তারকাদের থেকে শিখুন সম্পর্কের গোপন রহস্য

আমরা (উইল স্মিথ ও জাডা পিঙ্কেট স্মিথ) আসলে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কখনো কাজ করিনি। নিজেদের নিয়ে কাজ করেছি। নিশ্চিত করেছি, যেন একে–অপরের কাছে নিজেকে আগের চেয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি।

সম্পর্কে কেউ যদি স্বাধীন না হয়, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে, সে ফাঁদে পড়ে গেল। আপনার নিজের মূল্য নিজেকেই বুঝতে হবে। সে জন্য আরেকজনের ওপর নির্ভর করা যাবে না।

ও (এলেনের সঙ্গিনী পোরশিয়া ডি রসি) আমাকে বোঝে, এর চেয়ে বড় উপহার আর হয় না। আপনার সঙ্গীকে বোঝা সহজ কাজ নয়। তবে সম্পর্কের জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত পরস্পরকে বোঝার চেষ্টা করা।

সম্পর্কের মূল রহস্য ‘যোগাযোগ’। সততার সঙ্গে সঙ্গীকে আপনার অনুভূতি ও চাওয়া-পাওয়ার কথা জানাতে হবে। অন্যদের কথা জানি না, কিন্তু আমাদের (জেসিকা বিল ও জাস্টিন টিম্বারলেক) ক্ষেত্রে এটা একদম ঠিকঠাক কাজ করেছে।

তোমার জীবনের সেরা অর্জন হলো, কাউকে তার ত্রুটি, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে ভালোবাসতে পারা। জীবন এক পাগলাটে যাত্রা। সেই যাত্রায় একজন সঙ্গীর চেয়ে বড় পাওয়া আর হয় না।

আমি ওকে (রায়ান রেনল্ডস) ভালোবাসি। সেই সঙ্গে ওকে আমার সেরা বন্ধুও মনে করি। সোজা কথা, ভালোবাসার পাশাপাশি আমরা দুজন দুজনকে বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবি।

(সম্পর্কে স্থিতিশীল হতে না পারলে) কয়েক বছর সম্পর্কে না জড়ানো একটা ভালো সুযোগ হতে পারে। একটু সময় নেওয়া, নিজেকে ভালো করে চিনতে। তাতে অন্যের অনুভূতি ও জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মেলানোর চেয়ে নিজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার ফুরসত মেলে।

সত্যি বলছি, (কানইয়ে ওয়েস্টের সঙ্গে সম্পর্কের) প্রথম মুহূর্ত থেকেই আমি পাগলের মতো ওকে ভালোবেসেছি। মনে হয়েছে, সম্পর্কটা কেন আগে হয়নি! স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক এমনই হয়—পরস্পরকে ভালোবাসা, সমর্থন দেওয়া ও জীবনকে উপভোগ করা।