প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় আমাদের চোখে পড়ে ‘পাত্র চাই’ বা ‘পাত্রী চাই’–এর বিজ্ঞাপন। সেসব বিজ্ঞাপনের একটা ছক আছে। ছকে বাঁধা সেই বিজ্ঞাপনে সাধারণত বয়স, উচ্চতা, গায়ের রং, শিক্ষাগত মর্যাদা আর চাকরির বর্ণনা দিয়ে খোঁজা হয় পাত্র বা পাত্রী। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ইনফ্লুয়েন্সারের ‘রিল পার্টনার’ ও ‘লাইফ পার্টনার’ খোঁজার বিজ্ঞাপনটি ধার ধারেনি সেসব নিয়মের।
বিজ্ঞাপনটি শুরু হয়েছে এভাবে, ‘আমার নাম রিয়া। আমি আমার ভিডিওর জন্য রিল পার্টনার ও জীবনসঙ্গী খুঁজছি।’ সম্ভাব্য পাত্রকে প্রথমত তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
এক. তিনি ‘ক্যামেরা লাজুক’ (ক্যামেরা–শাই) হলে চলবে না। বরং ক্যামেরাবান্ধব হলে ভালো হয়।
দুই. তিনি রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে ভিডিও বানাবেন, মূলত জীবনসঙ্গী হিসেবে এটাই তাঁর মুখ্য ভূমিকা। ট্রেন্ডিং মিউজিক যেমন ‘মই মই’ বা এ–জাতীয় কনটেন্টগুলোর সঙ্গে ভিডিও বানাতে হবে।
তিন. তিনি যৌথ পরিবারের হলে চলবে না।
এ ছাড়াও বিয়ের আগে আবশ্যই তাঁকে অ্যামাজন মিনি টিভির ‘হাফ লাভ হাফ অ্যারেঞ্জড’ রমকম সিরিজটি দেখতে হবে। এই সিরিজ দেখার ভেতর দিয়ে সম্ভাব্য পাত্র জানতে পারবেন কোন ধরনের ছেলে রিয়ার পছন্দ না। এসবের সঙ্গে তাঁকে প্রিমিয়ার প্রো জানতে হবে। নতুবা, এইসব রিলস আর ভিডিও এডিট করবে কে!
এই বিজ্ঞাপন নিয়ে এসেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘এটা নারীর ক্ষমতায়নেরই বহিঃপ্রকাশ’, ‘মেয়ে কী চায়, তা সে জানে, এরকম নির্দিষ্ট করেই বলা উচিৎ যে সে কেমন ছেলে চায় বা কেমন মেয়ে চায়’, আরেক পক্ষ আবার লিখছে, ‘এরা বিয়ের সম্পর্কটাকেও ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলেছে!’