাস্তবের এই সত্যিকার জগৎটাতে বজায় রাখুন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।

সূত্র: দ্য হেলদি