‘আর পারছি না। মনে হচ্ছে সবকিছুতে ইস্তফা দিয়ে বাবার কাছে চলে যাই।’
গত মঙ্গলবার সকালে নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে এ রকম একটি পোস্ট শেয়ার করেন বলিউড তারকা ও ইরফানপুত্র বাবিল খান। তখনই কমেন্টে ‘বন্যা বইয়ে’ বাবিলের সমর্থনে পাশে দাঁড়ান ভক্তরা। সেখানে একজন লিখেছেন, ‘আপনি এমন একজন “স্টারকিড”, যিনি অভিনয়প্রতিভায় পিতাকে ছুঁয়ে ফেলার সামর্থ্য রাখেন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি অসাধারণ একজন মানুষ। আপনার সামনে সুন্দর ভবিষ্যৎ। আপনি ধৈর্য ধরুন। শক্ত থাকুন।’
অল্প সময় পরই পোস্টটি ডিলিট করে ফেলেন বাবিল। তার আগেই অবশ্য পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে। আর পোস্ট ডিলিট করলেও এ নিয়ে আলোচনা বন্ধ থাকেনি। প্রথম সারির ভারতীয় প্রায় সব গণমাধ্যমেই সংবাদ হয়েছে। এর এক দিন পর আজ বৃহস্পতিবার ‘এলোমেলো কথন’ ক্যাপশনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার প্রকৃতি পবনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করেন বাবিল। কী লিখেছেন বাবিল?
ইরফান খানের ছেলে পরিচয় ছাপিয়ে নিজেকে সু–অভিনেতা হিসেবে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন বাবিল। ইতিমধ্যে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ‘কলা’ ও ‘ফ্রাইডে নাইট প্লান’ সিনেমা ও ‘দ্য রেলওয়ে ম্যান’ সিরিজে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন সমালোচকদেরব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ‘অন্তর্মুখী’ স্বভাবের বাবিল। আজ ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে নিজের তিনটি ছবি প্রকাশ করেছেন। প্রথমটি ‘সিঙ্গেল’। পরের দুটো ছবিতে তাঁর সঙ্গী প্রকৃতিইনস্টাগ্রামে বাবিলের ভক্তসংখ্যা ১৩ লাখ। অন্যদিকে প্রকৃতিও কম যান না। তাঁর অনুসারীসংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ লাখবাবিল লিখেছেন, ‘এবার আমার পালা। আমি বিধ্বস্ত। ক্ষতবিক্ষত। তোমার পাশে আমার ঘুম ভেঙেছে। আর আমি গাড়ির চাবিও হারিয়ে ফেলেছি। ঘরে ফেরার রাস্তা তাই বন্ধ। আমি এখনো প্রার্থনা করি যে সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। আর আমার মনে হয়, আমি তোমার কাছেই ঘরে ফেরার (গাড়ির) চাবি হারিয়েছি। সেই মানুষ যদি তুমি না হও, আমি আবার হারিয়ে যাব।’এর আগে বাবিল লিখেছিলেন, ‘মেয়েটা আগুনের মতো। শীতের রাতে উষ্ণতা মেলে। তাই বলে ওকে দোষ দেবেন না। আমি কেন আগুনের কাছে গেছি? আমি পুড়ছি নিজের দোষে।’ দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ভক্তরা ধারণা করছেন, বাবিল খান সম্ভবত অল্প সময়ে প্রকৃতির কাছে হৃদয় দিয়ে বসেছেন। আর অপর পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে সেভাবে সাড়া পাচ্ছেন না। তাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন২৫ বছর বয়সী প্রকৃতি মূলত মডেলিং করেন। বলিউডের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন। ‘ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার’ হিসেবেও তাঁর নামডাক আছেটেড টকেও কথা বলেছেন প্রকৃতি। প্রকৃতির পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আইনজীবী। তাঁর দাদা ভারতের সবচেয়ে নামকরা আইনজীবীদের একজন হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেনপ্রকৃতির বাবা দিল্লি হাইকোর্টের আইনজীবী, মা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট। একমাত্র বড় ভাইও আইনজীবীপ্রকৃতি যখন অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন পরিবারের কেউ মেনে নেননি। প্রকৃতি পরিবার ছেড়ে, দিল্লি ছেড়ে মুম্বাইয়ে আসেন ক্যারিয়ার গড়তেএদিকে বাবিলকে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে, ‘দ্য উমেশ ক্রনিকলস’–এ। একের পর এক ভিন্ন ধারার গল্পে, সিনেমায় অভিনয় করে নাম কুড়াচ্ছেন বাবিলভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটিন লিখেছে প্রকৃতি আর বাবিলের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, অল্প সময়ের জন্য হলেও তাঁরা ‘রিলেশনশিপে’ ছিলেন। এখন প্রকৃতি এই সম্পর্ক চালিয়ে নিতে না চাওয়ায় ‘ভুগছেন’ বাবিল।