কপট আত্মীয় চিনবেন কী করে?

সুখে-দুঃখে আত্মীয়রা পাশে থাকবে এমনটাই তো হওয়া উচিত
ছবি : প্রথম আলো

আত্মা বা রক্তের সম্পর্ক দিয়েই তো আত্মীয়তা। সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন, আত্মীয়দের কাছে এমনটাই চাওয়া থাকে। অনেক সময় তাঁদের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পেলেও আপনার অজান্তেই ক্ষতি করার মতো আত্মীয়ের সংখ্যাও কম নয়। এমন কপট আত্মীয়দের চিনবেন কী করে?

যখন আত্মীয়দের সঙ্গে সর্ম্পক ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, তখন ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমিয়ে দিন

নিজেকে জাহির করা

অনেক পারিবারিক অনুষ্ঠানে এমন কিছু আত্মীয়ের দেখা পাওয়া যায়, সামান্য বিষয় নিয়েও যাঁরা হইচই শুরু করেন। সবার মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন। অন্যদের কাছে আপনার বদনাম করলেও কাছে এলে আপনার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে এগিয়ে আসবেন। এমন আচরণকারীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

হাস্যকর বা রূঢ় আচরণ

আপনার খারাপ সময়ে কোনো আত্মীয় যদি সান্ত্বনাচ্ছলেও মজা করেন বা রূঢ় কোনো কথা বলেন, বুঝবেন তিনি আপনার সমব্যথী নন; বরং আপনার খারাপ সময়কে তাঁরা উপভোগ করছেন।

সুযোগসন্ধানী আত্মীয় থেকে সাবধান হোন

সুযোগসন্ধানী

সারা বছর খোঁজখবর নেন না, কিন্তু হঠাৎ কোনো সাহায্য দরকার হলে আপনার বা আপনার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এমন আত্মীয় থেকে সাবধান। বুঝে নেবেন, এঁরা সুযোগসন্ধানী।

সীমারেখা টানুন

সুযোগসন্ধানী ও মুখোশধারী আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সীমারেখা টানুন। ব্যক্তিগত গল্প বা সিদ্ধান্ত বুঝেশুনে তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করুন। নিজের আর্থিক অবস্থা, চাকরির পদোন্নতি বা নতুন কোনো সম্পর্কের বিষয়ে এ ধরনের আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প না করাই ভালো।

খারাপ সময়ে কোনো আত্মীয় যদি সান্ত্বনাচ্ছলেও মজা করেন, বুঝবেন, তিনি আপনার খারাপ সময়টা উপভোগ করছেন

ধীরে ধীরে সরে আসুন

যখন কোনো সম্পর্ক আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, সেখান থেকে সরে আসাই উত্তম। যদি আপনি বুঝতে পারেন, কোনো স্বার্থপর ও মুখোশধারী আত্মীয় আপনার আশপাশেই আছেন, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান। ধীরে ধীরে যোগাযোগ কমিয়ে দিন। আপনার ব্যক্তিগত জীবনে তাঁরা যাতে হস্তক্ষেপ না করতে পারেন, সে বিষয়ে লক্ষ রাখুন।

ভালো সম্পর্কের পরিচর্যা করুন

কপট আত্মীয়দের কাছ থেকে সরে এসে যাঁরা আপনার ভালো চান, তাঁদের সঙ্গে বন্ধন মজবুত করুন। ভালো বন্ধু এবং স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। যাঁরা আপনার খারাপ এবং ভালো সময়ে নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকবেন, তাঁদের পরম আত্মীয় ভাবুন।