যে মানুষটির সঙ্গে সারা জীবন থাকার সংকল্প করেছেন, তাঁর স্বার্থপরতা অনেক সময় সম্পর্ককে করে তুলতে পারে তিক্ত। জীবনসঙ্গীর এমন আচরণে ভেঙে যায় মন, জীবনকে করে এলোমেলো। তবে কি দূরে সরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান? নিশ্চয়ই নয়। সঙ্গীর সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা আলাপ করুন এবং একটি সুন্দর সমাধানের দিকে এগিয়ে যান।
খোলামেলা আলোচনা
যদি খেয়াল করেন সঙ্গী আপনার সঙ্গে প্রতিনিয়ত স্বার্থপরের মতো আচরণ করছেন বা অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছেন, তবে উত্তেজিত না হয়ে তাঁর সঙ্গে শান্তভাবে, যুক্তি দিয়ে আলাপ করুন। প্রথমেই তাঁকে দোষারোপ না করে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করুন
জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার আগে নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবুন। কিছু সময় নিন। হতে পারে আপনার কোনো আচরণে তিনি এ ধরনের ব্যবহার করছেন। আপনার সহযোগী মনোভাব হয়তো তাঁর আচরণে পরিবর্তন আনতে সক্ষম। কোনো তিক্ত কথা বা ব্যবহার না করেই আবার সুন্দর হতে পারে সম্পর্ক।
দায়িত্বে সীমারেখা টানুন
একটি সম্পর্কে দুজন সঙ্গীর-ই আলাদা কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সেটি থেকে আপনার সঙ্গী গা বাঁচাতে চাইলে তাঁকে বোঝান। আপনার চাহিদাগুলো তাঁর কাছে তুলে ধরুন। তবে সেই চাহিদাগুলো যেন যুক্তিসংগত এবং সঠিক হয়। জীবনসঙ্গীরা তাঁদের যাঁর যাঁর দায়িত্ব বুঝে নিলে কেউ আর স্বার্থপর হওয়ার সুযোগ পান না।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
আপনার সঙ্গীর স্বার্থপরতা যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তাঁর নেতিবাচক প্রভাব দাম্পত্যের ওপর পড়ে, তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে ‘কাপল কাউন্সেলিং’ নিন। একজন অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে আপনাদের সমঝোতার পথ দেখাতে পারেন। দুজনের মানসিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে তিনি সুন্দর একটি সমাধান দিতে পারবেন।
সঙ্গীর মধ্যে সহমর্মী মনোভাব তৈরি করুন
সঙ্গীর যে আচরণ আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে এবং আপনাদের সম্পর্কে ক্ষতি করছে, তা তাঁকে কথা বলে বোঝান। আপনার অবস্থানে থেকে তাঁকে পরিস্থিতি উপলব্ধি করার পরামর্শ দিন। সেখান থেকে আপনার সমস্যাকে বোঝলে সঙ্গীর মধ্যে সহযোগী মনোভাব তৈরি হতে পারে।
নিজের যত্ন নিন
আপনার সঙ্গী যখন স্বার্থপর আচরণ করেন, তখন আপনার নিজের প্রতি খেয়াল রাখা খুব জরুরি। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে নিজের প্রতি যত্নবান হোন। আপনার পছন্দের কাজগুলো বেশি করে করুন, আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে সময় দিন। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিয়ে কাউন্সেলিং করাতে পারেন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া