বন্ধুত্বের সম্পর্ক এতটাই গভীর যে নিজের সুখ–দুঃখ থেকে শুরু করে জীবনের কঠিন গোপনীয় কথাগুলোও অকপট বলে দেওয়া চলে। তবে কিছু বিষয় আছেএকান্তই নিজের। যত ভালো বন্ধুত্বই হোক না কেন, কিছু সীমারেখা কখনোই পার করা উচিত নয়।
সময় দুপুর ১২টা হোক কিংবা রাত ৩টা, সুখ কিংবা দুঃখের গল্প শুনতে সদা প্রস্তুত যে ব্যক্তি, তার নাম বন্ধু। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এতটাই গভীর যে নিজের সুখ–দুঃখ থেকে শুরু করে জীবনের কঠিন গোপনীয় কথাগুলোও অকপট বলে দেওয়া চলে। তবে এমন কিছু বিষয় আছে, যা একান্তই নিজের। যত ভালো বন্ধুত্বই হোক না কেন, কিছু সীমারেখা কখনোই পার করা উচিত নয়।
বন্ধুত্ব যতই গাঢ় হোক না কেন, তাঁদের কাছে সঙ্গী সম্পর্কে কখনোই কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। প্রিয় মানুষকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না। সন্দেহের বশে তাঁদের সম্পর্কে আঙুল তোলাও ভালো কিছু নয়।
যত প্রিয় মানুষই হোক না কেন, সম্পর্কে একটা সীমারেখা টেনে রাখবেন। সেই সীমারেখা অতিক্রম করে কখনোই নিজের একান্ত ব্যক্তিগত গোপন তথ্য তাঁদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন না। যদি কোনো কারণে আপনাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়, তখন এসব গোপন তথ্যই হতে পারে আপনাকে ঘায়েল করার হাতিয়ার।
একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে আপন জায়গা তাঁর পরিবার। পরিবারের ওপর যেকোনো আঘাত নিজের ওপর আঘাতের শামিল। যত কাছের বন্ধুই হোক না কেন, কখনোই নিজের কাছের বন্ধুর পরিবার নিয়ে অহেতুক কথা বলবেন না। আপনার কাছে যেটা মজা লাগছে, সেটাই অনেকের কাছে আপত্তিকর লাগতে পারে, যা থেকে ইতি ঘটতে পারে সুন্দর বন্ধুত্বের।
বন্ধুদের মধ্যে হালকা খুনসুটি, হাসি–তামাশা থাকেই। তবে খেয়াল রাখবেন, তা যেন কখনোই মাত্রা না ছাড়িয়ে যায়। তাঁদের চলাফেরা, কথা বলার ভঙ্গি কিংবা পোশাক–আশাক; কোনোটাই যাতে হাসি–তামাশার বিষয় না হয়ে ওঠে। এই সামান্য হাসি–তামাশা ভীষণ প্রভাব ফেলতে পারে তাঁদের জীবনে।
বন্ধুদের আড্ডায় কথা হয় না, এমন বিষয় খুব কমই আছে। সিনেমা থেকে শুরু করে খেলাধুলা; আড্ডায় কথা বলার বিষয়ের অভাব নেই। তবে যে বিষয়েই কথা বলুন না কেন, কখনো অন্য বন্ধুর সমালোচনা করবেন না। কারণ, আজ আপনারা যে বন্ধুর সঙ্গে মিলে তৃতীয় আরেকজনের সমালোচনা করছেন, আড়ালে গিয়ে আপনার বন্ধু যে আপনার নামেই সমালোচনা করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী? কিংবা উল্টোটাও হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস